1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:৫৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অনন্ত থেকে শুরু আর অনন্তেই লয়

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ১৬৯ বার পঠিত

আফতাব চৌধুরী :

বর্তমান সমাজ এমনিতেই বুড়োদের নিয়ে শ্রান্ত, ক্লান্ত ও বিভ্রান্ত। তার মধ্যে ক্রমশ প্রবীণদের সংখ্যাবৃদ্ধি সমাজ স্তরে নিয়ে আনছে বিশেষ পরিবর্তন। এক সমীক্ষা সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশে গড় আয়ু নাকি ৭২ থেকে বেড়ে ৭৫ হয়েছে। কমেছে শিশুদের মৃত্যুর হারও। একদিকে এটা ভালো কথা, উন্নতির কথা। স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা ক্ষেত্রে উন্নতির অবদান হিসাবে এটাকে দেখা হচ্ছে। বর্তমানে শুধুমাত্র উন্নত মানের ওষুধই নয়, শরীরের যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করাও সম্ভব হচ্ছে। কসমেটিক সার্জারিরও ছাড়াছড়ি। অপারেশন করে শরীরের নানা জটিল ক্ষত সারিয়ে ফেলা হচ্ছে। দু’একটি অসুখ ছাড়া সবই আরোগ্যযোগ্য প্রায়।
সুতরাং যাঁদের টাকাপয়সা আছে ও উন্নত সুযোগ-সুবিধা আছে তাঁদের আয়ুও বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের মত গরিব দেশে গড় আয়ু যখন ৭৫, তখন ধনী বা উন্নত দেশে তা তো অচিরেই ৮০ ছাড়াবে। গরিব দেশে জনসাধারণ যেখানে ব্যক্তিগত খরচে চিকিৎসা করতে পারে না সেখানে ভালো সরকারি ব্যবস্থায় চিকিৎসা হলে সমাজে কিছুটা সমতা আসে। যাক, ধরে নেওয়া গেল, সুযোগ যত বিস্তারিত হচ্ছে বা হবে গড় আয়ু ততই বাড়ছে এবং বাড়বে, ফলে প্রবীণদের সংখ্যা বেশি কিন্তু কোনো কোনো উন্নত দেশে যুবক/প্রবীণ প্রায় সমান। কোথাও প্রবীণ বেশি হবে কারণ সেসব দেশে নবজাতকের সংখ্যা প্রায় শূন্যে ঠেকে যাচ্ছে বা যাবে। সুদূর আমেরিকাতে এখন যাঁরা প্রৌঢ়, তাঁরা চিন্তা করছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদের বহন করার উপযোগী টাকার অঙ্ক সামাজিক সুরক্ষা ফান্ডে দিতে পারবে কি না। কারণ সেখানে শিশু জন্মহার কমে যাচ্ছে। কোনো কোনো পরিবারে সন্তানও থাকছে না। মা-বাবা অর্থ উপার্জনে মশগুল, সন্তান ধারণ বা পোষণ করার সময় কোথায়? আবার অতিরিক্ত প্রোটিন গ্রহণ করায় সন্তান হচ্ছে না। তাই অনেকেই এখন দত্তক নিচ্ছেন।
আমাদের দেশেও মধ্যবিত্ত সমাজে সন্তান কম। বড় জোর দুই। এক সন্তানও বেছে নিচ্ছেন কেউ কেউ। কারণ এঁদের ভালো করে মানুষ করতে হবে। ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, প্রফেসর, অফিসার ইত্যাদি হচ্ছে সত্যি কিন্তু কতখানি মানুষ হচ্ছে কে জানে। যখন দেখা যায় এরা বৃদ্ধ পিতামাতার যথাযথ যতœ নিচ্ছে না, তখন কষ্ট হয়। পত্র-পত্রিকায় তো মাঝে মাঝেই বৃদ্ধ পিতামাতার দুরবস্থার কথা উঠে আসে। বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নিয়ে বাড়ি থেকে রাস্তায় বের করে দেয় নিজের মা-বাবাকে এমন সংবাদ আমরা মাঝে মধ্যে পত্র পত্রিকায় দেখতে পাই। এমন ঘটনাও ঘটছে বর্তমান সমাজে। আবার খুব গরিব ঘরে বা অশিক্ষিতরা মা-বাবাকে যতটুকু পারে মর্যাদা দেয় হয়তো ধর্মভীতি এখানে কাজ করে। তবে আস্তে আস্তে এই মানবধর্মটুকু বিদায় নিচ্ছে। যাই হোক, পারিবারিক ক্ষেত্রে যেখানে সন্তান মা-বাবাকে বহন করতে চাইছে না বা পারছে না সেখানে সমাজ বা রাষ্ট্র কী করছে ভাববার বিষয়।
কিছু কিছু সমাজসেবী সংস্থা বৃদ্ধবাস ইত্যাদি চালু করেছে। বিনা খরচে বা কিছু টাকা নিয়ে বৃদ্ধদের সেবা প্রদান করছে। কোনো কোনো সংস্থা আবার বাড়ি গিয়ে সামান্য চাঁদার বিনিময়ে বৃদ্ধদের বিভিন্ন কাজ করে দেয়। কিন্তু খুব ভালোভাবে সব প্রতিষ্ঠান চলছে না।
ছেলে-মেয়েরা যাতে মা-বাবাকে দেখাশোনা করে তার জন্য কিছু আইন সরকার চালু করেছে সরকার। প্রচলন হয়েছে বৃদ্ধ ভাতার। সরকার চালিত ভালো বৃদ্ধাশ্রম চালু হলে আরো ভালো হয়। যাঁরা কোনো কাজ করতেন তাঁদের জন্য পেনশন স্কিম চালু আছে। তা ছাড়া, ইনস্যুরেন্স কোম্পানি, ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে নানা মাসিক আয় প্রকল্প চালু আছে।
এখন বিভিন্ন দেশে পেনশন প্রকল্প নিয়ে একটি লেখার উপর সংক্ষেপে সামান্য আলোকপাত করা যাক। দি টেলিগ্রাফ পত্রিকায় ১২ নভেম্বর, ২০১৩ তারিখে ১২ পৃষ্ঠায় ‘‘টহধভভড়ৎফধনষব ষড়হমবারঃুৃ’’ প্রবন্ধে দেশাই খুব সুন্দরভাবে আলোচনা করেছেন। তিনি ‘‘ঞযব ঙৎমধহরুধঃরড়হ ভড়ৎ ঊপড়সড়সরপ ঈড়-ড়ঢ়বৎধঃরড়হ ধহফ ফবাবষড়ঢ়সবহঃ ’’-এর রিপোর্টকে ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করেছেন। কয়েকটি ধনী দেশ এই সংস্থা গড়েছে। এই সংস্থা সমীক্ষা করে দেখেছে যে, বিভিন্ন দেশ তিন ভাগে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। প্রথমত, কোনো কোনো দেশ অবসরের বয়স বাড়িয়ে দিয়েছে। সাধারণত জাতীয় গড় আয়ুর সাথে অবসরের বয়স এক করে দেওয়া হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কেউ কেউ কন্ট্রিবিউটরি পেনশন স্কিমকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ইক্যুইটি বা ন্যায়ের ভিত্তিতে কোথাও পেনশনের আয় বন্টন করা হচ্ছে। তৃতীয়ত, কোনো কোনো দেশ তাদের নাগরিকদের বৃদ্ধ বয়সের জন্য বেশি সঞ্চয় করতে বাধ্য করছে।
এদিকে, ইউরোপীয়ান দেশগুলো যে পেনশন দেয় তা পেনশন প্রাপকের জমার পাঁচ ভাগের তিন ভাগ হয় মাত্র। তাই তাঁদের বাধ্য হয়ে পেনশনে যাওয়ার পরও কাজ করতে হয়। ওইসব দেশে পেনশনের বয়স হল ছেলেদের বেলায় ৬২ বছর ও মেয়েদের ৬০ বছর। আবার কখনও চাকুরির সর্বনিম্ন বয়স ৩৫ বা ৪০ বছর ধরে পেনশন দেয়। কোনো সরকার ওই সর্বনিম্ন বয়স থেকে বেশি কাজ করলে প্রতি বছর অতিরিক্ত বোনাস পায়। তবে তাকে ট্যাক্স দিতে হবে। জাপানে এই ট্যাক্স কম তাই সে দেশে ৭৫ শতাংশ বৃদ্ধ কাজ করেন। বেলজিয়ামে এই ট্যাক্স বেশি তাই মাত্র ২০ শতাংশ বৃদ্ধ পেনশনের বেশি বয়স পর্যন্ত কাজ করেন। গ্রিসে আবার অবসরের পর কাজ করলে সারা জীবনের আয় ৮৫ শতাংশ কমে যাবে। তাই সেখানে অবসরের পর কেউ কাজ করেন না। আবার লু´েমবার্গের কর্মীরা সেখানে ক্ষতির ভয়ে ফ্রান্স বা বেলজিয়ামে গিয়ে কাজ করেন আর নিজেদের লুক্সেমবার্গের বাড়ি কোম্পানিকে ভাড়া দিয়ে বাড়তি আয় করেন।
আরেকটি কথা হল, সরকারের ইচ্ছা বৃদ্ধরা বেশিদিন কাজ করুন তবে পেনশন ভার কমবে। কিন্তু বৃদ্ধরা বেশিদিন ধরে কাজ করলে তাঁদের বেতন বাড়বে ফলে শিল্প প্রতিষ্ঠানের খরচ বাড়বে। তাই নিয়োগকারীরা বৃদ্ধদের ছাঁটাই করে যুবকদের চাকুরি দেন।
তা ছাড়া বৃদ্ধদের দক্ষতা কমে যায় বা পুরনো হয়ে যায়। তাঁরা নতুন করে সবসময় সব কিছু নিতেও পারেন না। তাই বিভিন্ন আইন করেও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বৃদ্ধদের বেশিদিন কাজে রাখা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের দেশে যুবকদের মধ্যে বেকার সমস্যা এত বেশি যে, তারা বৃদ্ধদের বেশিদিন চাকুরি করা পছন্দ করেন না বা করবেন না। আবার বৃদ্ধরা যে বসে বসে পেনশন পান এটাও ঠিক সহ্য করতে পারেন না।
যাক দেখা যাচ্ছে, বিদেশে আইন করেও বৃদ্ধদের কাজের পরিধি বাড়ানো যাচ্ছে না। নিয়োগকারীরা যুবকই পছন্দ করছেন। তবে দেশের নিয়োগ ক্ষমতা ভালো থাকলে যুবা-বৃদ্ধ সবাই কাজ পান। তবে সব দেশেই পেনশন ফান্ড বিভিন্ন জায়গায় খাটানো হয়। দুটি জিনিস মাথায় রাখা হয়-১) কিছু টাকা অবশ্যই স্থির রাখতে হবে জীবন চলার জন্য অর্থাৎ ঝধভবঃু ২) টাকা খাটিয়ে ঝুঁকি নিয়ে লাভের চেষ্টা করা। তবে সরকার টাকা খাটানো বিভিন্ন নিয়ম করে দেয়।
এদিকে দেখা গেছে, বিভিন্নভাবে টাকা খাটালেও লাভ খুব একটা হয় না। ২০১২ ও তার আগের পাঁচ বছরের হিসাবে ডেনিশ পেনশন ফান্ড ৬.১ শতাংশ বার্ষিক রিটার্ন পেয়েছে। ইস্টনিয়াতে ৫.২ শতাংশ মূল্য হ্রাস হয়েছে। ওইসিডি যে ৩১ টি দেশে সমীক্ষা করেছে তার মধ্যে ১৮ টি দেশের পেনশন ফান্ড খাটিয়ে ক্ষতিই হয়েছে। কারণ ঝধভবঃু বজায় রাখতে তারা সরকারি বন্ড ইত্যাদিতেই বেশি টাকা খাটিয়েছে। কোনো ঝুঁকি নেয়নি। আবার কিছু দেশ যেমন ইউএসএ, কানাডা, ফিনল্যান্ড, অষ্ট্রেলিয়া ও পোলান্ড শেয়ারেও টাকা খাটিয়েছে। কেউ কেউ আবার সম্পত্তি, ঋণ, প্রাইভেট ইক্যুইটিতে টাকা খাটিয়েছে। তবে বেশির ভাগ ফান্ডের অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ হয়েছে। পূর্ব ইউরোপীয় দেশগুলো পশ্চিম ইউরোপীয় দেশেও এই ফান্ডের টাকা বিনিয়োগ করছে।
যাই হোক, সবদিক বিবেচনায় দেখা যাচ্ছে ধনী দেশগুলো বর্তমানে পেনশনের সুবিধা কমাবার চেষ্টা করছে। কারণ পেনশন ফান্ডে কুলাচ্ছে না। ওইসিডি বলছে, যেহেতু মানুষ দীর্ঘজীবি তাই অবসরের বয়সের সীমা বাড়িয়ে দিতে হবে। যখন মানুষ আর কাজ করতে পারবেন না তখন তাদের শিশুদের মতো যতœ করতে হবে। প্রফেসর দেশাইয়ের মতে, সেসব দেশে শারীরিক কষ্টে করণীয় কোনো কাজ নেই তাই বৃদ্ধরা কাজ অনায়াসেই করতে পারবেন। সুতরাং অবসরের দরকার নেই।
অনেকগুলো দেশের পেনশনের অবস্থা পর্যালোচনা করে বোঝা যাচ্ছে যে, আগে বৃদ্ধের সংখ্যা কম ছিল আর মৃত্যুও তাড়াতাড়ি ঘটত তাই নির্দিষ্ট পেনশন চালিয়ে যাওয়া সম্ভব ছিল। বর্তমানে বৃদ্ধদের জীবনরেখা অনেক বেড়ে গেছে, সংখ্যাও বেড়েছে, অর্থনৈতিক পরিস্থিতিও মাঝে মাঝে টালমাটাল হয়ে পড়ছে। তাই ভবিষ্যতে বৃদ্ধরা কতটা নিশ্চিন্ত হয়ে থাকতে পারবেন, তা সময়ই বলবে।
তাই বৃদ্ধদের যথাসম্ভব সুস্থ থেকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নতির দায়িত্বভার থেকে একেবারে দূরে সরে দাঁড়ালে চলবে না। যতদিন সম্ভব কারোর উপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত নয়। কিন্তু মুশকিল হল, বৃদ্ধরা কোনো অর্থকরী কাজের জন্য যদি যুবকদের সাথে প্রতিযোগিতা করেন তাহলে যুবকরা মেনে নেবে না কারণ চাহিদার তুলনায় তারা কাজ করতে পারবেন বেশী। আরেকটা কথা, যুবকরা আর বৃদ্ধদের খবরদারি পছন্দ করে না। তাই স্বস্তিতে থাকতে হলে খবরদারিও কিছুটা কমাতে হবে। অর্থকরী কাজ ছাড়াও অন্যান্য সমাজসেবামূলক কাজ, সাহিত্য ও সংস্কৃতিমূলক কাজ বৃদ্ধরা অবশ্য করতে পারেন। তবে প্রশ্ন হল, যাঁরা অতিবৃদ্ধ, অশক্ত তাঁদের প্রতিপালন করা পারিবারিক ক্ষেত্রে একান্ত সম্ভব না-হলে সমাজ ও সরকারকে তাঁদের ভার অবশ্যই নিতে হবে। সরকারি সুন্দর, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, স্বাস্থ্যসম্মত, সুচিকিৎসক ও ভালো নার্সিং এর ব্যবস্থাসহ সরকারি বৃদ্ধালয় অবশ্যই থাকা দরকার।
মানুষ মরণশীল। এ জেনেও মানুষ প্রতিনিয়ত কাজ করে চলেছে। তাই তো কবি লিখেছেন ‘ মরিতে চাহিনা আমি সুন্দর ভুবনে।’ আবার অনেক চিন্তায়, অনেক ভাবনায়, অনেক তপস্যায় মানুষ যখন বোঝে মৃত্যুই চিরশান্তি, মৃত্যুই ধ্রæব, মৃত্যুই চিরসুখ তখনই কবির কন্ঠে আবার বেজে উঠে-‘মরণরে তুঁহু মম শ্যাম সমান।’
তাই বলে ইচ্ছামৃত্যুর নিদান কেউই দিচ্ছেন না। প্রাচীনকালে ভীষ্মদেবের ইচ্ছামৃত্যু ঘটেছিল। কিন্তু সারাজাীবন অনেক জ্বালা-যন্ত্রণা সহ্য করার পরই। বর্তমানে দু-একটি দেশ ছাড়া কোনো দেশই ইচ্ছামৃত্যুর ছাড়পত্র দেয় না। দু-একটি দেশও গভীর যন্ত্রণা লাঘবে শর্তসাপেক্ষে ইচ্ছামৃত্যু চাইছে। তাই অতিবৃদ্ধরা চাইলেই পৃথিবী ছেড়ে যেতে পারবেন না। তাই তাঁদের শান্ত হতে হবে, ধ্যান করতে হবে, বৃহৎ কিছুতে মনোযোগ দিতে হবে। সময় এলে চলে যাবেন কেউ দাগ রেখে, কেউ নীরবে। তারপরও তো যন্ত্রণা। শরীর মেডিকেল কলেজে দেব? নাকি কবর দেওয়া হবে? নাকি সলিল সমাধি? মিশরের মমি করার ব্যবস্থা এখন প্রায় অবলুপ্ত। নয়তো তাও করা হত। মানুষ তো বুদ্ধিমান জীব। তাই তো বুদ্ধির মারপ্যাঁচ। অর্থাৎ শেষেরও তো শেষ নেই। তাই স্বীকার করতে হবে যেখানে উৎপত্তি, সেখানেই নিষ্পত্তি। অনন্ত থেকে শুরু, অনন্তেই লয়। সাংবাদিক-কলামিস্ট।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..