1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৩:২৭ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

লকডাউন আতঙ্কে চীনের কারখানা থেকে পালাচ্ছে কর্মীরা

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৩ নভেম্বর, ২০২২
  • ১৮৫ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে এখনও কোন রকম আপস করতে নারাজ চীন সরকার। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই জারি করা হয়েছে নতুন করে লকডাউন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে শূন্য কোভিড নীতি বাস্তবায়ন চীনা কর্তৃপক্ষের নেশায় পরিণত হয়েছে, যা চীনকে পঙ্গু করে দিচ্ছে। কট্টর এই নীতি শুধুমাত্র চীনের অর্থনীতিতে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও গভীর প্রভাব ফেলছে। চীনে যে কোনো অঞ্চল থেকে সংক্রমণের খবর এলেই শুরু হচ্ছে লকডাউন। একই সঙ্গে দ্রুত সকলের করোনা পরীক্ষা করে সংক্রমণ নির্ণয় শুরু করছে সেই দেশের প্রশাসন। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে কোনো রকম নিয়ম লঙ্ঘন করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্বের বৃহত্তম আইফোনের কারখানা রয়েছে চীনের ঝেংঝউ প্রদেশে। সেখান থেকে শত শত কর্মীকে রীতিমতো বেড়া ডিঙিয়ে পালাতে দেখা গিয়েছে। ভাইরাল হয়ে গিয়েছে সেই মুহূর্ত। লকডাউনের ‘আতঙ্ক’ যে কীভাবে গ্রাস করছে চীনের মানুষকে তাই যেন ফুটে উঠছে ওই ভিডিও।

জানা গেছে, কর্মীদের ধরে রাখতে তাদের উপরে কোনো জোর করছে না সংস্থা। কিন্তু তাদের আটকাতে দেওয়া হচ্ছে ‘টোপ’। বোনাস চারগুণ বাড়িয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে সংস্থা। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত কাজ করলেই মিলবে অতিরিক্ত বোনাস। কিন্তু তাতেও কাজ হচ্ছে না। চীনের কড়া ‘কোভিড নীতি’র ধাক্কায় একবার লকডাউন শুরু হলে যে সহজে ফেরার সুযোগ মিলবে না, এই আশঙ্কাতেই অধিকাংশ কর্মীই দ্রুত কারখানা থেকে বেরিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে চাইছেন। একেকজনের বাড়ি ১০০ কিলোমিটার বা তারও বেশি দূরত্বে।

উল্লেখ্য, বছর দুয়েক আগে করোনা মহামারির তাণ্ডবে যখন গোটা বিশ্ব ত্রস্ত ছিল, তখন সংক্রমণ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছিল চীন। কিন্তু এবার পরিস্থিতি যেন ক্রমে হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। একের পর এক শহরে দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। আর তাই গত কয়েক মাস ধরেই কড়া লকডাউনের পথে হেঁটেছে বেইজিং। যেখানেই মাথাচাড়া দিয়েছে সংক্রমণ, সেখানেই জারি হয়েছে কড়া নিষেধাজ্ঞা। সরকারের এমন কড়া নীতির জেরে চীনা আমজনতার নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়। এই পরিস্থিতিতে ঝেংঝউ প্রদেশে গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৭ জন। তাই কোনো ঝুঁকির রাস্তায় হাঁটতে রাজি নন আইফোন কারখানার শ্রমিকরা।

সামনেই উৎসবের মওসুম শুরু হচ্ছে পশ্চিম দুনিয়ার দেশগুলোতে। প্রতি বছর ক্রিসমাস, নিউইয়ারের আগে আইফোন বিক্রি এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় বিশ্বের বৃহত্তম আইফোন কারখানায় লকডাউন কোম্পানির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছিল লকডাউন শুরু হলে আইফোন উৎপাদন ৩০ শতাংশ কমতে পারে। চাহিদা তুঙ্গে থাকার কারণে সমস্যায় পড়তে হতে পারে ক্রেতাদের।

চীনে ঘনঘন লকডাউনের কারণে সেই দেশ থেকে ধীরে ধীরে উৎপাদন অন্য দেশে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে অ্যাপল। এই কারণে ভিয়েতনাম ছাড়াও ভারতে উৎপাদন ক্ষমতা ও সাপ্লাই চেনে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফক্সকন। তাইওয়ানের এই সংস্থাই আইফোন উৎপাদনের দায়িত্বে রয়েছে

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..