1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৭:৩৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

১০০ কোটি, নাকি ৪ কোটি: ব্যাখ্যা দিলেন অনন্ত

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২২
  • ১২২ বার পঠিত

বিনোদন ডেস্ক :: বাংলাদেশ-ইরান যৌথ প্রযোজনায় নির্মিত অনন্ত জলিলের আলোচিত সিনেমা ‘দিন দ্য ডে’। এ সিনেমার বাজেট ১০০ কোটি টাকার বেশি দাবি করেই প্রচার করেছেন অনন্ত। তবে ছবির পরিচালক মোর্তজা অতাশ জমজম দাবি করেছেন, এ ছবিটি নির্মিত হয়েছে মাত্র ৪ কোটি টাকায়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে আরও বেশি আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। তবে পরিচালক সেই দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন অনন্ত জলিল।

শনিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দীর্ঘ একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন অনন্ত জলিল।

এসময় ‘দিন দ্য ডে’র বাজেট নিয়ে অনন্ত জলিল বলেন, ‘সিনেমাটির শুটিং শুরু হয় ২০১৯ সালে এবং শেষ হয় ২০২০ সালের মধ্যে। আপনারা আমার ইন্টারভিউগুলো দেখতে পারেন, টেলিভিশন, নিউজ পেপার, সোশ্যাল মিডিয়াতে মুভিটির রিলিজ এর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত এবং রিলিজের পরেও একটি ইন্টারভিউতে দেখাতে পারবেন? যে আমি বলেছি এই মুভিটির ইনভেস্টার শুধুই আমি? আমি সব সময় বলে এসেছি, শুধুমাত্র বাংলাদেশের শুটিংয়ের ইনভেস্টার আমি।’

তিনি বলেন, ২০২১ সালে ২৭শে ফেব্রুয়ারি লা-মেরিডিয়ান হোটেলে ‘দিন-দ্যা ডে’ এবং ‘নেত্রী দ্যা লিডার’ মুভির একটি অনুষ্ঠান করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে মিস্টার মুর্তুজা, ইরানের আর্টিসরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস কনফারেন্সের সময় আমাকে বলেন, শুটিংয়ের তিনি যে বাজেট নির্ধারণ করেছিলেন তার চেয়ে তিনি অনেক বেশি অর্থ শুটিং এ খরচ করেন। মুর্তুজার বলা অ্যামাউন্টটাই প্রেস কনফারেন্স এ আমি বলি এবং আমার ইন্টারভিউ গুলোতেও সেম একই কথা বলি, তিনি যে মুভির বাজেটের কথা বলেছিলেন।’

অনন্ত জলিল বলেন, ‘মুর্তুজা তুলে ধরেছেন, আমার ৪-৫ লক্ষ ডলার তাকে শুটিং খরচের জন্য দেওয়ার কথা। এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী সম্পূর্ণ টাকা দেয় নাই। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, এসপার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিংয়ে সমস্ত খরচ আমার দেওয়ার কথা, সে অনুযায়ী বাংলাদেশের শুটিং এর সমস্ত খরচ আমি বহন করি। সেখানে ১ কোটি টাকা লাগলো, বা ৪ কোটি টাকা লাগলো সেটা তো মুর্তুজার দেখার বিষয় না। বাংলাদেশের শুটিং খরচ ছাড়া বিদেশের কোন শুটিং খরচই আমার দেওয়ার কথা না, আমাদের ট্রাভেলিং কস্ট ছাড়া, মিনস ইয়ার টিকিট ছাড়া। সেখানে আমি তাকে ডলার দিবো এই প্রশ্ন উঠবেই বা কেন? তাহলে মুর্তুজা এতগুলো দেশে যে শুটিং করলো তাতে তো তার কোন টাকাই খরচ হয় নাই। তিনি যে এমাউন্ট বলেছেন আমার দেওয়ার কথা সেটাই আপনারা মুভির বাজেট বলে নিউজ করেছেন। তাহলে তিনি কিভাবে বলেন তার পোস্টে যে আমি তাকে এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী টাক দেয় নাই। আর আপনারা তা ফলোও করে প্রচার করছেন মুভিটির বাজেট ৪ কোটি টাকা। তাহলে তো মুর্তুজার শুটিং এ কোন টাকাই খরচ করেন নাই।

 

 

 

এই নায়ক বলেন, ‘আমরা যখন বিদেশে শুটিংয়ে যাই তখন মুর্তুজা আমাদের অনেক সম্মান দিয়ে ফাইভস্টার হোটেলে রেখেছেন। এমনকি তার বাসায়ও দুইদিন আমাদের ফুলটিমকে দাওয়াত দিয়েছেন। আমি ঠিক একই রকমভাবে ইরানের ১৭ জনের টিমকে সোনারগাঁও হোটেল এ রাখি ১৮দিন এবং অনুরূপ সম্মান আমরাও দিয়েছি তাদের ফুলটিমকে। মুর্তুজার সঙ্গে আমার কখনো কোন মত ভেদাভেদ বা খারাপ সর্ম্পক হয় নাই। কে বা কারা নিজের স্বার্থের জন্য মুর্তুজার সঙ্গে আমার এই দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছেন যেটা তারাই ভালো জানে এবং মিস্টার মুর্তুজাই বলতে পারবেন।’

অনন্ত জলিলের কথায়, “দিন-দ্যা ডে’ মুভির সম্পূর্ণ ফুটেজ মুর্তুজার কাছেই ছিল। তিনি নিজেই সাউথ ইন্ডিয়াতে মুভিটি নিয়ে আসেন ডলবি মিক্সিং করানোর জন্য। আমি রিকুয়েস্ট করেছিলাম ডলবি মিক্সিং করার ব্যাপারটি। কারণ, ইরানে ডলবি সাট্রিফিকেট দেওয়ার কোন রাইট নাই। মুর্তুজার সঙ্গে আমার যদি কোন ধরনের লেনদেনের সমস্যা থাকতো তাহলে মুর্তুজা কখনো মুভিটা সাউথ ইন্ডিয়াতে এনে আমাকে দিতো না।”

সর্বশেষ তিনি বলেন, ‘ইরানে মুভি রিলিজে সময় ডলবি সাট্রিফিকেট প্রয়োজন হয় না, তাদের পোস্ট প্রোডাকশন এমনিতেই বেশ উন্নত। মুভি রিলিজের আগ পর্যন্ত আমার ও মুর্তুজার সঙ্গে কখনোই কোন খারাপ সম্পর্ক ছিল না আমি আশা করি আগামীতেও থাকবে না। যাদের স্বার্থের জন্য এই করেছেন তাদের মুখোশ একদিন ঠিকই মিস্টার মুর্তুজাই প্রকাশ করবেন বলে আমার আত্নবিশ্বাস।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..