1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:২৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আধুনিক জীবনে ইন্টারনেটের অবদান

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১২ মে, ২০২১
  • ৩০৬ বার পঠিত
আফতাব চৌধুরী

বিশ্বের ক্রমবর্ধমান উন্নতির ধারক শিক্ষা সভ্যতা ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে পা ফেলে বিজ্ঞান জগতে নব নব আবিষ্কার গণমাধ্যমেও এনেছে বিস্ময়কর বিপ্লব। তারই ফলস্বরূপ আমরা পেয়েছি প্রতিদিনকার সংবাদপত্র, বেতার ও দূরদর্শন এবং তার পরই আজকের বিশ্বায়নের যুগে যে বিশেষ ব্যবস্থা আধুনিক জীবনের স্বরূপ সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে আজকের বিজ্ঞানের যুগান্তকারী গণমাধ্যম হল ইন্টারনেট ব্যবস্থা। ভাবতেও অবাক লাগে মাকড়সার জালের মতো ছড়িয়ে দেওয়া এই ইন্টারনেট রহস্যময় যোগসূত্র আমাদের এই পরিচিত পৃথিবীর বিশাল আয়তনের গ্রহটাকে ছোট্ট করে এনে দিয়েছে আমাদের সম্পূর্ণ আয়ত্তের মধ্যে।
ইন্টারনেট প্রক্রিয়ার দ্বারা আমরা আমাদের বাড়িতে বসে পছন্দমত খবরাখবর সহজে ও অতি অল্প সময়েই পেতে পারি। যেমন আমরা আমাদের বাড়ির বাইরে কোনো জায়গায় যেতে হলে সময় নষ্ট ও কষ্ট করে রেলওয়ে স্টেশনে টিকিট কাটার কাউন্টারে না-গিয়ে বাড়িতে বসেই কম্পিউটারের সাহায্যে আমাদের অবস্থান বুঝে অতি সহজেই টিকিট সংরক্ষণ করে নিতে পারি। শিক্ষার ক্ষেত্রেও এই ইন্টারনেট ব্যবস্থা ছাত্র-ছাত্রীদের জীবনে অতি সহজলব্ধ পন্থা। একজন ছাত্র তার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গত কয়েক বছরের প্রশ্ন ও উত্তর অতি সহজেই যুগান্তকারী গণমাধ্যমের পরিষেবায় লাভ করতে পারবে।
এবার দেখা যাক বিজ্ঞান জগতের এই নবতম আবিষ্কার ইন্টারনেট বলতে কী বোঝায়। ইন্টারনেট অর্থ হল যোগসূত্র বা নেটওয়ার্ক। ইন্টারনেটের এ প্রক্রিয়ার দ্বারা বিশাল আয়তনের বুকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কম্পিউটারগুলোর মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে তথ্যের আদান-প্রদানে সাহায্য করে। সারা পৃথিবীজুড়ে মাকড়সার জালের মতো কম্পিউটার সংযোগের জন্য বলা হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা ডবিøউ ডবিøউ ডবিøউ (িি)ি আর সেজন্য আমাদের ঠিকানা লেখার কম্পিউটারের পর্দায় তিনটি ডবিøউ টাইপ করতে হয়। ইন্টারনেট ব্যবস্থায় ঠিকানার পারিভাষিক নাম ওয়েব অ্যাড্রেস, আবার ঠিকানা লিখলে যে সাইটগুলো খুলে যায়, পরিভাষায় তার নাম হল ওয়েবসাইট। ইন্টারনেট পরিষেবায় আমাদের প্রথমেই কয়েকটি পরিভাষার অর্থ জানতে হয়। যেমন ( টজখ) (ইউআরএল), (ঐঞঞচ) (এইচটিটিপি) (িি)ি (ডবিøউডবিøউডবিøউ) প্রভৃতির বিশেষ তাৎপর্য বিভিন্ন সাসইটের নামকে বলা হয়-ইউনিফর্ম রিসোর্স লোকেটের বা (টজখ) (ইউ আর এল)।
১৯৬২ সালে গ্যালাকটিক, নেটওয়ার্ক কনসেপ্টের ধারণা প্রথমে আসে ম্যাসচুসেটস ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজি অধ্যাপক জে সি আর লিকলাইডারের চিন্তায় আর এ চিন্তা বাস্তবায়িত হতে সময় লাগে প্রায় দশ বছর তারপর অধ্যাপক লিকলাইডার সে কাজ ছেড়ে মার্কিন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রিত সংস্থা অ্যাপরায় যোগ দিলেন কম্পিউটার রিসার্চ প্রোগ্রামের প্রধান হয়ে। তারপর ১৯৭২ সালে ইন্টারনেট সূচনা হয় আমেরিকা ও অষ্ট্রেলিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ার জনসাধারণের মধ্যে প্রসার হতে সময় লাগে প্রায় আটবছর। ইতিমধ্যে ইরাকের বিরুদ্ধে উপসাগরীয় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। আর এ যুদ্ধের খবরাখবর ইন্টারনেট ব্যবস্থার মধ্যে সম্প্রসারিত হতে তদনীন্তনকালে প্রচুর জনপ্রিয় হয়ে উঠে। তারপর ইন্টারনেট ব্যবস্থা আস্তে আস্তে ঢুকে পড়ে গৃহস্তের অন্তঃপুরে।
ইন্টারনেট ব্যবস্থায় (চড়ৎঃধষ) পোর্টালের-এর উপযোগিতা হল বহুমাত্রিক। বহু-উপযোগী সাইটকে ইন্টারনেটের ভাষায় বলা হয় চড়ৎঃধষ । যেমন ইন্ডিয়ান কো-ডট-কম এই সাইটে প্রতিদিনকার তাজা খবর পাওয়া যাবে। এর পাশেই রয়েছে পাত্র-পাত্রী, জ্যোতিষী, আইনি পরামর্শ ইত্যাদি বিভিন্ন বিভাগ। আবার পোর্টালের সাহায্যে জমি কেনা-বেচা সব তথ্য পাঠানো যেতে পারে। তথ্য পাঠানোর প্রথম কাজ হল কম্পিউটার সফটওয়ারে-কম্পোজ করা। যে সফটওয়ারের নাম ওয়েব ব্রাউজার, কম্পোজ করার পর যে ঠিকানায় পাঠানো হবে তা টাইপ করতে হয় কম্পিউটারের পর্দায়। প্রত্যেক ওয়েবসাইটের নিজস্ব আড্রেস বা ঠিকানা আছে। কাজেই যে ঠিকানায় পাঠানোর জন্য কম্পোজ করা হয়েছে তা মোডেমের মাধ্যমে প্রথমে যাবে ইন্টারনেট সংযোগকারী মাস্টার কম্পিউটারের কাজ। আবার মাস্টার কম্পিউটার স্যাটেলাইটের কাছে-সে আবার তা গ্রহণ করে সঠিক গন্তব্য পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু এ প্রক্রিয়ায় কাজ হয় অতি দ্রæতগতিতে।
আধুনিক জীবনে এই ইন্টারনেটের অবদান অপরিসীম। প্রথমে ধরা যাক ই-মেইলের কথা। এক কম্পিউটার থেকে আর এক কম্পিউটারের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদানকে বলা হয় ই-মেইল। কোনো ডাকব্যবস্থা বা ক্যুরিয়ার সার্ভিস এত দ্রæত চিঠিপত্রের আদান-প্রদান করতে পারে না। ইন্টারনেটের প্রয়োজনীয়তা ছাত্র-ছাত্রী, সাংবাদিক, ডাক্তার ও বিজ্ঞানীদের কাছে খুবই বেশি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে-কোনো সময়ে তথ্য পাওয়া যায়। প্রতিটি সংবাদ সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট রয়েছে। খুললেই তাজা খবর বেরিয়ে আসে। চাকুরিপ্রার্থী তার পছন্দের চাকুরির খবর নিতে পারে এবং ই-মেইলের সাহায্যে তার বায়োডাটা ওই সংস্থাকে জানিয়ে দিতে পারে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম্পিউটারচালিত বাণিজ্যিক প্রোগ্রামের মাল কেনা-বেচা সম্ভবপর হয়। আবার বিনোদনের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অবদান বিশেষ উল্লেখযোগ্য। এই প্রক্রিয়ায় পছন্দসই অনুষ্ঠান দেখা বা উপভোগ করা যায়। টেলিফ্রেন্ডস-এর রমরমা থাকায় কথা সহজেই বলা যায়।
তবু আমাদের এ গরীব দেশে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সর্বত্র চালু করা সম্ভব নয়। কারণ এ ব্যবস্থায় খুবই ব্যয়বহুল-যা সাধারণের পক্ষে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই আমাদের এ ১৬ কোটি মানুষের দেশের এ ব্যবস্থার আওতায় এসেছে বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ।
আবার এটাও ঠিক ইন্টারনেট ব্যবস্থায় দেশের ক্রাইম বা অপরাধ প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ব্যাংক অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড আত্মসাৎ করে ইন্টারনেটর মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা ধুরন্ধর চোরেরা তাদের অ্যাকাউন্ট ঢুকিয়ে নিচ্ছেন বলে অভিযোগ আজকাল শোনা যায়।
তবু বিশ্বজোড়া প্রযুক্তির যুগে ইন্টারনেট ব্যবস্থা সভ্যতার অন্যতম অঙ্গ। সমগ্র পৃথিবী এখন উর্ণনাভের বাঁধনে বাঁধা। ছোট্ট ইউনিটের মুঠোয়-এ ব্যবস্থাকে এড়িয়ে থাকা চলে না। সাংবাদিক-কলামিস্ট।১২.০৫.২০২১

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..