শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার :: সিলেট ও মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) নিতে শুরু করেছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) সকালে তামাবিল স্থল বন্দর দিয়ে ১০টি পেট্টোলিয়ামবাহী যান তাদের কার্যক্রম শেষ করে একত্রে একটি কনভয় হিসেবে ত্রিপুরার পথে রওয়ানা হয়।
এই বছর ভারী বর্ষণে উত্তর-পূর্ব ভারতে রাস্তার অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যার ফলে আসামের মধ্য দিয়ে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটছে। এতে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা, দক্ষিণ আসাম এবং মিজোরামে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ অব্যাহত রাখার জন্য একটি জরুরি বিকল্প পথের প্রয়োজন হয়।
এ বিষয়ে গত ৩ আগস্ট বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সঙ্গে ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর অংশ হিসেবে আজ সকালে ১০ টি পেট্টোলিয়ামবাহী যানবাহন একত্রে একটি কনভয় হিসেবে বাংলাদেশের সিলেট তামাবিল-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর পথ দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাস্বরে রওয়ানা দেয়।
তামাবিল শুল্ক স্টেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, পেট্রোলিয়াম বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকারগুলো বাংলাদেশের ভুখন্ড ব্যবহারের জন্য ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখণ্ড ও সড়ক ব্যবহারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বহন করেই তারা দেশের সড়ক ব্যবহার করেছে।
পরীক্ষামূলক ট্রানজিট কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার মাধ্যমে বন্ধুপ্রতীম উভয় দেশের বানিজ্যিক সম্পর্ক যেমন নতুন মাত্রা পারে তেমনি আমাদের রাজস্বখাত সমৃদ্ধ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সকালে আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন, কাস্টমস ও ভ্যাট কর্মকর্তা, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা।
এর আগে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার রাস্তা (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হওয়ায় আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল ভারত। সেবার বাংলাদেশ দুই মাসের জন্য জ্বালানি পরিবহনে ভারতকে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়েছিল।