রবিবার, ০২ এপ্রিল ২০২৩, ০২:০৫ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লেবাননের বৈরুত থেকে ব্রাজিলে নিজের বাড়িতে ফেরার কথা ছিল প্লাস সাইজ মডেলের। কিন্তু চেহারা অতিরিক্ত ‘বড়’ হওয়ার কারণে নাকি এয়ারলাইন্সের কর্মীরা তাকে প্লেনে উঠতে দেয়নি। সেই ঘটনাতেই এবার কাতার এয়ারওয়েজকে অদ্ভুত শাস্তি দিলো আদালত। বিচারপতি জানিয়েছেন, ওই মডেলের সাইকোথেরাপির জন্য ১ বছর ধরে টাকা দিতে হবে কাতার এয়ারওয়েজকে।
ব্রাজিলের সাও পাওলোর বাসিন্দা জুলিয়ানা নেহমে লেবাননের বৈরুত থেকে দোহায় আসবেন বলে কাতার এয়ারওয়েজের ফ্লাইটের ইকোনমি ক্লাসের টিকিট কেটেছিলেন। পরে দোহা থেকে সাও পাওলো আসার কথা ছিল তার। কিন্তু গত ২২ নভেম্বর বৈরুত থেকে ফ্লাইটে ওঠার সময় তাকে বাধা দেয় এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। ৩৮ বছর বয়সী মডেলকে বলা হয়, তার চেহারা ইকনোমিক ক্লাসে ভ্রমণ করার জন্য অতিরিক্ত বড়। তাই ১ হাজার ডলার দিয়ে টিকিট কেটে রাখা সত্ত্বেও তাকে কিছুতেই প্লেনে উঠতে দেয়নি সংস্থাটি। পরে তাকে ৩ হাজার ডলার দিয়ে বিজনেস ক্লাসের টিকেট কাটতে বলা হয়।
স্বভাবতই সেই পরামর্শে রাজি হননি অপমানিত জুলিয়ানা। এয়ারলাইন্সের এই কীর্তিতে তার ঠিক সময়ে দেশে ফেরাই হয়নি। তবে এই ঘটনা পুরোটাই ভিডিও রেকর্ড করে রেখেছিলেন জুলিয়ানা। পরে দেশে ফিরে নিজের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে তা আপলোড করে দেন তিনি। সেটি অল্প সময়েই ভাইরাল হয়ে যায়।
সেই ভিডিওতে জুলিয়ানা জানিয়েছেন, এই ঘটনার পর তাকে ইকোনমি ক্লাসের জন্য কাটা টিকিটের অর্থও ফেরত দেয়নি কাতার এয়ারওয়েজ। ‘কাতার এয়ারওয়েজের মতো সংস্থা যাত্রীদের সঙ্গে এই ধরনের বৈষম্যমূলক আচরণ বরদাস্ত করছে, এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক! আমি মোটা ঠিকই, কিন্তু আমি তো বাকিদেরই মতো,’ লেখেন ক্ষুব্ধ মডেল।