মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন
শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি:: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের লিজকৃত বয়রা বিল (বদ্ধ) জলমহাল সরকারী নিয়মকানুন মেনে বৈধ্য ভাবে লীজ বন্দোবস্ত নিয়ে মাছ ধরতে পারছেন না লিজ গ্রহীতা মনোরঞ্জন বিশ্বাস। একই সাথে তার নিজের মৌরশী জলাশয় থেকে বিভিন্ন টালবাহানা করে হুমকি দিয়ে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছেন খোরশেদ মিয়ার লোকজন। তাদের এই অন্যায় অনিয়মের বাঁধা দিতে চাইলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন তারা। বিচার চেয়েও পাচ্ছেন না তার সুষ্ঠ সমাধান।
সোমবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবের বিপুল রঞ্জন চৌধুরী ও মহরম খান মিলনায়তনের এক সংবাদ সম্মেলনে উপজেলার কালাপুর ইউনিয়নের বরুনা গ্রামের বাসিন্দা মনোরঞ্জন বিশ্বাস লিখিত বক্তব্য বলেন, তিনি একজন সংখ্যালঘু নিরিহ হিন্দু মানুষ। উপজেলার বরুনা এলাকার হাইল হাওরের বয়রা বিলে সরকারী জলমহাল এবং ব্যক্তি মালিকানায় প্রায় ১০৬ একর জমিতে মাছ চাষ করে আসছেন। এর মধ্যে স্থানীয় ভাবে অন্নপূর্ণা মৎসজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামে ডিসি অফিস থেকে বৈধ্য ভাবে জলমহাল ইজারা রয়েছে প্রায় ৯২ একর। বাকি জমি ব্যক্তি মালিকানা।
মৌলভীবাজাররের নাজিরাবাদ ইউনিয়নের আটঘর গ্রামের শেখ খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে বরুনা গ্রামের কলা মিয়া, দিলু মিয়া, মামুন মিয়া, নুরুল হক, তবারক মিয়াসহ কতিপয় ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে এসব জল মহাল থেকে জোর পূর্বক মাছ লুটপাট ও সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি করে আসছে। এতে প্রায় ৭-৮ লক্ষ টাকার আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার বলেন, রবিবার রাতে একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তিনি।
শ্রীমঙ্গল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রাজিব মাহমুদ মিঠুন বলেন, বে-আইনী ভাবে কেই মাছ ধরলে আমরা মৎস্য কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিন তদন্ত করে প্রয়োজনে মামলা করা হবে বলে তিনি জানান।
এব্যাপারে শেখ খোরশেদ আলম বলেন, এই জলমহালের আমার কোন সম্পর্ক নেই। আমি কোন জল মহাল নিয়ে কোন ব্যক্তিকে হুমকি বা মাছ লুটপাটের সাথে জড়িত না । আমাকে হেয় করার জন্য একটি মহল অপ্রচার চালাচ্ছে। আমি তার সুষ্ঠু বিচার চাই।