শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: মূলত প্রকৃত জ্ঞানী তারাই,যারা জ্ঞান অর্জন করে ব্যক্তিগত,পারিবারিক ও সামাজিক উন্নয়নে নিজেকে নিয়োজিত করার পাশাপাশি কর্মসংস্থানেন সৃষ্টি করেন । অংশীদার হয়েছে রাষ্ট্রের উন্নয়নে চাবিকাটী। উন্নতমানের শেটে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর মাথার ওপর ফ্যান ঝুলছে। পরিস্কার পরিচ্চন্ন ও পানি নিষ্কাশনসহ অন্যান্য ব্যবস্থা রয়েছেন। স্থানীয়ভাবে দুধ ও মাংসের চাহিদা মেটাতে গরু খামারের উদ্যেগ তাহার। গ্রামে গ্রামে এমন খামার গড়ে উঠলে শিক্ষিত তরুণা বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে এমন মনেভাব নিয়েই নিজ বাড়িতে গড়ে তোলেছেন গরুর খামার।
সাদা মনের- এই তরুন যুবক সৈয়দ আজিজুল হক তোয়েল সফল এক খামারির নাম। মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মোস্থফাপুর ইউনিয়নের মোস্থফাপুর গ্রামে নিজ বাড়িতে মৌলভী ফার্ম (মাশাআলল্লা ফার্ম ) নামে একটি গরু খামার। ২০১৬সাল থেকে ২টি গরু দিয়ে স্বপ্নের খামারটি। বর্তমানে তার খামারে ২৩টি গাভি,১৬টি,ষাড় ও ১৭টি বাছুর রয়েছে। যার বাজার মূল্য দেড় কোটি টাকার অধিক। প্রতিদিন গাভী থেকে ২৫০কেজির উর্ধে দুধ সংগ্রহ করে বিক্রি হচ্ছে । কর্মস্থান হয়েছে গ্রামের খেটে খাওয়া ৮/১০ জন শ্রমিকের। তাদের ৬হাজার থেকে ১২হাজার টাকা পর্যন্ত বেতন দিচ্ছেন। প্রত্যেক মাসে খরচ বাদ দিয়ে লক্ষ টাকার আয় হয়ে থাকে। খামারে রয়েছে শাহীওয়াল,সিন্দি,বলদ,অস্ট্রেলিয়ান ও নেপালিসহ দেশীয় ভাল জাতের গরু। কমপক্ষে ২বছর পর্যন্ত লালন পালন করা হয় এসব গাভী ও ষাঁড়। দেশীয় খাবার ও প্রয়োজনীয় ওষুধ পত্রের দাম বৃদ্ধিতে বর্তমানে হিমশিম খেতে হচ্ছে। করোনা কালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্থ হলেও এখন সেটি পুষিয়ে নিতে চেষ্টা করছেন। বর্তমানে গো খাদ্যে ও ওষধ পত্রের দাম বৃদ্ধিতে চিন্তিত আছেন খামারীরা। খামারীদের দাবী খাদ্য দ্রব্যের দাম কমানো ও সহজ শর্তে খামারীদের ব্যাংক লোনের ব্যবস্থা চান তারা। তামারীরা আরো বলেন ব্যাংক লোনের জন্য গেলে নানা অজুহাত আর টাল বাহানায় নিরুৎসায়িত হয়ে ফিরছেন। ব্যাংকের এমন আচরনের প্রতি সরকারের সু দৃষ্টি প্রয়োজন।
ফার্মে থাকা কর্মচারীরা বলেন- এখানে কাজ করতে পেরে তারা অনেক খুশি। কারন এসব খামার কর্মসংস্থানের পাশাপালি বেকারত্বের অভিশাপ থেকে রক্ষা করছে। পরিবার পরিজন নিয়ে ভালই চলতে পারছি।
এনিয়ে দিপু চৌধুরী, ম্যানেনজার, মৌলভী ফার্ম (মাশাআলল্লা ফার্ম ) বলেন- শ্রমিক সংকট ও গো খাদ্যে এবং ওষধের দাম বৃদ্ধির ফলে খামারীরা রোকসান গুনতে হচ্ছে। তাছাড়া করোরা মহামারীকালে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেণ থামারী মালিকরা।
এনিয়ে সাদা মনের মানুষ হিবসবে খ্যাত আজিুল হক তোয়েল প্রোপাটইর: মৌলভী ফার্ম (মাশাআলল্লা ফার্ম ) খামার বলেন- শুরুতে দুটি গরু নিয়ে করলে ১টি তখন মারা যায় কিন্তু নিজেকে স্বাবলম্বি করতে থেকম খাকিনি বরং নিজেকে স্বাবলম্বি করতে এগ্রিয়ে যাই। বর্তমানে ৫০টির উর্ধে গরু রয়েছে। নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি ১০/১২জনকে কর্মকংস্থানের সৃষ্টি করেছি।
এ নিয়ে ডা. শহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- প্রাণী সম্পদ বিভাগ থেকে এই খামার নিয়মিত টিকা এবং ভিটামিন জাতীয় ওষুধসহ সকল সুবিধা পাবেন। শিক্ষিত ও বেকারদের এমন উদ্যোগ গ্রাম ও রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশীদার হচ্ছে। ভামারীদের উদ্যোগে সদর উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসে কর্মরতদের সহযোগীতা পাবে। প্রতিটি থামারী উদ্যোক্তা নিজেকে ও সমাজকে সমৃদ্ধ করবে সেটাই প্রত্যাশা করছি।
বেকারত্ব দূর করতে এমন উদ্যেগে সরকারের সহযোগিতা বাড়ালে এ খাতে স্থানীয় দুধ ও মাংসের চাহিদা মিটিয়ে নিজে স্বাবলম্বির পাশাপাশি বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে।