1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মহান শিক্ষা দিবস আজ

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৭০ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: আজ ১৭ সেপ্টেম্বর (শনিবার) ‘মহান শিক্ষা দিবস’। ১৯৬২ সালের এদিনটি জাতীয় ইতিহাসে আজো গৌরবোজ্জল। এদিনে পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর চাপিয়ে দেওয়া শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনে শহীদ হয়েছিলেন ওয়াজিউল্লাহ, গোলাম মোস্তফা, বাবুলসহ অনেকে।

তাদের স্মরণে প্রতি বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর দিনটিকে শিক্ষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে।

সেদিন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান গঠিত শিক্ষা কমিশনের শিক্ষানীতির প্রতিবাদে ছাত্রদের আহুত হরতালে পুলিশের দফায় দফায় লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, তৎকালীন স্বৈরশাসক আইয়ুব খান তার ক্ষমতা দখলের ২ মাসের মাথায় ১৯৫৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর এস এম শরীফের নেতৃত্বে গঠন করেন শরীফ কমিশন খ্যাত শিক্ষা কমিশন। ১৯৫৯ সালের ২৬ আগস্ট কমিশনের পেশ করা প্রতিবেদনের প্রস্তাবনাগুলো ছিল শিক্ষা সংকোচনের পক্ষে।

প্রতিবেদনটিতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীদের বেতন বাড়ানোর প্রস্তাবনাই শুধু ছিল না, বরং ২৭ অধ্যায়ে বিভক্ত শরীফ কমিশনে উচ্চশিক্ষা সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছিল ধনী শ্রেণির জন্য। এছাড়া কমিশন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বায়ত্তশাসনের পরিবর্তে পূর্ণ সরকারি নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রস্তাব রাখে।

এমনকি কমিশন বাংলা বর্ণমালা সংস্কারেরও প্রস্তাব করে। আইয়ুব খানের চাপিয়ে দেওয়া শরীফ কমিশনের এ পক্ষপাতমূলক শিক্ষানীতি প্রতিহত করতে গড়ে উঠেছিল ব্যাপক ছাত্র আন্দোলন।

ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন পাকিস্তান সরকারের এ শিক্ষানীতির বিরোধিতা শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৬২ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সারাদেশে হরতাল পালনের ঘোষণা দেয় তৎকালীন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ।

ওই দিন সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সমাবেশে হাজার হাজার মানুষ অংশ নেয়। সমাবেশ শেষে মিছিল বের হয়। একপর্যায়ে মিছিলে পুলিশ পেছন থেকে লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি বর্ষণ করে।

সরকারি হিসাবে সেদিনের পুলিশের হামলায় ১ জন নিহত, ৭৩ জন আহত ও ৫৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল- একজন নন, নিহত হয়েছেন মোস্তফা, বাবুল, ওয়াজিউল্লাহ- এ ৩ জন। সেই থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও ছাত্র সংগঠন প্রতি বছর এ দিনটিকে ‘মহান শিক্ষা দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় শিক্ষক-কর্মচারী ফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে এ দিবসটি পালন করা হয় না। আমাদের বিভিন্ন সমাবেশে মন্ত্রী বা সংসদ সদস্যরা এসে সমর্থন দিলেও জাতীয় শিক্ষা দিবসকে তুলে ধরতে সরকারিভাবে কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। সরকারি ও বেসরকারিভাবে শিক্ষা দিবসের গুরুত্ব তুলে ধরতে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।

দিবসটি উপলক্ষে আজ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন ও সাংস্কৃতিক দল নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..