বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৭:৩১ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ঘটনায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে ইউরোপজুড়ে। প্রাথমিকভাবে এ ঘটনায় অভিযোগের আঙ্গুল রাশিয়ার দিকে উঠলেও এখন শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। তিন মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এপি জানিয়েছে, প্রাথমিক মূল্যায়ন থেকে বোঝা যাচ্ছে, পোল্যান্ডে আঘাত হানা ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করা হয়েছে ইউক্রেন থেকে। একটি রাশিয়ান ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত ঠেকাতে পাল্টা ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি নিক্ষেপ করেছিল ইউক্রেনীয় বাহিনী।
সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার অনুমতিপ্রাপ্ত না হওয়ায় ওই কর্মকর্তারা নিজেদের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেন, প্রাথমিক তথ্য বলছে পোল্যান্ডের বিস্ফোরণটি রাশিয়া থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের কারণে না-ও হতে পারে।
এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর জন্য পূর্ণাঙ্গ তদন্ত পর্যন্ত অপেক্ষার কথাও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো জোটভুক্ত দেশগুলো কোনও পদক্ষেপ নেওয়ার আগে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করবে।
বুধবার পোল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানান, তাদের সীমানার ভেতর বিস্ফোরিত ক্ষেপণাস্ত্রটি রাশিয়ার তৈরি। এতে করে ধারণা করা হয় রাশিয়াই হয়ত পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। কিন্তু রাশিয়ার তৈরি যুদ্ধাস্ত্র ইউক্রেনও ব্যবহার করে।
ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার পর রাশিয়াও জানিয়েছিল, তারা পোল্যান্ডে ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণের সঙ্গে জড়িত না। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের প্রতিক্রিয়ায় বলেছিল, ইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে কোনো লক্ষ্যের ওপর আঘাত হানেনি রাশিয়া। এ ছাড়া পোল্যান্ডে ক্ষয়ক্ষতির যে ছবি দেখানো হচ্ছে ‘এর সঙ্গে রাশিয়ার কোনো কিছু করার নেই।’
তবে পোল্যান্ডের ভেতর ক্ষেপণাস্ত্র পড়ার দায় সরাসরি রাশিয়ার ওপর চাপিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
রাশিয়াকে দায়ী করে জেলেনস্কি এক ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, ‘আজ যা ঘটেছে, এ বিষয়ে আমরা আগেই সতর্ক করেছিলাম। আমরা এ নিয়ে বলেছি। সন্ত্রাসবাদ আর শুধু ইউক্রেনের সীমানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এটি ইতোমধ্যে মলদোভায় ছড়িয়েছে। আর আজ রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পোল্যান্ডে আঘাত হেনেছে, আমাদের বন্ধু রাষ্ট্রের মানুষ নিহত হয়েছে। ইউক্রেনের মানুষের সমবেদনা নেবেন আপনারা।’