1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
১৭ মার্চ ওড়াতে হবে জাতীয় পতাকা, প্রজ্ঞাপন জারি, পাহাড়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে রোগী হয়রানি করবেন না : রাষ্ট্রপতি, সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে গণমাধ্যম-পরিবেশমন্ত্রী,সাবেক এমপি নাসের রহমানের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার প্রতিবাদে পুলিশের বাধা পেরিয়ে মৌলভীবাজারে বিএনপি’র বিক্ষোভ ও সমাবেশ, রমজানে মানুষের কষ্ট লাঘবে ব্যবস্থা নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী, রমজানে বাজার অস্বাভাবিক হলে ডিসিদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ, গুলিস্তান-সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই : আইজিপি.সপ্তাহে তিন দিন ছুটির কথা ভাবছে সৌদি সরকার. মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা : নিহত ৩

ব্রেস্টে চাকা হওয়া মানেই ক্যান্সার নয়

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ৫৯ বার পঠিত
বাস্থ্যকথা ডেস্ক : নারীদের ব্রেস্টে চাকা অনুভূত হওয়া একটি বড় শঙ্কার বিষয়। তবে ব্রেস্ট লাম্প মানেই ক্যান্সার এ ধারণা করাটা ভুল। ক্যান্সার ছাড়াও ব্রেস্টে বিভিন্ন কারণে চাকা হতে পারে।

নারীদের স্তনে চাকা হবার কিছু কারণ:
ফাইব্রোএডিনোসিস : ফাইব্রোএডিনোসিস সাধারণত ২৫-৩৫ বছর বয়সে হয়ে থাকে। এ-কারণে মাসিকের আগে বুকে চাকা চাকা এবং ব্যথা অনুভব হয়, যা মাসিক হবার পর কমে যায়। মাসিকের সময় যে হরমোন নিঃসরিত হয় তার কারণে ব্রেস্টের টিস্যুতে কিছু পরিবর্তন হয়, ফলে এই ধরনের অনুভুতি হয়।

ফাইব্রোএডিনোমা : ফাইব্রোএডিনোমা এটি একটি বিনাইন লাম্প। ১৫-২৫ বছর বয়সে বেশি হয় এটি। সাধারণত হঠাৎ করে বুকে এই চাকা ধরা পড়ে, যা সহজেই নড়াচড়া করে এবং ব্যথাহীন হয়ে থাকে। এজন্য এ ধরনের চাকাকে ব্রেস্ট মাউস বলা হয়। সাইজ ছোট হলে আপনা-আপনি মিলিয়ে যেতে পারে, তবে বড় হলে অপারেশন করে অপসারণ করতে হয়।

ব্রেস্ট সিস্ট : ব্রেস্ট সিস্ট হচ্ছে পানি ভর্তি টিউমার। এগুলো যেকোনো বয়সে হতে পারে, তবে মহিলাদের মেনপোজ-এর আগে বেশি হয়। সিস্টগুলো মসৃণ ও গোলাকার হয়ে থাকে। এর চিকিৎসা হচ্ছে নিডেলের মাধ্যমে পানি অপসারণ করা।

ব্রেস্ট অ্যাবসেস বা ইনফেকশন : ব্রেস্ট অ্যাবসেস স্তন্যদায়ী মায়েদের ক্ষেত্রে বেশি হয়। অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া আঘাত প্রাপ্ত স্থান বিশেষ করে ক্র্যাক নিপেল দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে পুঁজ তৈরি করে। এটি খুব ব্যথাযুক্ত হয়। চিকিৎসা হিসেবে ব্যথার ঔষধ, অ্যান্টিবায়োটিক, গরম কমম্প্রেশন ইত্যাদি দেয়া হয়। পুঁজ অ্যাবসেস বড় থাকলে সার্জারির মাধ্যমে ড্রেইন করে নিয়মিত ড্রেসিং করার দরকার হয়।

ফ্যাট নেক্রোসিস : ফ্যাট নেক্রোসিস কি তা ভাবছেন তো? কোন কারণে ব্রেস্ট আঘাতপ্রাপ্ত হলে ব্রেস্টের ফ্যাটি টিস্যু নেক্রোসিস হয়ে চাকা তৈরি করে। এগুলো সাধারণত ধীরে ধীরে অপসারিত হয়, কিছু ক্ষেত্রে সার্জারি করার দরকার হয়।

লাইপোমা : লাইপোমা ফ্যাটি টিস্যুর টিউমার, যা ক্যান্সার নয়। সাইজ বড়ো হলে সার্জারি করে অপসারন করা লাগে।

ব্রেস্ট ক্যান্সার : ব্রেস্টে চাকার একটি কারণ হচ্ছে ক্যান্সার। অন্যান্য চাকার সাথে এর পার্থক্য হল এটি সহজে নড়াচড়া করানো যায় না, উপরিভাগ অমসৃণ ও সাধারণত ব্যথাহীন হয়ে থাকে।

স্তনে চাকা কীভাবে বোঝা যাবে : সেলফ এক্সামিনেশন এর মাধ্যমে নিজেই নিজের স্তন পরীক্ষা করে দেখা যায়। প্রতি মাসে মাসিকের পর ঘরে বসেই আপনি এ পরীক্ষা করতে পারেন।

কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন : যেকোনো চাকা অনুভব হলে অবশ্যই ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে এর ধরণ নির্ণয় করতে হবে, বিশেষ করে চাকাটি যদি মাসিক হবার পরও মিলিয়ে না যায়, আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে অথবা ব্যথা থাকে।

* ব্রেস্টের চামড়ায় কোন পরিবর্তন হলে যেমন, কুঁচকানো ভাব, লোমকূপের ছিদ্র বড় হয়ে যাওয়া অথবা রঙের কোন পরিবর্তন।

* নিপল ভিতরের দিকে ঢুকে গেলে অথবা এ থেকে কোন অস্বাভাবিক ডিসচার্জ বা রস বের হলে।
কি কি পরীক্ষার দরকার হতে পারেঃ চাকার কারণ নির্ণয়ের জন্য কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার হয়, যেমন আলট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি, বায়োপসি, ম্যামোগ্রাফি ইত্যাদি।

ক্যান্সার প্রতিরোধের কিছু উপায় : ফ্যামিলিতে ব্রেস্ট ক্যান্সারের হিস্ট্রি আছে তাদেরকে এ বিষয়ে সচেতন হতে হবে। এছাড়া সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ওজন নিয়ন্ত্রণ, হরমোনাল পিল ৩-৫ বছরের অধিক গ্রহণ না করা এবং বাচ্চাকে সঠিকভাবে বুকের দুধ পান করালে ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।

সৌজন্যে : ডাঃ নুসরাত জাহান
সহযোগী আধ্যাপক (গাইনি)ডেলটা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..