শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৬ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক: রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষীয়ান সাংবাদিক, দৈনিক বাংলা ও নিউজ বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানকে শেষশ্রদ্ধা জানিয়েছেন তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ বিশিষ্টজনেরা। সোমবার দুপুর পৌনে একটার দিকে তার মরদেহবাহী অ্যাম্বুলেন্স প্রেসক্লাব চত্বরে পৌঁছায়। সেখানে ১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে টেনিস গ্রাউন্ডে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় অংশ নেন বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের সাংবাদিকরা। জানাজা শেষে সাংবাদিক, বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এ সময় শ্রদ্ধা জানাতে প্রেস ক্লাবে হাজির হন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপুমনি। এছাড়াও জানাজার নামাজ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাব-এডিটরস কাউন্সিল, সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, নারী সাংবাদিক কেন্দ্র, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং তোয়াব খানের দীর্ঘদিনের কর্মস্থল জনকণ্ঠসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘যে কোনো পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার অনন্য এক ক্ষমতা ছিল তোয়াব খানের। তার সাংবাদিকতা, কর্মজীবন আমাদের জন্য অনুপ্রেরণা।’প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান বলেন, ‘চিন্তা ও মননে তিনি আজীবন একজন সক্রিয় সাংবাদিক ছিলেন। তিনি তার কর্মের মধ্যেই বেঁচে ছিলেন, কর্মের মধ্য দিয়েই আমাদের মাঝে থাকবেন।’ প্রথম আলোর উপসম্পাদক কথাসাহিত্যিক আনিসুল হক বলেন, ‘সম্পাদকদের সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। আমরা প্রতিনিয়ত তার কাছ থেকে শিখি। তার চলে যাওয়া বাংলাদেশের সংবাদ মাধ্যমের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’
জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, ‘আজকে আমরা শোকে ভারাকান্ত। আমাদের সঙ্গে হয়তো প্রকৃতিও আজ কাঁদছে। আমাদের (জাতীয় প্রেস ক্লাব) আজীবন সদস্য তোয়াব ভাই আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। আমি সবার কাছে বলব, আপনারা সবাই তার জন্য দোয়া করবেন আল্লাহ যেন তাকে বেহেশত নসিব করেন। তার মৃত্যুতে সাংবাদিকতা আজকে শূন্যস্থানে গিয়ে পৌঁছেছে। তোয়াব ভাইয়ের চলে যাওয়া মানে সাংবাদিকতার একটি ইতিহাসের অধ্যায় শেষ হওয়া।’
জাতীয় প্রেসক্লাবে জানাজা নামাজ শেষে তার মরদেহে শ্রদ্ধা নিবেদন করে জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা সংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ সাব-এডিটর কাউন্সিল, দৈনিক প্রথম আলো,কালেরকণ্ঠ, জনকণ্ঠ,সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট, নারী সাংবাদিক কেন্দ্রে, মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক ফোরাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য সংগঠন।
এর আগে সকাল ১০টায় দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় তোয়াব খানের প্রথম জানাজা। এরপর দুপুর ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় তাকে।
শহীদ মিনারে বরেণ্য সাংবাদিক তোয়াব খানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতির পক্ষে তার কার্যালয়ের কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তাঁর সহকারী সামরিক সচিব জিএম রাজিব আহমেদ, আওয়ামী লীগের পক্ষে থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
প্রেসক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বর্ষীয়ান এ সাংবাদিকের মরদেহ গুলশানে তার নিজ বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। বাদ আসর গুলশান আজাদ মসজিদে তৃতীয় জানাজা শেষে দাফন করা হবে বনানী কবরস্থানে।
এর আগে সকাল ১০টায় দৈনিক বাংলা ও নিউজবাংলার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় তোয়াব খানের প্রথম জানাজা। এরপর দুপুর ১২টায় মরদেহ নেওয়া হয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে। সেখানে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয় তাকে।
গত ১ অক্টোবর বার্ধক্যজনিত জটিলতায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বরেণ্য এই সাংবাদিক।