1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:৪২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেটের আলোচিত গণধর্ষণ মামলা : যা বললেন ‘যুবলীগ নেতা’র স্ত্রী

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৩২ বার পঠিত

সিলেট প্রতিনিধি :: সিলেট মহানগরীর জালালাবাদ থানাধীন পশ্চিম পাঠানটুলা এলাকার বাসিন্দা রানা আহমদ শিপলুকে ফাঁসাতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে দুই তরুণী মামলা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিপলুর স্ত্রী তাহমিনা খানম।

সোমবার (৫ সেপ্টম্বর) সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এ দাবি জানান তাহমিনা। তিনি তার স্বামীকে এ সময় যুবলীগ নেতা উল্লেখ করে এই সাজানো মামলা থেকে তার স্বামীকে অব্যাহতি প্রদান ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানান।

তাহমিনা খানম লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার স্বামী একজন আমদানি-রপ্তানিকারক ব্যবসায়ী। রাগীব রাবেয়া হাসপাতালের পাশে তাদের ফার্মেসি ব্যবসা রয়েছে। এর পাশাপাশি যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। তাই তার স্বামী ও পরিবারের মান-সম্মান ক্ষুন্ন ও ব্যবসা-বাণিজ্যে উন্নতি না করতে এবং সামাজিকভাবে হেয়-প্রতিপন্ন করার লক্ষে স্থানীয় ছাত্রদলের চিহিৃত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী তানভীর একের পর এক ষড়যন্ত্রমূলক মামলা সাজাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় তানভির, তানিয়া, জুবেল মিলে দুই তরুণীকে দিয়ে বানোয়াট ও মিথ্যা কল্পকাহিনীতে হোটেল গ্রীণ হিলে ২৩ আগস্ট ধর্ষণের ঘটনা সাজিয়ে গত ২৮ আগস্ট জালালাবাদ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই দুই মামলার বাদী এবং মামলার প্রধান আসামি তানিয়া হোটেলেকক্ষ ভাড়া নেনে নাম ও পরিচয় গোপন করে এবং ৫ দিন পরে ধর্ষণ ঘটনার নাটক সাজিয়ে তাদের পরিচিত ও মামলায় উল্লেখিত নগরীর খুলিয়া পাড়ার আব্দুল ওয়াদুদ ও জাহানারা বেগমের ছেলে মেহদী হাসান সুমনকে সাথে নিয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা দাখিল করেন। কিন্তু পরবর্তীতে সুমন জানান, দুই তরুণীকে তিনি চিনেন না। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ফলে তার রাজনৈতিক ছোট ভাই অভি ওই দুই তরুণীকে তার কাছে নিয়ে এসেছিলো, তাই থানায় নিয়ে যান। তাছাড়া অভি তাকে বলেছে- তরুণী দুজনেই ড্যান্স করে মুরাদ নামের ড্যান্সারের সাথে। তাই মুরাদ অভির মাধ্যমে সুমনের কাছে ওই দুইজনকে পাঠিয়েছেন। এ বিষয়ে ড্যান্সার মুরা আমাদের জানান- তিনি এই দুই তরুণীকে চিনেন মাত্র এক সপ্তাহ থেকে। ড্যান্স শিখতে তার কাছে গিয়েছিল তারা, কিন্তু তাদের চলাফেরা ও চারিত্রিক দিকটি তার কাছে সন্দেহজনক মনে হয়েছিল। তাই তাদেরকে তিনি ড্যান্স ক্লাসে ভর্তি না করে শুধু আসতে-যেতে বলেছিলেন। কিন্তু দুইদিন আসার পর ৫ দিন না এসে ৬ দিনের সময় ওই দুইজন গিয়ে বলে তাদের মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে। তাই তা উদ্ধারের জন্য তার বড় ভাই তেলিহাওর গ্রুপের ছাত্রলীগ নেতা সুমনের কাছে পাঠান। পরে কী হয়েছে তিনি তা আর জানেন না। মুরাদ ও সুমনের বক্তব্য শুনে দুই তরুণীর সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলেন, মামলার বিষয়ে কিছু জানতে হলে পুলিশের কাছ থেকে জেনে নিতে হবে, তারা কিছু জানেন না।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, দুই তরুণী ধর্ষণের মামলায় গ্রীণ হিল হোটেলের যে সকল কক্ষের কথা উল্লেখ হয়েছে তা সম্পুর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। ২৩ আগস্ট গ্রীণ হোটেলের রেজিস্ট্রার অনুযায়ী ৩০১ নং রুমে কোনো বর্ডার উঠেনি। তবে রেজিস্ট্রার খাতার ক্রমিক অনুযায়ি ৯৯১৫০, ৯৯১৫১ ও ৯৯১৫২ ক্রমিকে ৩০৩ নম্বর কক্ষে গৃহিনী পরিচয়ে উঠেন তিনজন মহিলা, এর মধ্যে দুই বোন ও একজন মহিলা ছিলেন এবং কোনো পুরুষের নাম উল্লেখ নেই। তাছাড়া মামলা দুটির এজাহারের বক্তব্যের বেশ গড়মিল আছে। নাট্যশিল্পী পরিচয় দানকারী তার মামলায় লিখেন, তাকে ২৩ আগস্ট রাত ১১টা ৫০ থেকে পরদিন ৫ টা পর্যন্ত ৪ জন মিলে ৫ বার ধর্ষণ করে। আইএলটিএস পড়ুয়া পরিচয় দানকারী তরুণী তার মামলায় উল্লেখ করেন- একই সময়ে তাকেও ঘুরে ফিরে ৫ জন ৭ বার ধর্ষণ করেছে। অথচ এই সময়ের তারা হোটেল কর্তৃপক্ষ অথবা হোটেলে থাকা অন্য বর্ডারকে চিৎকার করে ডাকেননি বা পরদিন দুপুর ১ টা পর্যন্ত ছিলেন। সেখান থেকে গিয়েও থানায় কোনো অভিযোগ করেননি অথবা জরুরি নাম্বার ৯৯৯ এ ফোন করেও কিছু জানাননি। হোটেলে উঠা আইএলটিএস পড়ুয়া তরুণী কোনো আইএলটিএস সেন্টারে পড়েন না। ১ নং আসামি এবং মামলা দুটির বাদী মূলত দেহব্যবসায়ী। আর তার প্রমাণ পাওয়া যাবে মামলার বাদী দুই তরুণীর ডিএনএ টেস্ট করলে। তাছাড়া শিপলুর প্রতিপক্ষ তানভীর একজন মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায়ী এবং ছাত্রদল নামধারী সমাজের চিহিৃত সন্ত্রাসী, তার বিরুদ্ধে প্রায় ১৭টি মামলা রয়েছে। তানিয়া ও জুবেলের সাথে তানভীরের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। তাই শিপলুকে ধর্ষণ ঘটনার মামলায় ফাসানোর জন্য পূর্ব থেকে পরিকল্পনা করে তানভীর। ফলে তানভীর, জুবেল ও তানিয়ার মোবাইল নাম্বারের কল লিস্ট তুললে স্পষ্ট হয়ে যাবে ঘটনাটি।

তাহমিনা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তার স্বামী রানা আহমদ শিপলুকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ মামলার আসামি করা হয়েছে। তাই এই মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা থেকে তার নিরপরাদ স্বামীর মুক্তি চান এবং ধর্ষণ ঘটনা নাটকের পরিকল্পনাকারী ছাত্রদল নামধারি সন্ত্রাসী তানভীরসহ ধর্ষণ নাটক তৈরিকারীদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দেয়ার দাবি করেন।

 

 

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..