শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে ঘিরে কক্সবাজারে জনতার ঢল নেমেছে। বুধবার দুপুর ২টার পর জেলার শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেবেন সরকারপ্রধান।
সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে কক্সবাজার পৌঁছাবেন তিনি। এরপর ২৯টি প্রকল্পের উদ্বোধন ও চারটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন। সবশেষে জনসভায় বক্তব্য দেবেন।
প্রায় পাঁচ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যার সফর ঘিরে কক্সবাজার আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ দেখা দিয়েছে। বুধবার ভোর থেকেই নেতাকর্মীরা ছুটছেন সমাবেশস্থলের দিকে। হাজার হাজার নেতাকর্মী আর সাধারণ মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠেছে দেশের এই জেলাটি।
সকালে শেখ কামাল স্টেডিয়ামের মাঠে প্রবেশের মূল গেটে হাজার হাজার নেতাকর্মীর জটলা দেখা গেছে। একেক নেতার অনুসারীরা নিজেদের পরিচয় জানান দিতে নানা রঙের টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি পড়েছেন। স্লোগান, বাদ্যযন্ত্রে জনসভাস্থলে সৃষ্টি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়ার ৬ নম্বর জেটিঘাটে কয়েক হাজার মানুষকে দেখা যায়, যারা সমাবেশে যোগ দিতে এসেছেন। মহেশখালী উপজেলা থেকে তারা সাগর পাড়ি দিয়ে সমাবেশে যাচ্ছেন। টেকনাফ থেকেও কয়েক হাজার নেতা-কর্মী কক্সবাজার শহরে আসছেন।
টেকনাফ থেকে আসা রফিকুল জানান, প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় অংশ নিতে গতকাল রাতেই কক্সবাজারে এসেছি। অনেকদিন পর শেখ হাসিনা আসছেন জেনে বাড়িতে থাকতে পারিনি। গতকাল আরও অনেক নেতাকর্মী টেকনাফ থেকে এসেছেন।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য জনসভাস্থলের সার্বিক কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে। সভাস্থলের আশপাশসহ পুরো শহর তোরণ, ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
সভাস্থলে প্রধানমন্ত্রীর মূল মঞ্চটি তৈরি করা হচ্ছে নৌকার আদলে। এর সঙ্গে থাকবে চারটি উপ মঞ্চ। যেখানে কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতারা অবস্থান নেবেন। একই সঙ্গে উদ্বোধন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য থাকবে আলাদা মঞ্চ। প্রধানমন্ত্রী ভাষণ প্রচারের জন্য পুরো শহর ও আশপাশের এলাকায় লাগানো হচ্ছে দুই শতাধিক মাইক। অন্যদিকে নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হচ্ছে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা।
কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান জানিয়েছেন, কেবল সভাস্থল শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম নয়; এর আশপাশের পুরো কক্সবাজার শহর হবে জনারণ্য। এবারের জনসভায় সাড়ে চার লাখ মানুষের জমায়েত হতে পারে। প্রাথমিকভাবে শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অভ্যন্তরে তিন লাখের বেশি মানুষ অবস্থান নিতে পারবে। এছাড়াও সৈকতের লাবণী পয়েন্ট, সুগন্ধা পয়েন্ট, বাহারছড়ার মুক্তিযোদ্ধা চত্বর, হলিডের মোড়, শহীদ স্মরণী এলাকা, কলাতলীর হোটেল মোটেল জোন হয়ে কলাতলীর ডলফিন মোড় পর্যন্ত মানুষ জমায়েত হবে। জনসভার ভাষণ প্রচারের জন্য পুরো এলাকাজুড়ে দুই শতাধিক মাইক ব্যবহার করা হচ্ছে।