নিজস্ব প্রতিবেদক:শ্রীমঙ্গলে প্রতারনা করে আওয়ামীলীগ নেতার ৬০ লাখ টাকা আত্মসাত মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতারে পুলিশের গাফিলতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক দেবাংশু সেন অভিযোগ করেন, বিগত জুলাই মাসে বিজ্ঞ আদালত সাজা পরোয়ানা তামিলে জেলা পুলিশকে নির্দেশ দিলেও শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশ দন্ডপ্রাপ্তকে গ্রেফতারে গাফিলতির পরিচয় দিচ্ছেন। পুলিশকে অনুরোধ করা সত্বেও তারা কোন ভুমিকা পালন করছে না। এতে করে তার পাওনা ৬০ লক্ষ টাকা আদায় নিয়ে অনিয়শ্চতা দেখা দিয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, শ্রীমঙ্গল উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা দেবাংশু সেন ইট কেনার জন্য শ্রীমঙ্গল শহরের কলেজ রোড নিবাসী আব্দুল জব্বারের পুত্র ও মাজডিহি এলাকার মেসার্স মদিনা ব্রিক্সস এর সত্বাধিকারী আব্দুস সাত্তারকে ৬০ লক্ষ টাকা অগ্রিম পরিশোধ করেন। কিন্তু বিবাদী আব্দুস সাত্তার সময়মত ইট পরিশোধ না করার এক পর্যায়ে আব্দুস সাত্তার গত ১২ এপ্রিল দেবাংশু সেনকে ৬০ লক্ষ টাকার এটি চেক প্রদান করেন। ১৪ এপ্রিল চেকটি ব্যংক কর্তৃক প্রত্যাখাত হলে দেবাংশু সেন আইনজীবির মাধ্যমে পত্রিকায় আইনগত নোটিশ প্রচার করেন। এরপর যথারীতি মৌলভীবাজার ২ম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-দায়রা ৩২২/২০২১ জিআর ১৫৫/২০২১ইং তারিখ ০৬/০৬/২০২১ইং।
পরে মামলাটি জেলা ২য় যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরিত হয়। গেল ২৯ নভেম্বর ২০২১ তারিখে আদালত কর্তৃক আসামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ১৭ জুলাই অভিযোগ প্রমানিত হলে বিজ্ঞ আদালত আসামী আব্দুস সাত্তারকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছরের কারাদন্ড ও বাদীর অনুকূলে ৬০ লক্ষ টাকা জরিমানার রায় প্রদান করেন। রায় প্রদান কালে আসামী আব্দুস সাত্তার পলাতক ছিলেন। আদালত আসামীর বিরুদ্ধে দন্ডসাজা তামিলের জন্য পুলিশের কাছে গেল ২৭ জুলাই ওয়ারেন্ট জারি করলেও বাদী দেবাংশু সেনের অভিযোগ পুলিশ আসামী ধরতে আন্তরিক না । তিনি বলেন, এরই মধ্যে আসামী ধরতে কয়েক দফা শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে ধর্না দিলেও কাজ হয়নি। এ কারনে আদালতের রায় সত্বেও তিনি তার পাওনা বিপুল পরিমান অর্থ আদায় নিয়ে শংকায় আছেন।
এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাজাপ্রাপ্ত ওই আসামী দ্রুত গ্রেফতারে সংশ্লিষ্ট পুলিশের কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেবেন বলে জানান।