শুক্রবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩১ পূর্বাহ্ন
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত দুই বছরের কম সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জমি হাতছাড়া হয়েছে ৮৬৯ একরের বেশি। বিগত ১০ বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের তথ্য সংবলিত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। জানতে চাইলে ডিআইএ’র যুগ্ম পরিচালক বিপুল চন্দ্র সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করে আমরা শিক্ষক নিবন্ধন সনদ জাল শনাক্ত করেছি। ২০২১ সালের মার্চ থেকে ২০২২ সালের আগস্ট পর্যন্ত জমি বেহাত হওয়ার তথ্য পেয়েছি। অবৈধ নিয়োগের কারণে এবং প্রাপ্যতার অতিরিক্ত নেয়া অর্থ ফেরতের সুপারিশ করা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের কাছে সুপারিশ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে।বিপুল চন্দ্র সরকার জানান, গত ১০ বছরে দেশের ২৪ হাজার ৯৭৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিদর্শন প্রতিবেদনও পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। গত ২৪ জুন ডিআইএ’র পরিচালক অধ্যাপক অলিউল্লাহ মো. আজমতগীরের সই করা প্রতিবেদনে জানানা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের মোট জাল সনদ শনাক্ত হয়েছে এক হাজার ১০৮টি। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৮২৪টি এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ২৮৪টি।মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শুধু শিক্ষক নিবন্ধন জাল শনাক্ত হয়েছে ৬১৫টি। নেকটারের কম্পিউটার সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ১৬০টি। অন্যান্য সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ৪৯টি। সর্বমোট ৮২৪টি।আর কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ২০১২ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত শিক্ষক নিবন্ধন জাল শনাক্ত হয়েছে ১৮৪টি। নেকটারের কম্পিউটার সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ৮৯টি। অন্যান্য সনদ জাল শনাক্ত হয়েছে ১১টি। সর্বমোট ২৮৪টি। এসব জাল সনদের বিপরীতে শিক্ষকদের গ্রহণ করা অর্থ ৪৯ কোটি ৮২ লাখ ৪৫ হাজার ৩৬০ টাকা। এর মধ্যে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের ৩৬ কোটি ১০ লাখ, ৬৮ হাজার ৪৭৪ টাকা এবং কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের ১৩ কোটি ৭১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৮৬ টাকা।