1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আইনের শাসন ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্টায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ও অবদানঃ একজন জন বান্ধব পুলিশ পরিদর্শক আব্দুছ ছালেক এর কথাঃ এখন যার এগিয়ে যাবার সময়

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২২
  • ২২৬ বার পঠিত
। মুজিবুর রহমান মুজিব।

মানব জাতির হাজার বছরের গৌরবময় ইতিহাসে আইন ও আইনের শাসনের আবিস্কার ও প্রয়োগ একটি ঐতিহাসিক অধ্যায়। আধুনিক মানব সভ্যতা ও মানব জাতি একটি আইন গত অবকাঠামো এবং বিধি বিধান এর উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্টিত। বৃটিশভারতে ভিনদেশী বৃটিশ বেনিয়া গন তাদের স্বৈর শাসন এবং লুন্ঠন চলিয়ে যাবার জন্য তাদের প্রয়োজনে ইন্ডিয়ান পেনাল কোড আই.পি.সি ভারতীয় দন্ডবিধি আইন জারী করে। বৃটিশ সরকারের প্রশাসনিক প্রয়োজনে আইন শৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনী হিসাবে ভারতীয় পুলিশ এর সৃষ্টি। ল’- এনফোর্সিং এজেন্সী হিসাবে জনগনের জানমালের নিরাপত্তা এবং আইন শৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা পুলিশ বাহিনীর গুরুত্বপূর্ন কাজ হলেও বেনিয়া বৃটিশ সরকার ভারতীয় পুলিশ বাহিনীকে তাদের ক্ষমতা টিকিয়ে রাখার জন্য “পেটুয়া” ও “ঠেঙ্গারে” বাহিনী হিসাবে ব্যবহার করতেন। সাত চল্লিশে ভারত বিভক্তি পাকিস্তানী স্বাধীনতার পর পাকিস্তানের ক্ষমতা লিপ্সু সামরীক জান্টাও উচ্চাভিলাশী আমলাতন্ত্র সংবিধান, গনতন্ত্র ও আইনের শাসনের পরিবর্তে “বুটক্রেসী”, “লটক্রেসী”ডান্ডাতন্ত্র ও ঝুলুম নির্য্যাতন চালাতে থাকে। এখানেও গনধিকৃত শাসক গোষ্টি আইন শৃংখলা রক্ষাকারি পুলিশ বাহিনীকে ক্ষমতায়টিকে থাকার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে থাকে। সমগ্র পাকিস্তানী শাসনামলে পুলিশ বাহিনী একটি “ঠেঙ্গারে” বাহিনী হিসাবে কুখ্যাতি অর্জন করে। ইতি পূর্বে বাংলাও বাঙ্গাঁলির স্বায়ত্ব শাসনও স্বাধীকারের প্রশ্নে বীর বাঙ্গাঁলির আপোসহীন নেতা বঙ্গঁশার্দুল শেখ মুজিবুর রহমানের আপোষ হীন বলিষ্ট নেতৃত্বে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী আন্দোলন দানাবেধে ষাটের দশকে এসে পূর্নতা লাভ করে। ঐ দশকের শেষ ভাগে তৎকালীন পূর্ব বাংলায় আওয়াজ উঠে তোমার আমার ঠিকানা পদ্ধা মেঘনা যমুনা, “পুলিশ তুমি যতই মারো বেতন তোমার তিনশ বারো”।বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একক নেতৃত্বে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী আন্দোলন চূড়ান্ত আকার ধারন করলে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক সরকারের বাঙ্গাঁলি কর্ম্মকর্তা ও কর্ম্ম চারীদের মর্ধে ও বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী চিন্তা চেতনার উম্মেষ ঘটে, পুলিশ বাহিনীও এর বাহিরে নয়, ব্যতিক্রম নয়। উনিশ-শ একাত্বোরের মহান মুক্তি যুদ্ধে পূর্ব পাকিস্তান পুলিশ বাহিনীর বাঙ্গাঁলি অফিসার ও জোয়ানদের বীরত্ব পূর্ন ভূমিকা এবং কৃতিত্ব পূর্ন অবদান স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতি হাসে স্বর্নাক্ষরে লিপিবদ্ধ। মহান মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহাসিক অধ্যায়। গৌরবময় অধ্যায়। একাত্তোরের পচিশে মার্চ নর পিচাশ ও নরপশু লেঃ জেঃ আগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খানের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তানের ফৌজি সরকার সত্তোর সালের সাধারন নির্ব্বাচনে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ নিরংকুশ সংখ্যা গরিষ্টতা অর্জন করেলেও আলোচনার নামে কাল ক্ষেপন করতঃ পচিশে মার্চে বাঙ্গাঁলি জাতির বিরুদ্ধে অঘোষিত যুদ্ধঘোষনা করে। জাতির নির্বাচিত নেতা বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে তাঁকে বন্দী করতঃ হত্যা, লন্ঠন, অগ্নি সংযোগ, লুটতরাজ এবং গনধর্ষনের উদ্ভিন্ন উল্লাসে মেতে উঠে বর্বর পাকহানাদার বাহিনী। বাঙ্গাঁলি জাতির রাজনৈতিক সামরীক শক্তিকে বিনষ্ট, নিশ্চিহ্ণ করার জন্য হানাদার হায়না বাহিনী পিলখানায় ই,পি,আর, ক্যমপ, রাজার বাগে পুলিশ লাইনস, ঐতিহ্যবাহী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসিক হল সমূহে সেনা অভিযান চালায়। দেশে ও জাতির এই মহাসংকট ও ক্রান্ত কালে সেনা বাহিনীর বাঙ্গাঁলি অফিসার, ই,পি,আর, পুলিশ, আনছার বাহিনী স্বদেশ প্রেম ও স্বাদেশি কতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্নকরে বিদ্রোহ ঘোষনা করে যোগদেন দেশ মাতৃকার মহান মুক্তিযুদ্ধে। এই সব পোষাকিও সসস্ত্র বাহিনীর অফিসার ও যোয়ানগন এর আধুনিক সামরীক প্রশিক্ষন থাকায় তাৎক্ষনিক ভাবেই হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর মোকাবেলা করেছেন হটিয়ে দিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে কোথাও কোথাও বিজয় অর্জন করেছেন। যুদ্ধের প্রাথমিক ভাবে রাজনীতিবিদদের সমন্বয়ে মুক্তি বাহিনেিক সামরীক প্রশিক্ষন দিয়েছেন। পুলিশ বাহিনীর সদস্যগন শান্তি শৃংখলা রক্ষা ও পেশাগত প্রয়োজনে থানা, ফাঁড়ি, পুলিশ লাইনস ও ব্যেরাকের বাহিরে সাধারন জনগনের সঙ্গেঁ সম্পৃক্ত ছিলেন, থেকেছেন, তাই মুক্তি যুদ্ধের সময় জনগনের সঙ্গেঁ মিলে মিশে “গনবাহিনী” হয়ে গেরিলা পদ্ধতিতে হামলা ও শত্রæ হনন সুবিধা জনক ছিল। মুক্তি যুদ্ধের প্রাথমিক পর্যায়ে রাজার বাগ পুলিশ হেড কোয়ার্টারে অবস্থানরত দেশ প্রেমিক পুলিশ বাহিনীর বীর যোদ্ধাগন হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীর সঙ্গেঁ বীরদর্পে লড়াই করেছেন, দেশ মাতৃকার স্বাধীনতা রক্ষায় নিজের জীবন দিয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে অমর হয়ে আছেন। দেশ ও জাতি রোজ কিয়ামত পর্যন্ত এই বীর যোদ্ধাদের বীরত্ব গাথার কথা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করবেন। সাটের দশক থেকে ছাত্র রাজনীতি, সংস্কৃতি, সাংবাদিকতা দায়িত্ব ও নেতৃত্বে ছিলাম। ফলতঃ প্রশাসন পুলিশের সঙ্গেঁ সু-সম্পর্ক সখ্যতা ছিল। এখনও আছে। নব্বই দশকে এ জেলারপাবলিক প্রসিকিউটার ছিলাম।সাইলেন্স ফি নেই নি হারামে হাত দেই নি, লাশ বানিজ্য করি নি, শতকরা একশত ভাগ সততার সাথে দায়িত্ব পালন করায় প্রশাসন পুলিশের প্রশংসা-সম্মান প্রাপ্ত হয়েছি, এখনও পাই। যদিও আমার দেখা অনেকেই প্রশাসন পুলিশের নাম ভাঙ্গিঁয়ে অর্থ কড়ি-কামাই করেছেন লাশ বানিজ্য করেছেন, আর্থীক ফায়দা নিয়েছেন। স্বাদীনতা উত্তর কালে এবং অতঃপর এই মহকুমা জেলা হলে পুলিশি কার্যক্রম বৃদ্ধি পেয়েছে। মহকুমা আমলে এস.ডি,পি,ও, এর পরিবর্তে এখন একজন পদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ এস.পি জেলা পুলিশের প্রধান। এ জেলার পি.পি হিসাবে দায়িত্ব পালন কালে এ জেলার এস.পি ছিলেন একাত্তোরের বীর যোদ্ধা, এ.কে.এম সামশুদ্দিন। সুদর্শন ও স্বজ্জন এই পুলিশ সুপার সাহেব একজন জনবান্ধব গরীবের বন্ধু পুলিশ প্রশাসক ছিলেন। অতিঃ আই.জি.পি হয়ে সগৌরবে অবসরে যান একাত্তোরের এই অকুতভয় বীর। অবসর প্রাপ্ত আই.জি.পি.একে.এম শহীদুল হক সাহেব আমাদের জেলায় এস.পি হিসাবে যোগ দিয়ে কর্ম দক্ষতাও কর্ম চাঞ্চল্যে সকলের নযর কাড়েন। প্রশংসা প্রাপ্ত হন। “কমিউনিটি পুলিশের” তিনি একজন প্রবক্তা। বন্ধুবর উপাধ্যক্ষ আব্দুশ শহীদ (অধুনা ডক্টর ও বটেন) পূর্ন মন্ত্রীর মর্যাদায় সরকার দলীয় চীফ হুইপ হয়ে তাঁর জেলাও নিব্বাচনী এলাকায় সভা সেমিনারে আসেন। আমাদের জেলার এস.পি. এ,কে.এম শহীদুল হক সাহেব কমিউনিটি পুলিশের উপর একটি ব্যতিক্রমী সেমিনারের আয়োজন করেন। প্রধান অতিথি চীফ হুইপ উপাধ্যক্ষ আব্দুশ শহীদ সাহেব। লেখা লেখিতে আছি। জেলা বার ও প্রেসক্লাবের সভাপতি ছিলাম। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ লিখার দায়িত্ব বর্তায় অধম আমার উপর। পুলিশ পাবলিক সম্পর্ক নিয়ে পূংখানু পুঙ্ক রূপে পর্যালোচনা করা খুব কঠিন জটিলও বিব্রত কর কাজ। একজন পাবলিক হিসাবে তবুও বলেছিলাম ভাই পাবলিক, কমিউনিটি পুলিশ হন, আইন এবং আইন প্রয়োগ কারি সংস্থা পুলিশকে সাহায্য সহায়তা করুন, পুলিশের ভাই বন্ধু হন। দুষমন হবেন না, দালাল হবেন না, পুলিশের নামে পাবলিক এর কাছ থেকে টাকা পয়সা চাঁদা আদায় করবেন না। আর পুলিশ বাহিনীকে বলেছিলাম “কাকলাশ হতে সাবধান”। কর্ম চঞ্চল পুলিশ অফিসার আমাদের এককালীন এস.পি,মিঃ এ.কে.এম শহীদুল হক পুলিশ প্রশাসনের সর্ব্বোচ্চ পদ আই.জি.পি হয়েছেন। অবসর গ্রহন করেও দেশ ও সমাজ উন্নয়নে টিভির টক শো-তেঝালমিষ্টি মিশিয়ে বলছেন, সেমিনারে ও যাচ্ছেন জাতীয় পত্র পত্রিকায় কলাম লিখছেন। বিগত দিনে গন্ড মুর্খ না দান কতেক কথিত জঙ্গীঁর আদর্শ উদ্দেশ্যে হীন “জং” এবং গনবিরোধী জঙ্গীঁ কার্যক্রমে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি এবং জন জীবন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। শান্তির ধর্ম পবিত্র ইসলামের দুশমন এসব স্বঘোষিত জঙ্গীঁ ঢাল নাই তলোয়ার নাই নিধিরাম সর্দারের দল আমাদের পৌর এলাকাধীন বর হাট এবং ফতেপুরে বেআক্কলের মত পুটুশ করে তাদের উপস্থিতি জানান দিলে এস.পি শাহজালাল সাহেবের হুকুম এবং নেতৃত্বে জেলা পুলিশ রুখে দাড়ান জনগন এগিয়ে যান। এস.পি শাহজালাল বীরের বেশে এগিয়ে যান, বুক পেতে দেন জঙ্গীঁদের বোমার সামনে। জেলার আইন শৃংখলা পরিস্থির নিয়ন্ত্রন এবং জনগনের জান মান রক্ষায় পুলিশ সুপার সাহেবের সাহসী ভূমিকা জেলা বাসী সুশীল সমাজ মডিয়া প্রশংসা করেছেন। আমি মনের সুখে কলাম লিখেছিলাম পীরানে পীরের নামে নাম জানবাজি কাম। বিগত দিনে ভয়াবহ বৈশ্বিক ব্যাধি কোবিড-১৯ করনা আক্রান্তির কালে ভয়ভীতি শংকাহতাশা দেখাদেয় করনায় আমার অবস্থার অবনতি হলে আমাকে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ইতি পূর্বে আমি, ্আজীবন অনিয়মের কারনেবিভিন্ন কঠিন জটিল ও দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত। সর্ব্বোপরি বয়সের ভারেও আমি অসহায়। কাহিল। ভয়ানক ছোয়াছে ব্যাধি এই করনা। ভয়ে সর্বত্র“ইয়া নফসি-ইয়া নফসি” অবস্থা। আমার সাংবাদিক বন্ধু আফতাব চৌধুরী এবং অনুজ প্রতিম সাংবাদিক মুশতাক চৌধুরী আমার খুজ খবর করেছেন। আমার সঙ্গেঁ থাকা আমার সন্তান তুল্য জামাতা মুহিবুর রহমান রুমী এবং ঐ হাসপাতালে কর্ম্মরত আমার পরমাত্বীয় প্রফেসর ডা. আলমগীর আদিল সামদানি ছাড়া আর স্বজনদের মূখ দেখিনি। করনার সেই কঠিন সময়ে সিলেটের এস.পি ফরিদ উদ্দিন সমগ্র জেলা ব্যাপী করনা আক্রান্ত রূগীদের বাড়ি বাড়ি খাবার আর ঐষধ নিয়ে ছুটে গেছেন, শুধু আইন শৃংখলা রক্ষা নয়, একজন সংবেদনশীল হৃদয়বান মানুষ হিসাবে ফরিদ উদ্দিন মানবিক দায়িত্ব পালন করেছেন। সকল মহলের ভূয়সী প্রশংসা পেয়েছেন। সিলেটের ডি.আই.জি মিঃ মফিজ উদ্দিন ও একজন সুলেখক এবং মানবিক গুনাবলি সম্পন্ন উর্ব্ধতন পুলিশ কর্ম্মকর্তা ফলতঃ এস.পি ফরিদ উদ্দিনকে কাজ করতে সুবিধা হয়েছে। পুন্যভূমি শাহজালালের মাটি থেকে পদোন্নতি নিয়েই গিয়েছেন তিনি। পুলিশের চাকরি প্রসঙ্গেঁ বাংলা ভাষায় একটি কথা প্রচলিত আছে “মাছের রাজা ইলিশ। চাকরির রাজা পুলিশ”-। আরো প্রচলিত আছে অতিপুরাতন একটি গ্রামীন গল্প। একদরিদ্র অশিক্ষিত গ্রাম্য মহিলা নিখরছায় বিনাঘুষে জেলা জজ আদালতে ন্যায় বিচার পেয়ে আবেগ আপ্লুত হয়ে জজ সাহেবের জন্য দোয়া করলেন, বল্লেন বাবা জজ সাহেব ন্যায় বিচার পেয়েছি খুশী হয়েছি, আল্লাহ আপনার হায়াত দরাজ করুন, আপনাকে আরো বড় অফিসার করুন, আল্লাহ আপনারে দারগা বানাউক”-।গ্রাম্য অশিক্ষিত এই মহিলার কাছে একজন মাননীয় জেলা ও দায়রা জজের চাইতে একজন থানার দারগা সাহেব অধিক শক্তি শালী ও ক্ষমতাবান অফিসার। তাই বিচার প্রার্থী এই গ্রাম্য মহিলা ন্যায় বিচার প্রাপ্তির পর মনের খুশিতে জজ সাহেবের জন্য দোয়া করছেন, জজ থেকে দারগা হতে বলছেন। সত্যিকার অর্থেই আইন শৃংখলা রক্ষা কারি বাহিনী হিসাবে পুলিশের চাকরিতে কনেষ্টবল থেকে ইন্সপেক্টার জেনারেল পর্যন্ত ক্ষমতা ও সম্মান দুই আছে। “খাকির” কৌলিন্য ডি.আই.জি মিজানএস.পি বাবুল আক্তার এবং ও.সি প্রদীপ দের দু-নম্বরি কারনে¤øান হতে পারে না, হতে দেয়া যায় না, ঘুষ দূর্নীতির কারনে প্রশ্ন বিদ্ধ হয়েছে, হতেই পারে।পুলিশের হাতে থাকা মাত্র এক হাত লম্বা কাঠের লাঠি শক্ত-শক্তি হিসাবে কিছুই নয়, অস্ত্র আইনের কোন আওতায় পড়েনা, এই লাঠির আঘাতে মারাত্মক রকমের ধর্তব্য অপরাধে কোন অপরাধ হবে না, কিন্তু পুলিশের এই লাঠি আইনের প্রতীক ঐতিহ্য ও আভিজাতের ধারক ও বাহক। একজন পুলিশ কর্ম্মকর্তা টাউট-বাটপার কাকলাশ মো সাহেব, দালালদের ধার খপ্পর থেকে নিরাপদ দুরত্বে থেকে খালিছ নিয়তে একজন নাগরিক, দেশ ও জাতির জন্য অনেক কিছুই করতে পারেন। অনেকেই করছেনও। মৌলভীবাজার জেলাধীন কুলাউড়া থানার কর্ম্ম দক্ষ ও কর্ম্ম চঞ্চলভার প্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টার আব্দুছ ছালেক এর কথাও কাহিনী লিখতে গিয়ে প্রসঙ্গঁ ক্রমে ন্যায় বিচার ও আইনের শাসন প্রতিষ্টায় পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা ও অবদান এর কথা প্রাসঙ্গিঁক ভাবেই এসছে। কোন ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্টানের পক্ষে বিপক্ষে লেখা কাউকে প্রশংসা কিংবা কাউকে মানষিক ভাবে আঘাত দেয়া এ লেখার উদ্দেশ্যে নয়, কেহ আঘাত প্রাপ্ত হলে দূঃখ প্রকাশ করছি। মৌলভীবাজার জেলাধীন কুলাউড়া উপজেলা একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী জনপদ। শিক্ষা-দীক্ষা ইতিহাস ঐতিহ্য রাজনীতি সংস্কৃতির ক্ষেত্রে উপজেলার অগ্রগতি খ্যাতিমান সম্মাননামডাকের কথা শুধু এ জেলা নয় বিভাগ দেশব্যাপীই খ্যাত বিখ্যাত। সীমান্ত বর্ত্তী উপজেলা ঐতিহ্যবাহী কুলাউড়া রাজনীতি সচেতন একটি বর্ধিষ্ণু জনপদ। কুলাউড়া উপজেলার আইন শৃংখলা পরিস্থিতি সমুন্নত এবং জনগনের জান মাল এর নিরাপত্তা বিধানের জন্যকুলাউড়া থানা পুলিশ সদা সজাগ। সতর্ক। জাগ্রত। এই অঞ্চলে একজন এ.এস.পি সার্কেল এর দপ্তর এবং একজন এ.এস.পি কর্ম ও দায়িত্ব পালনরত আছেন। কুলাউড়া থানায় কর্ম দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার সাথে অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করছেন ইন্সপেক্টর আব্দুছ ছালেক। সুঠাম শরীরের অধিকারি দীর্ঘ দেহী ও সুদর্শন আব্দুছ ছালেক সাব ইন্সপেক্টার হিসাবে পুলিশ বিভাগে যোগ দিয়ে কর্ম দক্ষতার গুনে ১৯/০৬/২০১১ সালে ইন্সপেক্টার পদে পদোন্নতি পেয়ে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ, বালাগঞ্জ থানা, মৌলভীবাজার জেলার সদর থানা, শ্রীমঙ্গল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা এবং জেলার সি,আই,ডি প্রধানের দায়িত্বপালন শেষে বর্তমানে কুলাউড়া থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করছেন। আমাদের নিকট প্রতিবেশীী জেলা হবিগঞ্জের সুসন্তান এই পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গেঁ আমার পরিচয় ও সুসম্পর্ক আছে। তাঁর দাওয়াত ছিল, কুলাউড়ায় আমার একাধিক আত্বীয়তা বন্ধু বান্ধব সজন থাকলেও তাঁর থানায় যাওয়া হয় নি। সময়ে সুযোগে মিলেনি। সর্ব্বোপরি ইদানিং অসুস্থতা ও শারিরীক দুর্বলতার কারনে চলাফেরা সীমিত। আমরা চার ভাইয়ের এক বোন জাহান আরা। বাবার জীবদ্দশায় দেখে শুনেই বিয়ে দিয়েছিলেন শহর তলির সাদেকপুর খন্দকার বাড়ির সুসন্তান একাত্তোরের অকোতভয় বীর খন্দকার সামছুর রহমান বাচ্চুর সাথে। সি.ইন,সি স্পেশিয়াল ব্যাচ এর এই বীর যোদ্ধা খন্দকার বাচ্চু ইতি পূর্বে হার্ট এ্যটাক এ মৃত্যো বরন করেছে, সম্প্রতি দৃঃখ ও দুর্ভাগ্য জনক ভাবে বোন জাহান আরার প্রথম সন্তান খন্দকার রাশেল এই হার্ট এ্যটাক এ ইন্তিকাল করায় পিতৃ-মাতৃহীন এই বিধবা নারী মানষিক ভাবে ভীষন ভেঙ্গে পড়ায় অসুস্থ। শয্যাশায়ী। আমরা ভাই বোন এবং আমার অসুস্থ স্ত্রী মনোয়ারা রহমানকে দেখতে দীর্ঘদিন পরে ক সপ্তাহের জন্য রিটার্ন টিকেটে দেশে এল আমার বিলেত প্রবাসী কনিষ্ট ভ্রাতা জিল্লুর রহমান জিলা মিয়া। গ্রামের বাড়ীতে মিলাদ মাহফিল পিতা-মাতা ও আমাদের পূর্ব পুরুষদের কবর জিয়ারত শেষে একদিন কনিষ্ট ভ্রাতাকে নিয়ে বোনের সঙ্গেঁ সাক্ষাত এবং ভগ্নিপতি ও ভাগ্নার কবর জিয়ারতে কুলাউড়া যাই। সামাজিকতা ও দায়িত্ব পালন শেষে আমরা দুই ভাই কুলাউড়া শহরে আসি। কিছু স্বজনদের সঙ্গেঁ সাক্ষাতএবং আমার একমাত্র ভাগ্না খন্দকার রাহেলকে দেখ ভালের অনুরোধ জানাতে কুলাউড়া উপজেলা পরিষদ এর চেয়ারম্যান ¯েœহ ভাজন এ,কে,এম শফি আহমদ সলমান এর দপ্তরে যাই। তাকে পাই। সম্প্রতি সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ট উপজেলা চেয়ারম্যান নির্ব্বাচিত হয়েছেন কর্মচঞ্চল জনপ্রতিনিধি প্রিয়ভাজন সলমান। তাঁকে অভিনন্দন জানাই। মৌলভীবাজার দুই, কুলাউড়া এলাকা থেকে নির্ব্বাচিত মহান জাতীয় সংসদের মাননীয় সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ ¯েœহ ভাজনেষু ঢাকাবাসি, না হয় তাঁর সঙ্গেঁ সৌজন্য সাক্ষাত করতাম। কুলাউড়ায় আরেকজন প্রিয়জন ছিলেন আমার, উপজেলার ধর্মকর্ম সমাজ ও রাজনীতির প্রিয়মুখ বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট সৈয়দ কামাল উদ্দিন আহমদ, তিনি বর্তমানে কবর বাসি। মহান মালিক তাঁর বেহেশত নসীব করুন এই মোনাজাত করছি। উত্তর দক্ষিণ মুখী কুলাউড়া প্রধান সড়কের পশ্চিমাংশে এ.এস.পি সার্কেল সাহেবের এর অফিস ও কুলাউড়া থানা। ভবন দ্বয়ের সামনেই সুসজ্জিত ও দৃষ্টিনন্দন বাগান। কনিষ্ট ভ্রাতাসহ থানায় গেলাম। ভারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা সাহেব দাপ্তরিক কাজে পাশেই এ.এস.পি সাহেবের অফিসে ছিলেন। আমার নাম শুনে কাজ সেরে থানায় এলেন। হাসিমুখে অভ্যর্থনাজানালেন। থানায় প্রথম গিয়েছি, সঙ্গেঁ প্রবাসী সহোদর তাই আন্তরিক অভ্যর্থনাই নয় আমাদেরকে আপ্যয়নও করলেন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইন্সপেক্টার আব্দুছ ছালেক। সলাজভঙ্গিঁতে একটি সুখবর ও জানালেন, তাঁর সার্বিক কর্ম্ম তৎপরতায় অভিন্ন মানদন্ডের আলোকে তিনি সম্প্রতি সরকার কতৃকপুরস্কৃত হয়েছেন। গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও কতৃপক্ষ তাকে তাঁর কাজের মূল্যায়ন ও পুরস্কৃত করায় তিনি উৎসাহিত ও অনুপ্রানিত হয়েছেন, সম্মানিত বোধ করছেন। এই জন্য তিনি মহান ¯্রষ্টার প্রতি শোকুর গোজার করতঃ বাংলাদেশ সরকার, জেলা পুলিশের প্রধান, কর্ম দক্ষ, কর্ম তৎপর ও প্রশংসিত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়ার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান।উপজেলায় আইন শৃংখলা রক্ষা, জনগনের জান মালের নিরাপত্তা বিধানে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগীতা, পরামর্শ, উপদেশ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরন করেন ভার প্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা ইন্সপেক্টার আব্দুছ ছালেক। এ ব্যাপারে স্থানীয় মাননীয় সংসদ সদস্য সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমদ এর প্রয়োজনীয় পরামর্শ, উপদেশ ও আন্তরিক সহযোগিতার কথা সবিশেষ উল্লেখযোগ্য। জনস্বার্থে দায়িত্ব পালনে উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এ,কে,এম শফি আহমদ সলমান এবং পৌর মেয়র অধ্যক্ষ শিপার উদ্দিন একান্তই আন্তরিক। জিজ্ঞাসাবাদ, আলোচনা ও কথায় কথায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানালেন দালাল মুক্ত থানা প্রশাসন এবং মাদক মুক্ত সমাজ গঠনে “জিরো টলারেন্স” ঘোষনা করে কুলাউড়াকে মাদক মুক্ত করেছেন, থানা আঙ্গিঁনা ও থানা প্রশাসন টাউট বাটপার ও দালাল মুক্ত হয়েছে। তাঁর কার্য্য কালে, দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে নাগিরক কোন দালাল এবং টাকা পয়সা ছাড়া সরাসরি অভিযোগ দায়ের করতে পারেন। নিরক্ষর অশিক্ষিত জনকে থানা প্রশাসনের পক্ষথেকে বিনা পয়সায় অভিযোগ লিখিয়ে দেয়া হয়। থানা কিংবা থানা এলাকায় স্বঘোষিত মহুরী নামে পরিচিত এক শ্রেনীর “রাইটার” থাকেন যারা এজাহার লিখে অফিস খরছ কিংবা উৎকোচের নামে অভিযোগ কারির নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়করে নিজেরাই আত্মসাত করেন। আমার পেশাগত দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে এসব রাইটারদের মধ্যে রাজনগর থানায় বাবু অনুভট এবং কুলাউড়া থানায় ময়না মহুরির নাম জানতাম। জিজ্ঞাসা বাদে ভারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা সাহেব জানালেন ময়না মহুরী নেই, আর কোন ময়না মহুরী সৃষ্টি হতে দেয়া হয়নি, দালাল মুক্ত কুলাউড়া থানায় দালালদের প্রবেশ নিষেধ, জনগনের থানায় জনগন ঢুকবে, তাতে বাধা নিষেধ নাই। যতক্ষন কুলাউড়া থানায় বসাছিলাম দেখা গেল ভারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা সাহেব এর অফিস কক্ষ উন্মুক্ত দরজা জানালা খোলা, কোন রাখ ঢাক কিংবা লুকোচুরি নেই, আমাদের বসাকালীন সময় কোন দালাল শ্রেনীর সন্দেহ ভাজন লোকের আনাগুনা কানাকানি দেখলাম না, যাঁরা এলেন তাঁরা নিরহ ভদ্র লোক, অনেকেই আমার পরিচিত। বেশ কিছুক্ষন আমার কুলাউড়া থানায় অবস্থান করে এমন সুস্থ সৌহার্দ ও সম্প্রিতির পরিবেশ দেখে ভারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা ইন্সপেক্টার আব্দুছ ছালেক কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানালাম। তাঁর সার্বিক সাফল্য, পারিবারিক কল্যান কামনা করলাম। বিদায় নিলাম। নবেম্বর সংবিধানের মাস। ৪-ঠা নবেম্বর সংবিধান দিবস। বাংলাদেশের সংবিধান পৃথিবীর লিখিত সংবিধান সমূহের মধ্যে একটি উৎকৃষ্ট মানবিক দলিল। এই সংবিধানে গনতন্ত্র, আইনের শাসন, ন্যায় বিচার মানবের মৌলিক অধিকার মানবাধিকার সংরক্ষিত লিপিবদ্ধ। নবেম্বর শেষেই ডিসেম্বর স্বাধীনতার মাস। গনতন্ত্র, আইনের শাসন সুশাসন ছিল মহান স্বাধীনতা সংগ্রামের মূলচেতনা মৌলিক আদর্শ। গনতন্ত্র ও আইনের শাসন প্রতিষ্টায় আইন শৃংখলা রক্ষকারি বাহিনী পুলিশ বাহিনীর একটি গুরুত্ব পূর্ন ভূমিকা ও অবদান রয়েছে। থানা নাগরিকদের ভয়ভীতির স্থান নহে থানা নিরহ নাগরিকদের একটি আইনী আশ্রয়। কুলাউড়া থানার ভ্রারপ্রাপ্ত কর্ম্মকর্তা ইন্সপেক্টার আব্দুছ ছালেক মাদক মুক্ত সমাজ এবং দালাল মুক্ত থানা উপহার দিয়ে নিরহ নাগরিকদের প্রশংসা ভাজন হয়েছেন। এ ব্যপারে কুলাউড়া থানাকে মডেল মেনে অন্যরাও অনুসরন করতে পারেন। আইনের শাসন ও জনস্বার্থে বিষয়টি ভেবে দেখা জরুরী।
[ মুক্তিযোদ্ধা। সিনিয়র এডভোকেট হাই কোর্ট। সাবেক পিপি মৌলভীবাজার জেলা।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..