রবিবার, ১৮ মে ২০২৫, ০৭:৫২ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আমার যাবার সময় হলো, দাও বিদায়। মোছ আঁখি, দুয়ার খোলো, দাও বিদায়। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এ গানের সুর ধরেই যেন বিদায়ের বার্তা নিয়ে নতুনের আবাহনে বিলীন ২০২২। নতুন আলোর প্রত্যয়ে স্বাগত-২০২৩।
বিদায় মানেই আনন্দ-বেদনার মহাকাব্য। বিদায়ের দিনে চোখের দৃশ্যপটে একটি বছর যেন এক মুহূর্ত। আজ ভোরের সূর্য আগামীর নতুন পৃথিবী। বছরের প্রথম দিনটিতে অতীতের আনন্দ-বেদনার স্মৃতি রোমন্থন করেন অনেকেই। আশার প্রত্যয়ে পুরনোকে পেছনে ঠেলে নতুন দিগন্তে পথচলার শুরু হবে এই কামনা সকলের।
জীবন চলার পথে ইংরেজি সাল বেশ গুরুত্ব বহন করে মানুষের জীবনে। সে কারণে বিদায়ী বছরে জীবনের হিসাবও কষতে হয়। তবে একেক জনের কাছে একেকভাবে মূল্যায়িত হবে বিদায়ী বছরটি। এদিকে ব্যক্তি জীবনের পাশাপাশি জাতীয় জীবনেও বিদায়ী বছরটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। করোনা পরবর্তী পৃথিবীতে যুদ্ধের দামামা আঘাত করে বিশ্ব অর্থনীতিকে। খাদ্য সঙ্কটের আভাসের সঙ্গে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ভুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে। এছাড়া রাজনৈতিক ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদায়ী বছরটি ছিল ঘটনাবহুল।
করোনা পরবর্তী পৃথিবী বারবার ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা করেছে। ঘুরেও দাঁড়িয়েছে। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ যেন সময়ের অভিশাপ হয়ে ভর করে বেঁচে থাকা মানুষগুলোর ওপর। বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব পড়েছে লাল-সবুজের বুকেও। ধুঁকেছে মানুষ, এখনো ধুঁকছে প্রাণ।
তবে বধির মানবতার দেয়ালে এক পশলা আনন্দ এনে দিয়েছে ‘গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। বিশ্বকাপের উন্মাদনায় বুঁদ মানুষ কিছুটা সময়ের জন্য এক হয়েছিল। এখনো মানুষ স্বপ্ন দেখে নতুন ভোরে শান্তির পৃথিবীর। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়েছে। তবুও জীবন যাচ্ছে চলে জীবনের গতিতে। তবুও এগিয়ে যাচ্ছে মানুষ, নতুন আশায়, নতুন স্বপ্নে। আলো আসবেই, এই প্রত্যয়ে।