বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:২১ অপরাহ্ন
ক্রীড়া ডেস্ক : কাতার বিশ্বকাপে ফেভারিটদের তালিকায় না থাকলেও নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে জাপান। গ্রুপপর্বে কোস্টারিকার কাছে হারলেও দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন দল জার্মানি ও স্পেনের বিপক্ষে জয়ে শেষ ষোলোর টিকিট কাটে দলটি। ফলে যেকোনো বড় দলের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে এশিয়ার দলটি।
আল জানুব স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় সোমবার রাত ১টায় ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে জাপান।
শীর্ষ সারির দল স্পেন ও জার্মানিকে টপকে গ্রুপ ‘ই’র চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেরা ষোলোতে জাপান। অন্যদিকে মরক্কোর পরে দ্বিতীয় স্থানে থেকে গ্রুপ ‘এফ’ থেকে পরের রাউন্ডে খেলতে এসেছে ২০১৮ বিশ্বকাপের ফাইনালিস্ট ক্রোয়েশিয়া।
এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা হয়নি জাপানের। চার বছর আগে রাশিয়া বিশ্বকাপে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল জাপান। মোরিইয়াসুর সুপার সাব যদি আরো একবার জ্বলে ওঠে তাহলে ক্রোয়েশিয়ার ম্যাচে যেকোনো কিছুই সম্ভব। উজ্জীবিত জাপান শিবির সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই মাঠে নামবে।
গ্রুপপর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বেলজিয়ামের স্বপ্ন ভেঙে গোলশূন্য ড্রয়ের মাধ্যমে নকআউট পর্বের টিকিট পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। এ ড্রয়ে মরক্কোর পর গ্রুপ ‘এইচ’র দ্বিতীয় স্থান নিশ্চিত হয় ক্রোয়েশিয়া।
সব ধরনের প্রতিযোগিতায় টানা ৯ ম্যাচে অপরাজিত থেকে শেষ ষোলোতে পৌঁছেছে ক্রোয়েশিয়া। আগের দুই আসরেই এই ধাপ পার করে শেষ আট নিশ্চিত করা ক্রোয়েটরা ইতিহাস থেকেও আত্মবিশ্বাস পেতে পারে।
২৫ বছর আগে প্রথম দেখায় জাপানের কাছে ৪-৩ গোলে পরাজিত হয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। এরপর ১৯৯৮ বিশ্বকাপে ব্লু সামুরাইদের পরাজিত করার পর ২০০৬ সালে গোলশূন্য ড্র করে। কাতারে অবশ্য আগের সব আসরের থেকে একটু বেশি সতর্কতা নিতে হচ্ছে ক্রোয়েটদের।
স্পেনের বিপক্ষে ডিফেন্ডার কো ইতাকুরা পরপর দুই ম্যাচে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড পাওয়ায় কাল জাপানের হয়ে খেলতে পারছেন না। বদলি বেঞ্চ থেকে উঠে এসে নিজেকে প্রমাণ করা তাকেহিরো টোমিইয়াসুর মূল দলে খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। স্টুটগার্ট মিডফিল্ডার ওয়াটারু এন্ডো আগের ম্যাচে বদলি হিসেবে নামলেও ফিটনেস সমস্যায় রয়েছেন। অন্যদিকে রাইট-ব্যাক হিরোকি সাকাই ফিরেছেন অনুশীলনে।
ক্রোয়েশিয়া অবশ্য সোমবারের ম্যাচে পরিপূর্ণ ফিট একটি দলকে পাচ্ছে। তবে দলের দুই অভিজ্ঞ খেলোয়াড় মড্রিচ ও ডিয়ান লোভরেন হলুদ কার্ড পেলে দল পড়তে পারে বিপদে। দুজনই একবার করে হলুদ কার্ড দেখেছেন।