1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • রবিবার, ০১ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তামিম

প্রতিটি ব্যাংকে টাকা আছে : প্রধানমন্ত্রী

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৯০ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক:: ব্যাংকে টাকা নেই’, গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ব্যাংকে টাকার কোনো সমস্যা নেই। দেশের প্রতিটি ব্যাংকে টাকা আছে।

আজ মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, একটি কথা আমি বলতে চাই, কিছু গুজব ছড়াচ্ছে। ব্যাংকে টাকা নাই, টাকা নাই বলে মানুষ টাকা তুলে ঘরে নিয়ে যাচ্ছে। এটা আমি আগেও বলেছি এখনো বলি— এদের কি চোরের সঙ্গে কোনো সমঝোতা আছে কি না, যে ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে ঘরে রাখলে চোরের পোয়া বারো! চোর চুরি করে খেতে পাবে! কিন্তু আমি একটা কথা বলি— আমি এসডিজি সচিব, অর্থ সচিব এবং আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলেছি। আজকে সকালে আমি অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করেছি। আমাদের কোনো সমস্যা নাই, প্রতিটি ব্যাংকেই টাকা আছে। কাজেই আমি বলব, গুজবে কেউ কান দেবেন না। এসব মিথ্যা কথা বলে, আজকে তারা ভাঁওতাবাজি করে বিভ্রান্ত করতে চায়। এটা একটা শ্রেণি আছে, তারা এটা করছে, কারণ মিথ্যা কথায় তারা পারদর্শী।’

উন্নত দেশগুলো হিমশিম খাচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের দারিদ্র্যের হার কমে গেছে। মানুষের খাবারে অভাব নেই। প্রচুর পরিমাণে খাবার আছে। আল্লাহ রহমতে উৎপাদনও ভালো হয়েছে। প্রত্যেকটা জিনিস আমরা আগে থেকে লক্ষ্য রাখি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।

শেখ হাসিনা বলেন, উন্নত দেশগুলো যেখানে হিমশিম খাচ্ছে— আমি ইংল্যান্ডের কথা জানি, দোকানে গেলে একটা পরিবার এক প্যাকেটের বেশি ডিম খেতে পারবে না। একটার বেশি পাউরুটি কিনতে পারবে না। সব কিছুই রেশন। বিদ্যুতের দাম দেড়শ গুণ বাড়িয়ে একটা পরিবার একটি রুমের মধ্যে পরিবারের সবাই হিটার জ্বালিয়ে বসে থাকে। ওই ঠান্ডায় হিটার না জ্বালিয়ে তো আর টিকতে পারে না। কাজেই ওইভাবে তাদের থাকতে হয়। সেই অবস্থায় বাংলাদেশ তো অনেক ভালো অবস্থায় আছে। তার পরও আমি বলবো— যখন বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষ দেখা দেয়, অর্থাৎ মন্দা দেখা দেয়— তার ধাক্কাটা আমাদের দেশে লাগবেই। কাজেই আমাদের আগে থেকেই সতর্ক হতে হবে। খাদ্য যেমন উৎপাদন করতে হবে, বিদ্যুৎ পানি জ্বালানি তেল সবকিছু ব্যবহারে স্বাশ্রয়ী হতে হবে। প্রত্যেকে আমি বলবো— ঘর থেকে বের হওয়ার সময় সুইচটা অফ করতে হবে। মোবাইল বা ল্যাপটবের চার্জারের সুইচটা অফ করে দিতে হবে। প্রত্যেকে এভাবে সাশ্রয়ী হতে হবে। আগামী দিনে বিশ্বব্যাপী যে অর্থনৈতিক মন্দার ধাক্কা সেই, ধাক্কা যেন বাংলাদেশে না লাগে। এদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।

আজকে বাংলাদেশের মানুষের যত অর্জন সেটি আওয়ামী লীগের হাত ধরে এসেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ক্ষমতায় এসে মার্শাল ’ল দিয়ে সংবিধান পরিবর্তন করে যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতি করার সুযোগ করে দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। অর্থাৎ স্বাধীনতার চেতনা ও আদর্শে বিশ্বাস করতো না। জংয় বাংলা স্লোগান নিষিদ্ধ, জাতির পিতার নাম নিষিদ্ধ, অর্থাৎ স্বাধীনতার ইতিহাসই কয়েকটা প্রজন্ম জানতেই পারেনি। যুদ্ধাপরাধীদের জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে তাদের পুরস্কৃত করেছে।

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে মানুষের মানুষের ভাগ্েযান্নয়নে কাজ করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অন্েযর কাছে হাত পেতে বাংলাদেশকে চলতে হতো। এই হচ্ছে বিএনপি জামায়াতের অর্জন। বাংলাদেশ আজকে আর সেই দুর্দশাগ্রস্ত বাংলাদেশ নেই। একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে আর্থসামাজিক উন্নয়নে পদক্ষেপ নেয়। উদ্দেশ্য ছিলো লাখো শহীদের ত্যাগ বৃথা যেতে পারে না।

তিনি বলেন, জাতির পিতাকে হত্যা করে যারা ক্ষমতায় এসেছে… মার্শাল ল জারি করে প্রতি রাতে কারফিউ…সেটি কি কারফিউ গণতন্ত্র? বিএনপি নেতাদের এটা জিজ্ঞেসা করা উচিত। খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কারা? একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা করে আমাদের নেতাকর্মী হত্যাকারী, দশ ট্রাক অস্ত্র চালানকারী, মানিলন্ডারিংকারী। তারেক জিয়া, কোকো যে মানিলন্ডারিং করেছে এটা আমেরিকার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।

বিএনপির শাসনামলে দেশের পরিস্থিতি বর্ণনা করতে গিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, পাঁচবার দেশকে দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দেশকে এমন অবস্থায় নিয়ে গিয়েছিলো যেখান থেকে ইমার্জেন্সি হয়।

এ সময় করোনাকালীন মানবতার কল্যাণে কাজ করার জন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের প্রশংসা করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান শেখ হাসিনা।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সম্মেলনস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সাদা পায়রা উড়িয়ে তিনি সম্মেলন উদ্বোধন করেন।

ছাত্রলীগের ৩০তম সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..