1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ০৫:৫২ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট: ‘সাংবাদিক গ্রেপ্তার আইন বহির্ভূত’

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১৯ মে, ২০২১
  • ৩২৬ বার পঠিত

অনলাইন ডেস্ক: অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট মামলায় সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে গ্রেপ্তার আইন বহির্ভূত। এই মামলার মাধ্যমে সাংবাদিকদের অধিকার ক্ষুণ্ন করা হয়েছে। এমন মত সাংবাদিক ও আইনজীবীদের। একইসঙ্গে এই আইন তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মত, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনারের। রোজিনা ইসলামকে যারা হেনস্তা করেছে, সেসব আমলাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া উচিত বলে মনে করেন তারা।রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ নথির ছবি তোলা ও নথি নিজের কাছে রাখার অভিযোগে গত সোমবার (১৭ মে) রাজধানীর শাহবাগ থানায় প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। রোজিনা ইসলামের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৭৯ ও ৪১১ ধারায় এবং অফিশিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের ৩ ও ৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পরবর্তীতে এই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

১৯২৩ সালে উপনিবেশিক আমলে প্রনীত ওই আইনে বলা হয়েছে, নিষিদ্ধ কোন স্থানে গিয়ে কেউ তথ্য সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করলে আর গুপ্তচরবৃত্তির মাধ্যমে কোন রাষ্ট্রের কাছে সেই তথ্য পাচার করলে সে অপরাধী হবে।আইন বিবেচনায় এর কোনটিই করেননি সাংবাদিক রোজিনা ইসলাম। বরং দেশের স্বার্থেই পেশাদারিত্ব বজায় রেখেই কাজ করছিলেন তিনি। এমন মত সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের। তিনি বলেন, ‘তাহলে এটিই হচ্ছে সাংবাদিকদের প্রটেকশন। তারা তথ্য নেবে, ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করবে না, গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার করবেনা, তারা রাষ্ট্রের ও সমাজের কল্যাণে এ তথ্য ব্যবহার করবে। সাংবাদিকতার প্রথম শর্তই হলো, যে তথ্যকে চাপা দিয়ে রাখা হয়, সে তথ্যকে প্রকাশ করা। স্পর্শকাতর তথ্য এপিএসের রুমে উন্মুক্ত করে রাখা হয়েছে। এটা তো রাষ্ট্রের জন্য সবচাইতে বিপদজনক।’

তথ্য অধিকার আইনের সঙ্গে অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট অনেকটাই সাংঘর্ষিক মন্তব্য করে সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান জানান, এই আইন সাংবাদিকদের জন্য প্রণয়ন অনেকটাই আইনের অপপ্রয়োগ।তিনি বলেন, ‘তথ্য অধিকার আইনের সুযোগে যে কোন সরকারি মহলের তথ্য দিতে তারা বাধ্য। যদি না দেন তাহলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়, জরিমানাও করা হয়। এই আইনটা যারা সাংবাদিক ও নিজের মতামত প্রকাশ করেন তাদের ধারেকাছেও নাই। বিষয়টি বুঝতে হবে। সুতরাং এটা পুরোই একটা অপপ্রয়োগ।সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি মনজিল মোরসেদ জানান, এ ঘটনায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টে মামলা করাটা আইনের অপপ্রয়োগ। ওই আইন সাংবাদিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়।তিনি বলেন, ‘সচিবালয় তো রেস্ট্রিকটেড এরিয়া তাইনা। আর সাংবাদিকদের তো কার্ড দেয়া হয় সেখানে যাওয়ার জন্য। সাংবাদিকরা তো সচিবের রুমে, এপিএস এর রুমে সব জায়গায় যান। সেক্ষেত্রে এই রেস্ট্রিকটেড এরিয়ার আইনের মধ্যে তারা আইনটাকে ব্যবহার করেছেন। সঠিকভাবে আইনের সংজ্ঞাটা ভালোভাবে পড়েন নাই। আইনের সংজ্ঞার মধ্যে এই মামলা পড়েই না। অতএব এটাকে আমি বলবো, পুরোপুুরি অপব্যবহার। পিপিআই কি বুঝতে পারেন নাই এটার মামলাই চলে না। তিনি যদি আইন-কানুন বুঝতেনই তাহলে তো উনি এখানে দাঁড়াতেনই না।’

৬ ঘণ্টা অবরুদ্ধ রেখে রোজিনা ইসলামকে যারা হেনস্তা করেছে সেসব আমলাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া কথা বলছেন সাংবাদিক ও আইনজীবিরা। উল্লেখ্য, সোমবার (১৭ই মে) পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে গেলে প্রথম আলোর সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। এসময় একটি কক্ষে আটকে রাখার পাশাপাশি তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়া হয়। ঘটনার এক পর্যায়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন রোজিনা। ঘটনার এক পর্যায়ে রোজিনাকে হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে শাহবাগ থানায় নেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..