সোমবার, ০২ অক্টোবর ২০২৩, ১০:২৬ পূর্বাহ্ন
তানভীর চৌধুরী:: শীত মৌসুম শুরু হতে না হতেই মৌলভীবাজারে দেশী পানের সরবরাহ কমেছে। এ অবস্থায় পানের বাজারে বিরাজ করছে অগ্নিমূল্য। পানের বিড়া বিক্রি হচ্ছে তিন গুণেরও বেশি দামে। পানের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়ে গেছে সুপারির দামও। ফলে বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পানের খিলি। বাজারের খুচরা ও পাইকারি পান বিক্রেতা তুহিন মিয়া জানান, ‘আগে বরিশাল, কুষ্টিয়া ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন শহর থেকে দেশী পানের যে সরবরাহ ছিল এখন তার অর্ধেকের চেয়েও কম সরবরাহ রয়েছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে দেশী পানের প্রতি বিড়া (৮০টি পান) বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। এখন সে পানের বিড়া বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা দরে। একটু ছোট আকারের পান বিড়া বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দরে। আর আকারে বড় পানের বিড়া বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা দরে।’ বাজারের পান ও সিগারেট বিক্রেতারা জানান, ‘পানের অগ্নিমূল্যের মাঝে আরেকটি বড় সমস্যা হচ্ছে প্রতি বিড়া পানে ৪ থেকে ৫টি পান কম থাকে। পানের দাম বৃদ্ধির সাথে সুপারির দাম কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে বৃদ্ধি পেয়েছে। আগে শুকনো সুপারি প্রতি কেজি ৪শ টাকা দরে কেনা গেলেও এখন সে সুপারি কিনতে হয় ৪৫০ থেকে ৪৭০ টাকা দরে। তার সাথে কাঁচা সুপারি প্রতি গা (১২ টি সুপারি) ২০ থেকে ২৫ টাকা দরে বিক্রি হলেও এখন সে সুপারি কিনতে হয় ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। তাই সকল পান সিগোরেট বিক্রিতা মিলে বাড়তি দামে পানের খিলি বিক্রি করছেন। তাই তারা খিলি প্রতি ৫ টাকার স্থলে ৮ টাকা দরে, দুই খিলি ১৫ টাকা আর তিন খিলি বিক্রি করছেন ২০ টাকা দরে।’ বাজারে পান কিনতে আসা সাদেক মিয়া বলেন, ‘পানের দাম খুব বেড়েছে। পান খাওয়াও ছাড়তে পারছিনা। তাই আগের চেয়ে কম পরিমাণে পান খেতে হচ্ছে।’ উপজেলার বণিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি বলেন, ‘নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ ধরে পানের দামও বেড়ে গেছে। আর এই দাম এখন তিন গুণেরও বেশি বেড়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত পানের সরবরাহ বাড়ছে না, ততক্ষণ পর্যন্ত পানের দাম কমার কোনো সুযোগ নেই।