বুধবার, ২৯ মার্চ ২০২৩, ০৬:৪৪ পূর্বাহ্ন
স্টাফ রিপোটার: সিলেট বিভাগে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন সিলেট জেলা প্রেসক্লাব নির্বাচনে হাসিনা-নবেল পরিষদ অভূতপূর্ব বিজয় অর্জন করেছে। কার্যনির্বাহী পরিষদের ১৫টি পদের মধ্যে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ সহ ১২টিতেই বিজয়ী হয়েছেন এই প্যানেলের প্রার্থীরা। অন্য দুটি পদে বিজয়ী হয়েছেন ফরিদী-দেবু পরিষদের প্রার্থীরা। এছাড়া একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ভবনে ভোট গ্রহণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট এ কে এম শামিউল আলম। এ সময় নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সদস্য মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার ভবতোষ রায় বর্মণ রানা ও সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী এবং সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের উপদেষ্টা দৈনিক একাত্তরের কথার সম্পাদক চৌধুরী মুমতাজ আহমদ সহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ফলাফল ঘোষণার আগে সিলেট জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি আল আজাদ ও সাধারণ সম্পাদক ছামির মাহমুদ এবং পরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন নবনির্বাচিত সভাপতি হাসিনা বেগম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শাহ দিদার আলম চৌধুরী নবেল ও সাধারণ সম্পাদক পদে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী দেবাশীষ দেবু। এছাড়া নির্বাচন পরিচালনা পরিষদের সদস্যরাও বক্তব্য রাখেন।
সভাপতি পদে নির্বাচিত হাসিনা বেগম চৌধুরী পেয়েছেন ৫৮ ভোট। অপর প্রার্থী লিয়াকত শাহ ফরিদীর প্রাপ্ত ভোট ৫৫।
সহসভাপতি (প্রথম) পদে নির্বাচিত মনিরুজ্জামান মনির পেয়েছেন ৫৬ ভোট। অপর দুই প্রার্থীর মধ্যে মুকিত রহমানীর প্রাপ্ত ভোট ৪৯ আর এস সুটন সিংহ (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ১০ ভোট।
সহসভাপতি (দ্বিতীয়) পদে নির্বাচিত সাঈদ চৌধুরী টিপু পেয়েছেন ৬১ ভোট। অপর প্রার্থী সজল ঘোষের (স্বতন্ত্র) প্রাপ্ত ভোট ৫৩।
সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত শাহ দিদার আলম নবেল পেয়েছেন ৭৫ ভোট। অপর প্রার্থী দেবাশীষ দেবুর প্রাপ্ত ভোট ৩৯।
সহসাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত রবি কিরণ সিংহ (মাইস্লাম রাজেশ) পেয়েছেন ৬২ ভোট। অপর প্রার্থী মো আব্দুল কাইয়ুমের প্রাপ্ত ভোট ৫০। কোষাধ্যক্ষ পদে নির্বাচিত আনন্দ সরকার পেয়েছেন ৭৩ ভোট। অপর প্রার্থী সাদিকুর রহমান সাকীর প্রাপ্ত ভোট ৪২।
ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক পদে নির্বাচিত মিঠু দাস জয় পেয়েছেন সর্বোচ্চ ৭৯ ভোট। অপর প্রার্থী ইউসুফ আলীর প্রাপ্ত ভোট ৩২।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে নির্বাচিত সুলতান সুমন পেয়েছেন ৫৬ ভোট। অপর প্রার্থী মো একরাম হোসেনের প্রাপ্ত ভোট ৫৩ ভোট।
তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে নির্বাচিত মো এনামুল কবীর পেয়েছেন ৫৪ ভোট। অপর প্রার্থী রায়হান উদ্দিনের প্রাপ্ত ভোট ৪৯।
পাঠাগার সম্পাদক পদে নির্বাচিত মো আবু বক্কর (ফরিদী-দেবু পরিষদ) পেয়েছেন ৫৪ ভোট। অপর প্রার্থী মো আলী আকবর চৌধুরী কোহিনূরের প্রাপ্ত ভোট ৫৩ ভোট।
দপ্তর সম্পাদক পদে নিবৃাচিত মো আব্দুল আহাদ পেয়েছেন ৫৩ ভোট। অপর প্রার্থী মনিরুজ্জামান রনির প্রাপ্ত ভোট ৪৯।
নির্বাহী সদস্য পদে নির্বাচিত মো. শাহীন আহমদ পেয়েছেন ৬৮ ভোট, মাহমুদ হোসেন (ফরিদী-দেবু পরিষদ) পেয়েছেন ৬০ ভোট, মো আনোয়ার হোসেন ৫৭ ভোট ও রনজিৎ কুমার সিংহ (স্বতন্ত্র) পেয়েছেন ৫৬ ভোট।
ফরিদী-দেবু পরিষদ অপর দুই প্রার্থী এ এইচ আরিফ ৪৩ ভোট ও মো ছয়ফুল আলম অপু ৩৪ ভোট পেলেও নির্বাচিত হতে পারেননি।