1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৭:৪০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বঙ্গবন্ধু টানেল অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২২
  • ১১৬ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের মাধ্যমে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শনিবার (২৬ নভেম্বর) দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ টিউবের নির্মাণকাজের সমাপ্তি উদযাপনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

চট্টগ্রামের উন্নয়নে সার্বিক পদক্ষেপ নেওয়ার কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে চট্টগ্রামকে নতুনভাবে গড়ে তুলে। কর্নফুলী নদী গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে আমরা অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। ওয়ান সিটি টু টাউন, এভাবেই গড়ে উঠবে। বিদেশি বিনিয়োগের জন্য আহ্বান জানিয়েছি। বিভিন্ন দেশ থেকে বিনিয়োগ আসছে। চট্টগ্রামে যোগাযোগটা আরও জোরদার হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের উন্নয়ন অনেকের চোখে পড়ে না। তাদের হয় চোখ নষ্ট। যদি চোখ নষ্ট হয় চোখের ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা একটা খুব ভালো আই ইনস্টিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে চোখ দেখালে আমার মনে হয় হয়তো তারা (উন্নয়ন) দেখতে পারবে। আর কেউ যদি চোখ থাকতে অন্ধ হয় তাহলে আমাদের কিছু করার নেই।

তিনি বলেন, আমি মনে করি, আমাদের অপজিশনের কিছু লোক আছে যারা চোখ থাকতে অন্ধ। তারা দেখেও না দেখার ভান করে। তারা নিজেরা কিছু করতে পারে না। ভবিষ্যতেও কিছু করতে পারবে না। দেশকে কিছু দিতেও পারবে না।

শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে, অর্থ চোরাচালান করতে পারবে, ওই ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাচালানি করতে পারবে। ও রকম অস্ত্র অর্থ চোরাচালানি, অর্থ আর্থসাৎ এগুলো পারবে। তারা মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, ভবিষ্যতেও করতে পারবে না; এটা হলো বাস্তবতা।

তিনি বলেন, আজকে চট্টগ্রামের সঙ্গে কথা বলছি, অনেক নেতা আমাদের মাঝে নাই। আমাদের প্রয়াত নেতারা মুক্তিযুদ্ধে বিরাট অবদার রেখেছেন। একটা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ, এক টাকাও রির্জাভ ছিল না। খাদ্য ছিল না।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের মানুষ তিন বার ভোট দিয়ে আমাদের ক্ষমতা এনেছিল বলে আমরা সার্বিক উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছি।

তিনি বলেন, ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে তৃণমূলকে ক্ষমতা দিতে চেয়েছিলেন জাতির পিতা। সেই সময় জাতির পিতাকে হত্যা করা হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধারা সে সময় পরিচয় দিতেই ভয় পেতেন।

বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা কেউ থামাতে পারবে না মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে জাতিসংঘ ঘোষিত যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা সেটাও কিন্তু আমরা বাস্তবায়ন করছি। এ ছাড়া আমরা ২০১০ থেকে ২০২০ প্রেক্ষিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করেছি। ২০২১ থেকে ২০৪১ এর মধ্যে বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। এই উন্নত সমৃদ্ধ দেশ গড়া সেই পরিকল্পনা, পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে পঞ্চবার্ষিকীর মাধ্যমে সেটা আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না।

উদযাপন উপলক্ষে টানেল এলাকায় সকাল থেকেই স্থানীয়দের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা গেছে। আশপাশের অনেক এলাকা থেকে তারা অনুষ্ঠানস্থলের আশপাশে অবস্থান নেন। যদিও আমন্ত্রিতদের ছাড়া কাউকে অনুষ্ঠানস্থলে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। শুরুর আধঘণ্টা আগে থেকেই আমন্ত্রিত অতিথিরা আসা শুরু করেন। দুই হাজার অতিথির উপস্থিতিতে বিপুল করতালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উদযাপন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।

এ সময় পতেঙ্গা প্রান্তে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল আলম চৌধুরী নওফেল, চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিন মিং, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রামের সংসদ সদস্য শামসুল হক চৌধুরী, সেতু বিভাগের সচিব মনজুর হোসেন, প্রকল্প পরিচালক হারুনুর রশীদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..