1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:১৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

জাতির চার উজ্জ্বল নক্ষত্র.জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছিলেন আত্মার আত্মীয়

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ২৫৪ বার পঠিত
মকিস মনসুর

১৯৭৫ এর ১৫ই আগস্ট ও ৩রা নভেম্বর প্রতিবছর আমাদের শোকাবহ স্মৃতিকে আরো শোকার্ত করে তোলে। বাংলার আকাশ-বাতাস মাটি ও স্বাধীনতাকামী মানুষ এ বিষাদ স্মৃতি কোনোদিন ভুলতে পারবে না। যে কয়েকটি ঘটনা বাংলাদেশকে কাঙ্ক্ষিত অর্জনের পথে বাধা তৈরি করেছে, তার মধ্যে অন্যতমটি ঘটেছিল ১৯৭৫ সালের এই দিনে।কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেয়। বাংলাদেশের ইতিহাসে “জেল হত্যা’ সেইরকমই একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বাংলাদেশ স্বাধীনতা পর চার বছরের মাথায় ১৯৭৫ সালে ১৫ই আগষ্ট জাতির জনককে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতির ইতিহাসে যে কলংকময় অধ্যায় এর সূচণা করছিলো সেই ঘাতকচক্র বাঙালী জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর মধ্যরাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তরীণ জাতির চার মহান সন্তানকে নির্মম ও নৃশংসভাবে হত্যা করে জাতির ইতিহাসে দ্বিতীয় কলংকজনক অধ্যায়ের জন্ম দেয়। কারাগারের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকা অবস্থায় এমন জঘন্য,কলঙ্কিত,হৃদয়বিদারক নৃশংস ও বর্বরোচিত হত্যাকান্ড বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। স্বাধীন বাংলাদেশের যে কয়টি দিন চিরকাল কালো দিন হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে, তার একটি ৩ নভেম্বর।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের,একনিষ্ঠ
ঘনিষ্ঠ সহচর,মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দানকারী জাতীয় চার নেতা বঙ্গতাজ তাজউদ্দিন আহমেদ. সৈয়দ নজরুল ইসলাম.ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী. ও ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান ছিলেন৷ জাতির চার উজ্জ্বল নক্ষত্র. যারা বারবার জাতিকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারারুদ্ধ থাকাকালে বা তাঁর অবর্তমানে ও নিদর্শিত পথে মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দানকারী অন্যতম পরিচালক হিসাবে সর্বজন শ্রদ্ধেয় জাতীয় চার নেতাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ করে নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অপূর্ব দক্ষতার সাথে স্বাধীন বাংলার প্রথম সরকার পরিচালনা করেন ও বিজয় ছিনিয়ে আনেন। ’৭১-এর ১০ এপ্রিল মুজিবনগরে ‘বাংলাদেশ গণপরিষদ’ গঠন করে, সেই পরিষদে ‘স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র’ অনুমোদন করে তারই ভিত্তিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ গঠন করেন। প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপ্রধান নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং উপ-রাষ্ট্রপ্রধান সৈয়দ নজরুল ইসলাম। সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলী অর্থমন্ত্রী এবং এএইচএম কামারুজ্জামান স্বরাষ্ট্র ও পুনর্বাসন বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে ১৭ এপ্রিল শপথ গ্রহণ করেন এবং পরম নিষ্ঠার সাথে অর্পিত দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করার মাধ্যমে ৩০ লক্ষ শহীদ দান ও দু ‘লক্ষ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর আমরা পেয়েছিলাম বিজয়ের লাল বৃত্ত সবুজ পতাকা তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ।
এখানে উল্লেখ্য যে বঙ্গবন্ধুর মন্ত্রিসভার সবচাইতে ঘৃণিত বিশ্বাসঘাতক সদস্য হিসেবে পরিচিত এবং তৎকালীন স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি খন্দকার মোশতাক আহমেদ এবং বঙ্গবন্ধুর দুই খুনি কর্নেল (অব.) সৈয়দ ফারুক রহমান এবং লে. কর্নেল (অব.) খন্দকার আব্দুর রশীদ জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার এ পরিকল্পনা করেন। এ কাজের জন্য তারা আগে ভাগে একটি ঘাতক দলও গঠন করে। এ দলের প্রধান ছিল রিসালদার মুসলেহ উদ্দিন। সে ছিল ফারুকের সবচেয়ে আস্থাভাজন অফিসার। ১৫ আগস্ট শেখ মনির বাসভবনে যে ঘাতক দলটি হত্যাযঞ্জ চালায় সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছিল মুসলেহ উদ্দিন।
দক্ষিণ এশিয়ার প্রখ্যাত সাংবাদিক অ্যান্থ’নী মাসকারেনহাস তার ‘বাংলাদেশ অ্যা লিগ্যাসি অব ব্লাড’ গ্রন্থে এ বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
তিনি জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পরপরেই জেলখানায় জাতীয় চার নেতাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। পরিকল্পনাটি এমন ভাবে নেয়া হয়েছিল পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে যাতে আপনা আপনি এটি কার্যকর হয়। আর এ কাজের জন্য পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি ঘাতক দলও গঠন করা হয়।
এই ঘাতক দলের প্রতি নির্দেশ ছিল পাল্টা অভ্যুথান ঘটার সাথে সাথে কোন নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে কেন্দ্রীয় কারাগারে গিয়ে তারা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করবে।
পচাঁত্তরের ৩ নভেম্বর খালেদ মোশাররফ পাল্টা অভ্যুত্থান ঘটানোর পরেই কেন্দ্রীয় কারাগারে এই জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পর পরই পাকিস্তানের সামরিক জান্তা ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে জাতির জনককে তাঁর ঐতিহাসিক ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। পরে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী স্বাধীনতা যুদ্ধকালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ সরকারের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
মুক্তিযুদ্ধকালীন মুজিবনগর সরকারের সমধিক পরিচিত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তাজউদ্দিন আহমেদ একটি স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কোটি কোটি বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বঙ্গবন্ধুর অপর ঘনিষ্ঠ সহযোগী এএইচএম কামারুজ্জামান ও ক্যাপ্টেন মনসুর আলী আধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ পরিচালনার ক্ষেত্রে নীতি ও কৌশল নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
গোলাম মুরশিদ তার ‘মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর’ গ্রন্থে’ লিখেছেন মোশতাক জেল হত্যার পরিকল্পনা করেছিলেন কেবল ফারুক আর রশিদকে নিয়ে। তিনি ঠিক করেছিলেন, যে কোন পাল্টা অভ্যুত্থান হলে কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক তাজউদ্দিন আহমদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, মনসুর আলী এবং কামারুজ্জামানকে হত্যা করা হবে। যাতে নতুন সরকার গঠিত হলেও এই নেতারা তাতে নেতৃত্ব দিতে না পারেন।
অন্যদিকে ৭৫ এর ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং ৩ নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিহত জাতীয় চার নেতা হত্যার তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছিল লন্ডনে।
এসব হত্যার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইন ও বিচারের প্রক্রিয়াকে যে সমস্ত কারণ বাধাগ্রস্ত করেছে সেগুলোর তদন্ত করার জন্য ১৯৮০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এই তদন্তকমিশন গঠন করা হয়। তবে, সেই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের অসহযোগিতার কারণে এবং কমিশনের একজন সদস্যকে ভিসা প্রদান না করায় এ উদ্যোগটি সফল হতে পারেনি। সে সময়ে বাংলাদেশের সরকার প্রধান ছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অধ্যাপক আবু সাইয়িদের ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ড ফ্যাক্টস এন্ড ডুকমেন্টস’ গ্রন্থে এই কমিশন গঠনের বর্ণনা রয়েছে। এতে বলা হয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দুই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা, মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ সেলিম এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের পুত্র সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের আবেদনক্রমে স্যার থমাস উইলিয়ামস, কিউ. সি. এমপি’র নেতৃত্বে এই কমিশন গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। ওই সময় বাংলাদেশ ও বিদেশে অনুষ্ঠিত জনসভাসমূহে এ আবেদনটি ব্যাপকভাবে সমর্থিত হয়েছিল।
জেল হত্যা দিবসের এই শোকাবহ বিশেষ দিনে প্রতিটি বাঙালীর কাছে অনুরোধ আমরা যেন ত্যাগের ইতিহাস ভুলে না যাই। ক্ষুদ্র স্বার্থের জন্য বৃহত্তর স্বার্থকে যেন জলাঞ্জলি না দেই। আমাদের মনে রাখতে হবে খুনী মোশতাক এবং খুনী জিয়া চক্র বাংলাদেশকে আবার পাকিন্তান বানানোর লক্ষ্যে ও জাতির মেরুদণ্ডকে ভেঙে দেওয়া মানসে ১৯৭৫ এর ১৫ ই আগষ্ট সপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ” ও ৩ রা নভেম্বরে জেলের অভ্যন্তরে জাতীয় চারনেতাকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো। ৭৫-এর পর থেকে বছরের পর বছর বঙ্গবন্ধুর নাম-নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা চলে। বঙ্গবন্ধু ও জেল হত্যাকান্ডের নেপথ্যের কুশীলব হিসেবে জেনারেল জিয়াউর রহমানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ আত্মস্বীকৃত ঘাতকদের মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।
জেল হত্যাকান্ডের পর ওই সময়ই লালবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার পর দীর্ঘ ২১ বছর এ হত্যাকান্ডের তদন্ত ও বিচার-প্রক্রিয়া বন্ধ রাখা হয়। ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার জেলহত্যা মামলার প্রক্রিয়া পুনরুজ্জীবিত করে। এর পর দীর্ঘ পরিক্রমায় জেল হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আজ ওস্বাধীনতা বিরোধীরা ও স্বাধীনতার শত্রুরা ও খুনী মোস্তাক জিয়ার উত্তরসুরীরা এখন ও নানাভাবে চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে।

১৯৯৬ সালের ৭ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে সভানেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হলেন।প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দল আজ স্বয়ংবর.জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া আওয়ামীলীগ তাঁরই যোগ্যতম কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রজন্ম পরম্পরায় বাংলার আলোর প্রতীক. হিসাবে বাংলাদেশ সারা বিশ্বের উন্নয়নের মডেলে পরিণত করেছেন। ভগ্নপ্রায় রাষ্ট্রব্যবস্থা ও অর্থনীতিকে দাঁড় করিয়ে মজবুত করেছেন দেশের মেরুদণ্ড। বাংলাদেশের গণমানুষের শান্তি-সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
উল্লেখযোগ্য প্রাপ্তির মধ্যে ছিল গঙ্গা পানি চুক্তি, পার্বত্য শান্তি চুক্তি, যমুনা নদীর উপর বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ, বিধবা, দু:স্থ, অসহায় মহিলাদের জন্য আর্থিক অনুদান চালু, গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রজেক্ট চালু ইত্যাদি।
২০০১ সালের ৮ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি জামাত জোট সরকার গঠন করলে, শেখ হাসিনা তথা বাংলাদেশের অস্থিত্য হুমখীর সম্মুখীন হয়। চলে দেশব্যাপী গুম-খুন, বোমা হামলা, গ্রেনেড হামলার ঘটনা। তারেক রহমানের পরিকল্পনায় ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা। কিন্তু হারাতে হয় অনেক কাছের নেতা-কর্মীদের। এরশাদ-খালেদার শাসন আমলে মোট ১৯ বার হত্যা চেষ্টা চলে শেখ হাসিনার উপর। কিন্তু “রাখে আল্লাহ, মারে কে ?”
২০০৬-০৮ তত্ত্বাবধায়কের নাম করে উড়ে এসে জুরে বসে আরেক অরাজনৈতিক সরকার। তাদের কাছে নির্বাচন দাবী করলে অন্যায়ভাবে জেলে যেতে হয় শেখ হাসিনাকে। জেল থেকে আইনি প্রক্রিয়ায় তিনি বের হলেন এবং ৯ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয় লাভের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ আবার সরকার গঠন করলো। এ সময়ে উল্লেখযোগ্য সাফল্য ছিল- মায়ানমারের সাথে জলসীমা মীমাংসা, জিডিপি ৬% উন্নীত, দারিদ্রতার হার ৩৮% থেকে ২৪% ,জাতিসংঘ এমডিজি লক্ষ মাত্রা অর্জন । তবে চ্যালেঞ্জও ছিল অনেক, পিলখান হত্যাকাণ্ড বিচার সম্পাদন, নারী নীতি বিরোধী আন্দোলন, যুদ্ধাপরাধী বিচার ও ফাঁসি কার্যকর। রানা প্লাজা অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী আমেরিকা এবং ইউরোপিয়ান দেশ সমূহের সাথে রেকর্ড সম্পাদন।
২০১৪ সালে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির আগুন সন্ত্রাসের জবাবে জনগণ আবার আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনলে শুরু হয় উন্নয়নের মহাকাব্য। এ সময়কার সাফল্যগুলি ছিল- ডিজিটাল বাংলাদেশ, মাথাপিছু আয় ১৬০২ মার্কিন ডলারে উন্নীত, দারিদ্রতার হার ২৪% থেকে ২২%, ফরেন রিজার্ভ ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, নিজ অর্থায়নে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুভ সূচনা, রাম পাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রুপ পুর বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ শুভ উদ্বোধন, সাবমেরিন ও স্যটেলাইট যোগে প্রবেশ ইত্যাদি। এ সময় বড় চ্যালেঞ্জ ছিল- হলি আর্টিজানসহ সারাদেশে জঙ্গি দমন, ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রয় দান। মানবতার জননী শেখ হাসিনা শক্ত হাতে পরিস্থিতি মোকাবেলা করেছেন।
২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবার ক্ষমতায় আসলে আওয়ামী লীগ এর উন্নয়নের যাত্রা পূর্ণ গতি পেল। কিন্তু হানা দিল করোনাভাইরাস। এখানেও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা চমক দেখালেন। বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্র যখন হিমশিম খাচ্ছে, বিপর্যস্ত হয়ে পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতি এমন সংকটময় পরিস্থিতিতেও ৭৫ বছর বয়সের এই মহামানবী করোনা মহামারী মোকাবিলায় “ভ্যাকসিন ডিপ্লমেসিতে” সাফল্য দেখিয়ে যাচ্ছেন । বারবার দেশের মানুষকে অ্যাড্রেস করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার মাধ্যমে নিজেকে এবং অন্যকে করোনা থেকে সুরক্ষার নির্দেশনা দিচ্ছেন। নিয়মিত তৃণমূল প্রশাসনকে দিকনির্দেশনা দিয়ে তদারকি করছেন। বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়ন করে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন। এ সময়ে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে, মাথাপিছু আয় ২,২২৭ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার মজুদ সর্বকালের সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অতিক্রম করেছে। শিশু মৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। সুদান ও শ্রীলংকাকে অর্থ ঋণ সহায়তা দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের সক্ষমতার জানান দিয়েছে। এরই মধ্যে ২০২১-২২ অর্থ বৎসরে ৩ হাজার ৬ লক্ষ ৬৮১ কোটি টাকার রেকর্ড গড়ার বাজেট দিয়েছে শেখ হাসিনার সরকার। ঢাকা-মাওয়া হাইওয়ে সম্পন্ন হয়েছে। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্ক, মেট্রোরেল, দোহাজারী-কক্সবাজার রেল, পায়রা বন্দরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতায় ২৬টি বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন চলমান আছে। এলেঙ্গা-রংপুর মহাসড়ক, ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক চার লেইনে উন্নীত করার কাজ এগিয়ে চলছে। মেট্ররেল ট্রায়াল রান শুরু হয়েছে। দোহাজারী-কক্সবাজার রেল লাইনের কাজ চলছে। ঢাকা অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ চলছে। পায়রা বন্দর এবং গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ চলছে। শাহজালাল বিমান বন্দরের ৩য় পর্যায়ের কাজ চলছে। মুজিব বর্ষের উপহার আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর, দেশব্যাপী মডেল মসজিদ এসবই শেখ হাসিনার দক্ষ দিকনির্দেশনায় উন্নয়নের মহাসড়কে বদলে যাওয়া এক বাংলাদেশের চিত্র।
বিগত এক দশক ধরে বাংলাদেশ উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করে আসছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ রেকর্ড ৮.১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও করোনাকালীন বাস্তবতায় ২০২০-২১ অর্থবছরে ৫.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে, যা এশিয়ার সর্বোচ্চ।
২০২১-২২ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ৭.২ শতাংশ। বাংলাদেশের গড় আয়ু ৭৩ বছর, মহিলাদের ক্ষেত্রে ৭৫ বছর এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ৭১ বছর। করোনাকালীন কঠিন সময়েও সদ্যসমাপ্ত ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রবাসীরা মোট দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার দেশে পাঠিয়েছে। রেমিট্যান্সের পাশাপাশি রপ্তানি আয়ও বেরেছে; করোনা অতিমারির মধ্যেও সদ্য সমাপ্ত ২০২০-২০২১ অর্থবছরে মোট তিন হাজার ৮৭৫ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের (৩৮ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন) পণ্য রপ্তানি করেছে বাংলাদেশ।
উন্নয়নের বিস্ময় বাংলাদেশে অনেক বড় বড় প্রকল্প চলমান রয়েছে, বড় বড় ফ্লাইওভার করা হয়েছে, মেট্রোরেল মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন স্থগিতের পর নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ শেখ হাসিনার দৃঢ়চেতা দূরদর্শী নেতৃত্বের বহিঃপ্রকাশ, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রকাশ, বহির্বিশ্বে আমাদের সম্মানযোগ।

বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে অর্থাৎ ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে নিষ্ঠা ও নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছরে আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মাসেতু নির্মাণ করে ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
১৯৭০ সালে মাথাপিছু গড় আয় ছিল ১৪০ ডলার। সে জন্যই হয়তো স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা বলেছিল—আগামী ১০০ বছরের মধ্যেও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় এক হাজার ডলার ছাড়াবে না। কিন্তু বিস্ময়ের বিষয় এই যে, মাত্র ৫০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় দুই হাজার ২২৭ ডলার ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার। এই রিজার্ভ দিয়ে প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলার হিসেবে প্রায় সাড়ে ১১ মাস সময়ের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সমগ্র বিশ্ব জগত যেখানে চিলো দিশাহারা, সেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দেখিয়েছে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত, তিনি দেশবাসির জন্য ভ্যাকসিন সংগ্রহ করে কূটনৈতিক চমক দেখিয়েছেন। বস্তুচ্যত রোহিঙ্গা মুসলিম জন গুষ্টিকে আশ্রয় দিয়ে হয়েছেন মাদার অফ হিউমিনিটি। নারীর ক্ষমতায়ণে রেখেছেন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত , বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় ভূমিকা রেখেছেন। রেখেছেন বলিষ্ঠ কন্ঠ। তিনি বিশ্বের অন্যতম সৎ ও পরিশ্রমী প্রধানমন্ত্রী, গণতন্ত্রের মানসকন্যা। তাঁর সঠিক নেতৃত্তে বাংলাদেশকে বিশ্বে এখন “ডেভিল্পমেন্ট মডেল” হিসেবে গণ্য করছে।
মহিলা ও ল্যাকটেটিং মাদার এবং কৃষিকাজে নিয়োজিত প্রান্তিক নারী কর্মীদের জন্য ভাতা প্রদান। ৫০ হাজার ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পূনর্বাসন এবং সিডর ও আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার উন্নয়নের লক্ষ্যে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প গ্রহণ। ঢাকায় একটি অটিজম রিসোর্স সেন্টার ও একটি অবৈতনিক অটিস্টিক স্কুল চালু। বিসিএস ক্যাডারসহ অন্যান্য সরকারি চাকুরীতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর পদে প্রতিবন্ধীদের জন্য ১ শতাংশ এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর পদে এতিম ও প্রতিবন্ধীদের জনব্য ১০ শতাংশ কোটা সংরক্ষণ।
একটি বাড়ী একটি খামার প্রকল্পের আওতায় ১ হাজার ৯২৩টি ইউনিয়নের ১০ লক্ষ ৩৮ হাজার পরিবারকে ১৭ হাজার ৩০০ গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে খামারীতে উন্নীতকরণ। বিশ্বায়নের সকল সুবিধা গ্রহণের লক্ষ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জিত।
২০২১ সালের অনেক আগেই “ডিজিটাল বাংলাদেশ” প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা সৃষ্টি। দেশের প্রতিটি ইউনিয়নের তথ্য ও সেবাকেন্দ্র চালু। এসব তথ্য কেন্দ্র থেকে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী বিভিন্ন সরকারি ফরম, নোটিশ, পাসপোর্ট ও ভিসা সংক্রান্ত তথ্য, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিভিন্ন সেবা বিষয়ক তথ্য, চাকুরীর খবর, নাগরিকত্ব সনদপত্র, পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল, বিদেশে চাকুরী প্রাপ্তির লক্ষ্যে রেরিস্ট্রেশনসহ ২২০টি সেবা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি। মোবাইল ব্যাংকিং, জীবন বীমা, মাটি পরীক্ষা ও সারের সুপারিশ, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ এবং জমির পর্চাসহ অন্যান্য সেবা পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি। প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন।
উপজেলা ও জেলা হাসপাতালগুলোতে মোবাইল স্বাস্থ্যসেবা চালু। টেলিমেডিসিন সিস্টেম চালু। মোবাইল টেলিফোন সিমের সংখ্যা ১০ কোটিতে উন্নীত। থ্রি-জি প্রযুক্তি চালু। মোবাইল ফোনেই ভিডিও কল করা যাবে। টিভি দেখা যাবে। ইন্টারনেটের গতি বাড়বে। টেলি কনফারেন্স করা যাবে।
ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা সাড়ে তিন কোটিতে উন্নীত। ৫৮টি জেলার ১৭৮টি উপজেলা ও ৪২টি গ্রোথ সেন্টারে ডিজিটাল টেলিফোন প্রদান। ৩টি পার্বত্য জেলার ২০টি উপজেলায় ডিজিটাল এক্সচেঞ্জ স্থাপন।
বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে গবেষণা পরিচালনার জন্য বঙ্গবন্ধু ফেলোশিপ, আইসিটি ফেলোশিপ ও অনুদান প্রদান। রূপকল্প ২০২১, প্রেক্ষিত পরিকল্পনা (২০১০-২১) ও ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক (২০১১-২০১৫) পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতি অর্থবছর লক্ষভেদী বাজে প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিতকরণ।
বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা, ইউরোপে মারাত্মক অর্থ সংকট, উন্ন বিশ্বেও বাজারগুলোতে চাহিদা হ্রাসসহ নানামুখী নেতিবাচক পরিস্থিতি মোকাবেলা করে বাংলাদেশ গড়ে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন। বার্ষিক উন্নয়ন ব্যয় ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি। ২০০৭-০৮ অর্থবছরে ২২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছওে ৬৫ হাজার ৮৭০ কোটি টাকায় উন্নীত। এডিপি বাস্তাবায়ন হার ৯৭ শতাংশে উন্নীত। রাজস্ব আদায় প্রায় দ্বিগুণ বৃদ্ধি।
মাথাপিছু আয় ২০৮ সালে ৬৩০ ডলার থেকে ১০৪৪ ডলারে উন্নীত। ৫ কোটির বেশী মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্তে উন্নীত। ১০ কেজি দামে চাল বিতরন করা. ১৫ ই আাগষট বঙ্গবন্ধু হতাকান্ডের বিচার ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পন্ন সহ নানা উন্নয়নে সরকার ভৃমিকা রেখে চলছে।

আজ সিডিপির তিনটি সূচকের ভিত্তিতে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। মাথাপিছু আয়ের টার্গেট ছিলো ১২৩০ মার্কিন ডলার আর বাংলাদেশের অবস্থান ১৮২৭ মার্কিন ডলার। মানবসম্পদ সূচক টার্গেট ছিলো ৬৬ পয়েন্ট আর বাংলাদেশের অবস্থান ৭৫.৩ পয়েন্ট এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচক ধরা হয়েছিলো ৩২ পয়েন্ট এর নীচে আর এ সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ২৫.২ পয়েন্ট
স্বাধীনতার ৫০ বছরে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পথে আমাদের প্রাণের ডিজিটাল বাংলাদেশ। একটি প্রত্যয়, একটি স্বপ্ন,সিডিপির তিনটি সূচকেই বাংলাদেশ শর্ত পূরণ করে অনেক এগিয়ে গেছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিল তথা আমাদের এই উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত থাকলে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ অচিরেই একটি উন্নত-সমৃদ্ধ মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। এই সংবাদ আমাদের জন্য আনন্দের এবং গৌরবের।২০৪১ সালের মধ্যে জ্ঞানভিত্তিক উন্নত ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ দেশের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। অভূতপূর্ব উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকুক।
জাতির চার উজ্জ্বল নক্ষত্র.জীবন দিয়ে প্রমাণ করেছেন
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছিলেন আত্মার আত্মীয়,
আসুন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও জাতীয় চার নক্ষত্রের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানিয়ে , উনাদের আত্মত্যাগের মত আসুন
কায়েমী স্বার্থান্বেষী মহলের ষড়যন্ত্রকারীদের সকল ষড়যন্ত্রকে মোকাবেলা করে একটি সুখী সমৃদ্ধশালী, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ হিসাবে গড়ে তুলতে ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলার আলোর মিছিলকে এগিয়ে নিতে ম্যাদার অব হিউম্যানিটি মানণীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করে যাবো জেল হত্যা দিবসে এই হোক আমাদের দীপ্ত শপথ.জয় বাংলা. জয় বঙ্গবন্ধু. বাংলাদেশ চিরজীবী হোক. জয় হোক মানবতার,
***************************************************
লেখক পরিচিতি; মোহাম্মদ মকিস মনসুর একজন সাংবাদিক ও লেখক এবং রাজনীতিবিদ। ৯০ এর গন-আন্দোলনের বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রনেতা বৃটেনের কমিউনিটি লিডার ও সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর.যুক্তরাজ্য যুবলীগের সাবেক সহ সভাপতি. ইউকে ওয়েলস যুবলীগের সাবেক সভাপতি. ইউকে ওয়েলস ছাত্রলীগ সাবেক প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছাড়া ও যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় সদস্য, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি. জাস্টিস ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড ১৯৭১ ইউকের সভাপতি. জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত-বার্ষিকী মুজিববর্ষ সার্বজনীন বিশ্বময় উদযাপন নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব এবং হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন ইন ইউকের সভাপতি এবং বৃটেনের কার্ডিফ ইন্টারন্যাশনাল ম্যাদার ল্যাংগুয়েজ মনুমেন্ট ফাউন্ডার্স ট্রাষ্ট তথা শহীদ মিনার কমিটির সেক্রেটারি.সহ ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান.ও ডেইলি সিলেট এন্ড দৈনিক মৌলভীবাজার মৌমাছি কন্ঠের সম্পাদকমন্ডলীর সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন.) ***************************************************

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..