সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১১:১৯ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : পেন্টাগনের একটি প্রতিবেদনে সতর্ক করা হয়েছে যে চীনের কাছে এখন ৪০০টিরও বেশি পারমাণবিক ওয়ারহেড রয়েছে, যা মাত্র দুই বছরে তার পারমাণবিক অস্ত্রাগারকে প্রায় দ্বিগুণ করেছে এবং বিশেষ করে এ সময়েই চীন তার সামরিক বাহিনী দ্বারা এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের প্রতি ‘অনিরাপদ’ ও ‘অপেশাদার’ সামরিক আচরণ বাড়িয়েছে, বিশেষ করে তাইওয়ানের প্রতি।
মঙ্গলবার প্রকাশিত কংগ্রেসে পেন্টাগনের বার্ষিক ‘চায়না মিলিটারি পাওয়ার’ রিপোর্ট অনুসারে, চীনের ত্বরান্বিত পারমাণবিক সম্প্রসারণের গতি বেইজিংকে ২০৩৫ সালের মধ্যে প্রায় ১৫০০ ওয়ারহেড মজুদ করতে সক্ষম করতে পারে।
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্রাগারে আনুমানিক ৩৮০০ টি ওয়ারহেড সক্রিয় অবস্থায় আছে। আর এই বিশাল সংখ্যার কাছে চীনের সংখ্যা কিছুই না।
পিপলস লিবারেশন আর্মি রকেট ফোর্স ২০২১ সালে পরীক্ষা এবং প্রশিক্ষণের জন্য প্রায় ১৩৫টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র চালু করেছে। এই প্রতিবেদন অনুযায়ী ‘সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘটনা বাদ দিয়ে বিশ্বের অন্যান্য অংশের চেয়ে বেশি’। তারা তিনটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) সাইলো ফিল্ডও নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে, যাতে অন্তত ৩০০টি নতুন আইসিবিএম সাইলো থাকবে।
প্রতিরক্ষা বিভাগের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার মতে, পেন্টাগনের প্রতিবেদনটি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সংগ্রহ করা চীনের সামরিক সক্ষমতা সম্পর্কে তথ্যের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছিল, তবে এটি ২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধ এবং হাউজের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির আগস্টে তাইওয়ান সফর সহ চলতি বছরের কিছু বড় ঘটনাগুলিকেও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
ব্র্যাডলি বোম্যান, ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সামরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতা কেন্দ্রের একজন অভিজ্ঞ এবং সিনিয়র ডিরেক্টর বলেছেন, চীনা ক্ষেপণাস্ত্রের ‘পরিমাণ এবং গুণমান বিশেষভাবে উদ্বেগজনক’।
তিনি বলেন, ‘যদি কেউ চীনের ক্ষেপণাস্ত্র অস্ত্রাগারের সামর্থ্যের দিকে তাকায়, তবে এটি শ্বাসরুদ্ধকর।’ তিনি আরও বলেন চীনের সামরিক আধুনিকীকরণ পদ্ধতিগতভাবে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে পরাজিত করার জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে।’