শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:২৯ পূর্বাহ্ন
বিশেষ প্রতিবেদক: পর্যটকরা সারা বছর আসতে চান ঘুরতে চান জল কন্যা ও চায়ের দেশ খ্যাত মৌলভীবাজার জেলায়। পর্যটনের অপার সম্ভাবনাময় এই জেলাকে বলা হয় প্রকৃতির এক অপরুপ লীলাভূমি। এ জেলায় একদিকে পাহাড় অন্যদিকে সারি সারি চা বাগান। রয়েছে কয়েকটি ঝর্ণাধারাসহ বিস্তৃর্ণ এশিয়ার বৃহত্তম হাকালুকি হাওর। ছোট বড় মিলিয়ে রয়েছে অর্ধশতাধিক নয়াভিরাম দর্শনীয় স্থান। এছাড়া এশিয়ার অন্যতম রেইনফরেষ্ট লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান ঘিরে সারা বছরই থাকে দেশী বিদেশী পর্যটকদের আনাগোনা। কিন্তু এতো সম্ভাবনা থাকার পরও নানা কারনে কমছে পর্যটকের সংখ্যা।
বিগত দুটি বছর করোনার কারনে পর্যটন শিল্পে অনেকটা ধ্বস নেমেছিলো। তারপর সেই ক্ষতি কাটানোর শুরুতে সিলেটের মতো মৌলভীবাজারেও বন্যার কারনে আবারও ধ্বস নামে পর্যটন ব্যবসায়। বিগত ইদুল ফেতরে কিছুটা ব্যবসা হলেও ঈদুল আযহায় সিংহ ভাগ ফাঁকা ছিলো পর্যটন সংশ্লিষ্ট হোটেল,রির্সোট,গেষ্টহাউস ও বাংলো। অথচ বছর কয়েক বছর আগেও প্রতিদিন বিপুল সংখ্যক পর্যটক আসতেন মৌলভীবাজারের দর্শনীয় স্থানগুলো দেখতে। শুধু দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটকদের আনাগোনা লেগে থাকতো। কিন্তু নানা কারনে পর্যটকদের আকর্ষন কমছে।
স্থানীয় একাদিক সমাজ সেবক/জনপ্রতিনিধিরা বলেন- এদিকে প্রকৃতিগত ভাবে গড়ে উঠা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত,হাইল হাওর,বাইক্কা বিল, হাকালুকি হাওর,মাধবপুর লেইক, হামহাম জলপ্রপাত,লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান, বিস্তৃর্ণ চা বাগানসহ পর্যটকদের পছন্দের স্থান।কিন্তু সেই সব প্রকৃতি নির্ভর দর্শনীয় স্থানগুরোতে বছরের পর বছর কোন উন্নয়নের ছোয়া লাগেনি। নতুন আকর্ষনীয় কোন কিছু যুক্ত হয়নি। ফলে সেই সব জায়গায় সুযোগ সুবিধা কম থাকায় আগের মতো পর্যটকদের সংখ্যা কমছে।
স্থানীয় হোটেল/মোটেল/ব্যবসায়ীরা- মৌলভীবাজার পর্যটন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক,সামাজিক উন্নতি সম্ভব। এর ফলে এখানে প্রচুর কর্ম সংস্থান ও তৈরী হতে পারে। ইতি মধ্যে শ্রীমঙ্গলে পর্যটনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পাঁচতারা মানের গ্র্যান্ড সুলতান রিসোর্ট সহ অত্যাধুনিক সুবিধা সম্মত শতাধিক রুচিসম্মত কটেজ,রিসোর্ট।
এনিয়ে মীর নাহিদ আহসান, জেলা প্রশাসক, মৌলভীবাজার এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন-এদিকে বিশাল সম্ভাবনা থাকা সত্বেও সঠিক পরিকল্পনার অভাবে এলাকায় পর্যটন শিল্পে পিছিয়ে আছি। এ শিল্পের উন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সমন্বিত পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত সবপক্ষকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। দেশীয় পর্যটন বিকাশের পাশাপাশি বিদেশি পর্যটক আকর্ষণে প্রচার-প্রচারণার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। পাশাপাশি এ শিল্পের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।
রাস্তাঘাটসহ সার্বিক ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটাতে সঠিক কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পর্যটন শিল্প অন্যতম ভূমিকা পালন করতে পারবে এমনটাই প্রত্যাশা মৌলভীবাজারবাসীর।