সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৭:০০ পূর্বাহ্ন
এম এ ওয়াহিদ রুলু:: মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে টানা ২য় দিন দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে। বুধবার (০৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত মঙ্গলবার শ্রীমঙ্গলের তাপমাত্রা ছিলো ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবছর গতকাল ছিলো এখানকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে সূর্য উঠার কারনে ঠান্ডা কম অনুভুত হচ্ছিলো। কিন্তু বেলা ২টা পর্যন্ত এই রিপোর্ট লেখা কালে কুয়াশায় ঢাকা ছিলো চারদিক। শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে। শৈত প্রবাহের কারনে সূর্য না উঠার কারনে লোকজন প্রচন্ড শীতে কষ্ট করে কাজে বের হয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জে প্রচন্ড ঠান্ডায় জবুথবু হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিশেষ করে রাতের বেলা প্রচুর ঠান্ডা অনুভুত হচ্ছে এখানে। রাতের বেলা কুয়াশার কারনে যান চলাচলে ধীর গতি অবলম্বন করতে হচ্ছে চালকদের। চা বাগান অধ্যুষিত শ্রীমঙ্গলে চা বাগানের শ্রমিক ও নিন্ম আয়ের লোকজন ঠান্ডায় বেশী কষ্ট পাচ্ছেন। শ্রীমঙ্গল বিটিআরআই সংলগ্ন চা বাগানে চা পাতা তুলছিলেন কয়েকজন চা শ্রমিক। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকরা বলেন, প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও চা পাতা তুলতে বের হয়েছি। সূর্য উঠেনি, অনেক ঠান্ডা। গাছের পাতাগুলো বরফ হয়ে আছে। হাত দিয়ে পাতা তুলতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। পেটের দায়ে তবুও কাজ করতে হচ্ছে। এধরনের ঠান্ডা থাকলে আমাদের কাজ করা কষ্টকর হয়ে উঠবে। কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানের শ্রমিক সজল বলেন, চা বাগানে সব চেয়ে বেশী ঠান্ডা। রাতের বেলা চা বাগানে মারাত্বক ঠান্ডা পড়ে। আমরা অনেক কষ্ট করে থাকি। শ্রমিকরা সবার ঘরে তো ভালো কাপড় নাই, কম্বল নাই, গতবার অনেকেই সাহায্য করছে। এবার কেউ শীতবস্ত্র দিচ্ছে না। শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গলে রেকর্ড করা হয়েছে। সকাল ৯টায় ৯দশমিক ০ ডিগ্রী সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ছিলো ৮ দশমিক ৫, গত সোমবার ছিলো ৯ দশমিক ৫। এখন শ্রীমঙ্গলে মৃদু শৈতপ্রবাহ বইছে। আগামী কয়েকদিন এধরনের আবহাওয়া অব্যাহত থাকবে। গতকাল সূর্য দ্রুত উঠার কারনে ঠান্ডা কম অনুভব করলেও আজ সূর্য না উঠার কারনে আজ কনকনে শীত অনুভুত হচ্ছে।