1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

বরিশালের রানের পাহাড় টপকে টানা দ্বিতীয় জয় সিলেটের

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৪৩৭ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : ফরচুন বরিশালের দেয়া রানের পাহাড় টপকে গেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। এতে করে চলতি আসরে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছে সিলেট। এর আগে উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৮ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাশরাফি-মুশফিকরা।
শনিবার (৭ জানুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে সাকিবের ৩২ বলে ৬৭ রানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে ১৯৪ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় বরিশাল। জবাবে শান্ত-হৃদয়-জাকিরের ব্যাট ৬ উইকেট হাতে রেখেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে সিলেট।
বরিশালের দেয়া টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটে। স্কোরবোর্ডে এক রান যোগ করতেই রান আউটের ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন বিদেশি রিক্রুট কলিন অ্যাকারম্যান। দ্বিতীয় উইকেটে শান্ত ও হৃদয় মিলে গড়েন ১০১ রানের জুটি। দলীয় ১০২ রানে শান্ত ৪০ বলে ১ ছয় ও ৫ চারে ৪৮ রান করে রান আউটে কাটা পড়েন।
শান্ত ২ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরির দেখা না পেলেও হৃদয় ঠিকই অর্ধশত তুলে নেন। দলীয় ১৩৬ রানে ৩৪ বলে ১ ছয় ও ৭ চারে ৫৫ রান করে করিম জানাতের বলে এলবির ফাঁদে পড়েন হৃদয়। চতুর্থ উইকেটে জাকির ও মুশফিক ঝড়ো গতিতে গড়েন ৩৮ রানের জুটি। দলীয় ১৭৪ রানে জাকির ডি সিলভার বলে রিটার্ন ক্যাচ দিয়ে ফিরেন। তার আগে বরিশালের বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালান জাকির। ১৮ বলে ৩ ছয় ও ৪ চারে করেন ৪৩ রান।
এরপর বাকি রান কোনও ঝামেলা ছাড়াই তুলে নেন মুশফিক ও থিসারা পেরেরা। মুশফিক ১১ বলে ২৩ ও পেরেরা ৯ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। বরিশালের হয়ে ডি সিলভা ও করিম জানাত একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পায় বরিশাল। এনামুল হক বিজয় ও চতুরাঙ্গা ডি সিলভা করেন ৬৭ রানের জুটি। এরপর বিজয় ২১ বলে ১ ছয় ও ২ চারে ২৯ রান করে মাশরাফির শিকার হলে ভাঙে জুটি। অবশ্য বিদায়ের আগে পাওয়ার প্লেতে চতুরাঙ্গা ও বিজয় তুলে নেন ৫৪ রান।

সঙ্গী হারানোর পর চতুরঙ্গাও উইকেটে বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। ইমাদ ওয়াসিমের ওভারে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। তবে দুই উইকেট হারালেও ক্রিজে নেমে রানের চাকা সচল রাখেন সাকিব আল হাসান ও ইফতিখার আহমেদ।
তাদের ব্যাটে দলীয় শতরান পার হলেও ১০৮ রানে ইফতিখার বিদায় নেন মাশরাফির শিকার হয়ে। এটি ছিল ম্যাচে ম্যাশের দ্বিতীয় শিকার। এরপর অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে সিলেটের ওপর চড়াও হন সাকিব। দলীয় ১৩৮ রানে মাহমুদউল্লাহ ১৯ রানে ফিরলেও সাকিব দলকে ১৫০’র ওপর নিয়ে যান।
সঙ্গে তুলে নেন ২৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি। মাইলফলকে পৌঁছে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন তিনি। মাঝে হায়দার আলি ৬ বলে ৩ করে বিদায় নিলেও করিম জানাতকে নিয়ে রান বাড়াতে থাকেন এই ব্যাটার। তবে দলকে ১৮০’র ঘরে নিয়ে গেলেও শেষ ওভারে মাশরাফির তৃতীয় শিকার হয়ে ফেরেন সাকিব।
শেষের দিকে মেহেদি হাসান মিরাজ ক্রিজে রান আউট হন পঞ্চম বলে। মাশরাফির সরাসরি থ্রো-তে স্টাম্প ভাঙে তার। শেষ বলে ছক্কা হাঁকিয়ে বরিশালকে ১৯০’র ঘরে নিয়ে যান করিম।
সিলেটের হয়ে মাশরাফি ৩টি, ইমাদ ওয়াসিম, রেজাউর রেজা ও থিসারা পেরেরা প্রত্যেকে একটি করে উইকেট লাভ করেন।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..