1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:১৬ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কমলগঞ্জে সামাজিক বনায়ন নষ্টের অভিযোগ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২২
  • ২০০ বার পঠিত

তানভীর চৌধুরী :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে বন বিভাগের অবহেলায় প্রায় ১৫ লাখ টাকার গাছ বিনষ্ট হয়েছে। গাছ নাম্বারিংয়ের পরেও দীর্ঘ সময় ধরে নিলাম না করায় বেশির ভাগ গাছ শুকিয়ে মারা গেছে। সেই সঙ্গে চোররা অবাধে কেটে নিয়ে যাচ্ছে এসব গাছ। ব্যস্ত সড়কের ওপর মরা গাছ ঝুলে থাকায় যে কোন সময় ঘটতে পারে অনাকাঙ্খিত দুর্ঘটনা। স্থানীয়দের অভিযোগ, বন বিভাগের অবহেলার কারণেই এই লাখ টাকার গাছগুলো নষ্ট হচ্ছে।

জানা যায়, উপজেলার রাজকান্দি রেঞ্জের আওতায় ১৯৯৫-৯৬ সালে দেড় কিলোমিটার সামাজিক বনায়নের স্ট্রীপ বাগান করা হয়। পরবর্তীতে এ গাছ ২০১৪-১৫ সালে নিলামে বিক্রি করা হয়। নিলামে অর্জুন কুমার ধর নামে একজন ৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা দামে গাছগুলো কিনে নেয়। নির্ধারিত সময়ে দাম পরিশোধ না করায় রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা আবার নিলামে এ গাছ বিক্রি করার জন্য দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। দীর্ঘ ৭ বছরেও গাছ বিক্রি না হওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। গাছের তুলনায় দরপত্রে দাম বেশি হওয়ার এ বনায়নের গাছ বিক্রি হচ্ছে না বলে জানা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাগানের প্রায় ৯০ শতাংশ গাছ শুকিয়ে মরে গেছে এবং ঝড়-তুফানে পড়ে গেছে। এছাড়া অনেক গাছ চুরি হয়েছে। বনায়নের গাছ ঠিক সময়ে বিক্রি না করায় উপকারভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুধু এই বাগান নয় উপজেলার বিভিন্ন সড়কের পাশের গাছ অবাধে চুরি হয়ে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে উপকারভোগী মো. শামিম মিয়া বলেন, ‘অনেক কষ্ট করে বাবা গাছ লাগিয়ে ছিলেন। বাগানের বেশিরভাগ গাছ মারা গেছে। আমি জীবিত অবস্থায় আমার অংশের টাকা পাবো কি না তা নিয়ে সন্দেহ আছি। বারবার বন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করে কোন সমাধান পাইনি। ক্ষতিপূরণসহ আমার প্রাপ্য টাকা দেওয়া হোক।’

এ বিষয়ে অর্জুন কুমার ধর বলেন, ‘বন বিভাগ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিতে যে পরিমাণ কাঠ উল্লেখ করা হয়েছে বাস্তবে তার অর্ধেক না থাকায় আমি লট ক্রয় করিনি। আমার জামানতের টাকা ফেরত দেওয়া হোক।’

পতনঊষার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অলি আহমদ খান বলেন, বিভিন্ন সড়কের সামাজিক বনায়নের গাছ চুরি হওয়ার বিষয়ে উপজেলা সমন্বয় মিটিংয়ে বারবার উত্থাপন করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। গাছ নিলামে বিক্রি করলে কমপক্ষে চুরি থেকে বাঁচতো।

রাজকান্দি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জীবিত গাছের সংখ্যা উল্লেখ করে গাছ বিক্রির জন্য কয়েকবার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই গাছ কেনার জন্য কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেনি।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..