বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ০২:৩২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: মৌলভীবাজার শহরের সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা বিনামূল্যে পেলো ঈদ জামা। উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠান রংধনুর সাতরং এর আয়োজনে করা ফ্রী ঈদ বাজার থেকে নতুন পোশাক পেয়ে উচ্ছ্বসিত সমাজের অবহেলিত এ শিশুরা।
রোববার (৯ মে) সকালে রংধনুর সাতরং, পশ্চিম বাজার অফিস সম্মুখে ফ্রী ঈদ বাজারের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন করেন রংধনুর সাতরং এর উপদেষ্টামন্ডলীরা। এসময় উপস্থিত ছিলেন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অভিভাবকবৃন্দরা। ঈদ বাজার পরিচালনা করেন মনি আক্তার, মাফিক আহমদ, সাকিয়া আক্তার প্রমুখ। ঈদ বাজার থেকে শিশুরা পেয়েছে পছন্দের জামা, দশ টাকা ও এক প্যাকেট চিপস।
রংধনুর সাতরং এর সাথে জড়িতরা জানান রংধনুর সাতরং এক যুগের ও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন ধরনের কাজ করছে, পাশাপাশি উদ্যোক্তা সৃষ্টি করছে। পথশিশুদের নিয়ে পরিচালনা করছে ‘আলোর সুচনা’ বিদ্যালয়। নিয়মিত তাদের ক্লাস করনোর পাশাপাশি দেয়া হয় বিভিন্ন সহায়তা। এছাড়াও এ পর্যন্ত ১৮০০ এর অধিক উদ্যোক্তা এই প্রতিষ্ঠান থেকে কাজ শিখেছে। এখন বিভিন্ন জায়গায় এসব উদ্যোক্তারা ভালো ব্যাবসা করছেন, হয়েছেন সফল।
ঈদকে সামনে রেখে এমনিতেই করোনায় নিম্নবিত্ত মানুষগুলো খুব কষ্টে চলছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সামর্থ্য নেই সন্তানকে কাপড় কিনে দেওয়ার। আসছে ইদুল ফিতর, ঈদে সুবিধাবঞ্চিত কিছু শিশুর মুখে হাসি ফোটানোর লক্ষ্যে আমাদের এ প্রয়াস।
রংধনু সাতরং এর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মাফিক আহমদ জানান, দরিদ্র বাবা মা এই ঈদে সন্তানকে নতুন জামা কিনে দিতে পারবে না। শিশুদের মুখ যেনো মলিন না হয়, তাদের হাসিমাখা মুখ দেখার জন্য আমাদের সাধ্যমত এই আয়োজন।
ঈদ বাজার পরিচালনাকারী রংধনুর সাতরং এর সদস্য মনি আক্তার জানান রেজিষ্ট্রেশন এর মাধ্যমে ঈদ বাজার থেকে শিশুদের ফ্রী পোশাক আমরা দিচ্ছি। এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা পুরাতন জামা পরে যেনো ঈদ না করে, নতুব জামায় তারা ঈদ আনন্দ খুজে পাবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা আনন্দের দিনটা কাটাবে। আমরা এই সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে নতুন জামা দিতে চাই।
রংধনুর সাতরং এর নির্বাহী পরিচালক নাসির উদ্দিন আহমদ উজ্জল জানান, পথশিশু দের নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে একটা স্কুল আমরা চালাই, স্কুলের নাম “আলোর সুচনা”।সেখানে প্রায় ৫০জন শিশুকে আমরা সেচ্ছায় বিনামুল্যে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি, তাদের শিক্ষা উপকরণ ও খাদ্য সহায়তাও প্রদান করে থাকি।এই ঈদে তাদের পাশাপাশি অন্যান্য সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের আনন্দ দ্বিগুণ করে তোলার জন্য স্বাস্থ্য বিধি মেনে অস্থায়ী ঈদ বাজার থেকে শিশুদের নতুন জামা দেয়া হলো। যেখানে শিশুরা নিজেদের পছন্দের জামাটি বিনামূল্যে নিয়েছেন । নতুন পোশাক পেয়ে তারা আনন্দিত, আমাদের ও অনেক ভালে লাগছে।