1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

পুলিশ সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছে : আইজিপি

  • আপডেট টাইম : বুধবার, ১১ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১২৯ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট :: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদসহ যেকোনো আইনশৃঙ্খলাজনিত চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করেছি। ফলে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করতে পেরেছি। আস্থার জায়গাটা ধরে রাখার জন্য প্রস্তুত আছি।আজ বুধবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টায় গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে দুই পর্বের বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ প্রস্তুতি পরিদর্শনে এসে কামারপাড়া সেতু সংলগ্ন বিদেশি খিত্তার পাশে তিনি এসব কথা বলেন।আইজিপি বলেন, আমরা সব সময় বলে থাকি পুলিশ লাইফ ইট ইজ অ্যা চ্যালেঞ্জিং লাইফ, এভরিডে ইজ ইউ ডে, কোন দিন কোন চ্যালেঞ্জ থাকবে, অর্থাৎ প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ আমাদের জানা থাকে। এরপরও প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ মেকাবিলা করে থাকি। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিজনিত যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো সক্ষমতা, দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ রয়েছে। এটা দিয়ে আমরা আগামী দিনের যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবো বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এবং দেশবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই।আগামী ১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি ইজতেমার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে এবং ২০, ২১ ও ২২ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব হবে। মাওলানা যোবায়ের প্রথম পর্বে এবং মাওলানা সাদ কান্ধালভীর অনুসারীরা দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেবেন।চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমরা উভয় পক্ষের সঙ্গে বসে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে যে মতবিরোধ আছে সেটা নিরসনের জন্য আমরা আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি, তারা সবাই মিলে আমাদের কথা দিয়েছে, এই অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে পালনে যথাযথভাবে এক পক্ষ অপর পক্ষকে সহযোগিতা করবে।তিনি বলেন, বিদেশি নাগরিক যারা আসে তাদের জন্য বিমানবন্দরে ইজতেমা কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি থাকে, তারা তাদের সহযোগিতা করে নিয়ে আসে। তারা যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে আসতে পারেন, আমাদের ইমিগ্রেশন থেকে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়ে থাকে, তারা যাতে আমাদের দেশে সুন্দরভাবে আসতে পারেন এবং ইমিগ্রেশনে যেন কোনো ধরনের জটিলতা সৃষ্টি হতে না পারে। পাশাপাশি ট্রাফিক ব্যবস্থা যেন সুগম হয়, সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ছাড়া সাধারণ মানুষ যারা রয়েছে তাদের ম্যাপ করে দেওয়া হয়েছে। তারা কীভাবে ইজতেমা মাঠে আসবেন বিভিন্ন পয়েন্টে তাদের জন্য নির্দেশনা টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। ডিএমপি পয়েন্টেও গাড়ি রাখার জন্য বিস্তারিত রাস্তায় প্যানা ফ্লেক্সের মাধ্যমে টানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পকেটমার ও ছিনতাইকারীদের উৎপাত যেন না হয়; এ ধরনের ছোট ছোট প্রেট্রোল পার্টি থাকবে, টুরিস্ট পুলিশ থাকবে যাতে পর্যটক বা বিদেশি অতিথি যারা আসেন তাদের যেন কোনো ধরনের সমস্যা না হয়।আইজিপি বলেন, সাধারণ মানুষের ইজতেমা মাঠে প্রবেশের সুবিধার্থে আমরা ম্যাপ তৈরি করে দিয়েছি। বিভিন্ন পয়েন্টেও আমরা তাদের জন্য বিভিন্ন প্রকারের নির্দেশনা টাঙিয়ে দিয়েছি। এছাড়াও বিভিন্ন পরিকল্পনা করে কোন বিভাগের গাড়ি কোথায় পার্কিং করা থাকবে, কোন রাস্তা কখন খোলা বা বন্ধ খাকবে সেই নির্দেশনা দিয়েছি। পকেটমারসহ নানা অপরাধ কার্যকলাপ রুখতে আমাদের পেট্টোল টিম কাজ করবে। আমরা ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করব। সাদা পোশাক ও পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুুলিশ বিভাগ ১৪টি কন্ট্রোলরুম তৈরি করেছে। র‌্যাবের কন্ট্রোল রুম থাকবে, ডিএমপি তার এলাকায় কন্ট্রোল রুম খুলবে, এসবি, এটিও, সিআইডি, নৌপুলিশ, অবজারভারভেশন টিম থাকবে, র‌্যাবের হেলিকপ্টার টহল থাকবে। ডগ স্কোয়াড টিম, মোবাইল পেট্টোল টিম, বোম ডিস্পোজাল টিম থাকবে। মোনাজাতের দিন সুষ্ঠুভাবে আখেরি মোনাজাত ও জুমার নামাজ যাতে মুসুল্লীরা সুষ্ঠুভাবে অংশ নিতে পারে সেজন্য সকল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। আমরা সাধারণ মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই আপনারা নির্ভয়ে ইজতেমায় অংশ নিতে পারেন।চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ইজতেমা স্থলে যে ৯১টি খিত্তায় বিভক্ত, খিত্তাভিক্তিক আমাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ, র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ানের (র‌্যাব) পাশাপাশি ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশ, স্পেশাল ব্রাঞ্চ, সিআইডি, নৌপুলিশ, এন্টিট্যারিজম ইউনিট, রেলওয়ে পুলিশ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দায়িত্ব পালন করছে। এর সঙ্গে সরকারের অন্যান্য বিভাগও সমন্বিতভাবে কাজ করছে। আমরা একই সঙ্গে সবাই মিলে একযোগে কাজ করছি, যাতে মুসল্লিরা শান্তিপূর্ণভাবে এই আয়োজনে শরীক হতে পারেন। এর জন্যই আমরা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছি। আমাদের আশা ইতোপূর্বে আমরা যেভাবে সফল হয়েছি, এর ধারাবাহিকতায় এবারও আমরা এই আয়োজন সফল করব। ইতোধ্যেই আমাদের ফোর্স আসা শুরু হয়েছে, আগামীকাল থেকে পুরোপুরি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ শুরু হবে।ইজতেমা মাঠ পরিদর্শনে আইজিপির পরিদর্শনের উপস্থিত বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক স্পেশাল ব্রােঞ্চের প্রধান মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজিপি ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রধান হাবিবুর রহমান, গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার দেলোয়ার হোসেন ও গাজীপুর পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম প্রমুখ।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..