1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, তিন পুলিশ বরখাস্ত

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ১৫০ বার পঠিত

সিলেটে প্রতিনিধি::সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা, তিন পুলিশ বরখাস্ত সিলেটে এক কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টার অভিযোগে তিন পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এরা তিনজনই কনস্টেবল পদমর্যাদায় সিলেট মহানগর পুলিশে (এসএমপি) কর্মরত ছিলেন।

বরখাস্তকৃত তিন পুলিশ সদস্য হলেন- মো. ঝুনু হোসেন জয় (বিপি-০১২০২৩৬৪২৪), ইমরান মিয়া (বিপি-০১২০২৩৫৫৪৭) ও মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ (বিপি-০০২০২৩০৯৯৯)। এরা এসএমপির পুলিশ লাইনে কর্মরত ছিলেন।

বিষয়টি সিলেটভিউকে নিশ্চিত করেছেন এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস।

জানা গেছে, পুলিশ সদর দপ্তরের পিআইও শাখায় কর্মরত পুলিশ পরিদর্শক আবু সায়েদের ছেলে সাইফুর রহমান আসাদ (১৮)। তিনি সিলেট শহরতলির মেজরটিলা এলাকার বাসিন্দা।

গত ১৩ অক্টোবর অনলাইনে নিজের পুরনো একটি মোবাইল ফোন ১৬ হাজার টাকায় বিক্রি করেন আসাদ। সেই ফোন বিক্রির টাকা নিতে ওইদিন সন্ধ্যার পর এক বন্ধুকে সাথে নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় যান তিনি। মোবাইল বিক্রির টাকা নিয়ে তারা দুজনে যান শাহজালাল (রহ.) মাজার এলাকায়। সেখানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর তিন পুলিশ সদস্য এসে আসাদ ও তার বন্ধুকে জাপটে ধরেন। তারা তাদের সাথে থাকা একটি ব্যাগ তল্লাশি করে ইয়াবা পেয়েছেন বলে দাবি করেন।

তখন সাইফুর রহমান আসাদ এর প্রতিবাদ করেন। তিনি পুলিশে কর্মরত তার বাবার পরিচয়ও দেন। বিষয়টি তিনি তার বাবাকেও জানান। খবর পেয়ে শাহপরান থানায় কর্মরত এসআই জামাল ভুঁইয়া ঘটনাস্থলে যান। তিনি আসাদ ও তার বন্ধুকে নগরীর কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যান। সেখানে মুচলেকা রেখে তাদেরকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তবে ওই কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা ও টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনার অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছেও পৌঁছায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এসএমপি পুলিশ লাইনের এডিসি (ফোর্স) সালেহ আহমদকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি গত ২৪ নভেম্বর প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনের স্মারক এসএমপি-১৬০ /এডিসি (ফোর্স)। তদন্তে তিন কনস্টেবলের অপকর্মের বিষয়টি বেরিয়ে আসে।

এর পরই তাদের তিনজনকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

তবে প্রশ্ন ওঠছে, এ তিন পুলিশ সদস্যের কাছে ইয়াবা কোথা থেকে এলো। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা হবে কিনা।

এ প্রসঙ্গে এসএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সুদীপ দাস সিলেটভিউকে বলেন, ‘পুলিশ লাইনের এডিসির তদন্তে এ তিন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। এখন তাদেরকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাসহ যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..