1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০২:১৪ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শেরপুর ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা: প্রশাসনের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে জমজমাট জুয়ার আসর

  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১১৬৫ বার পঠিত

স্টাফ রিপোটার: সিলেট বিভাগের ৪ জেলার মিলনস্থল মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে চলছে দুইশো বছরের ঐতিহ্যবাহী ‘মাছের মেলা’। রয়েছে সুনাম ,খ্যাতি দেশ বিদেশে এ মাছের মেলার। বিগত কয়েক বছর জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রসাসনের কটোর নির্দেশনায় কোন ধরনের মেলায় জুয়া, পুতুল নাচের নামে অশ্লিল নিত্য ও মাদকের হাট না বসলে ও এবার গভীর রাতে চালিয়ে যাচ্ছেন অয়োজক কমিঠি। আয়োজক কমিঠিকে নির্দেশাবলী দেয়া হলেও গভীর রাতে চালালে ও রহস্যজনক কারনে নিরব ভূমিকা পালন করে স্থানীয় প্রশাসন। রাত থেকে বিভিন্ন শ্রেনী ও পেশার লোকজন এমনকি সাংবাদিকরা উপজেলা ও জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করলে ও মেলা কমিঠির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা। মেলার এীতহ্য নষ্ট করতে গিয়ে জুয়া খেলা, ওয়ান টেন বোর্ডসহ বিভিন্ন নিষিন্ধ ওপেন চালিয়ে আোয়োজ কমিটির পকেট ভারী হয় সংশ্লিষ্টদের এমন অভিযোগ শত শত এলাকাবাসী ও আগতদের।

করোনাভাইরাসের কারণে বিগত দুই বছর বন্ধ থাকার পর সনাতন ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব পৌষ সংক্রান্তিকে উপলক্ষ করে শুক্রবার শুরু হয় তিন দিন ব্যাপী মাছের মেলা। মেলা শুরু প্রথম দিন সন্ধ্যার পর প্রশাসনের সিনিয়র কর্মকর্তারা মেলা পরিদর্শন করেন। এর পর স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে শুরু হয় জুয়ার আসর ও মাদকের হাট।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা পর হইতে ভোররাত পর্যন্ত সরজমিনে মেলা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র, মাছের মেলা নয়, এ যেন জুয়া ও মাদকের জমজমাট হাট। স্বার্থনেশী মহলের নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে পথভ্রষ্ট করা হচ্ছে মেলায় আসার যুবক সহ তরুণরা।

মরজমিনে আরো জানা যায়, প্রতি বছর পৌষ-সংক্রান্তি ও নবান্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। গেল দুই বছর করোনাভাইরাস ও ওমিক্রন সংক্রমণ ঝুঁকির কারণে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকায় এই মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়নি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় এবছর ঐতিহ্যবাহী এই মেলার আয়োজন করা হয়েছে। আর এ সুযোগে মেলার নামে কিছু অসাধু লোক গভীর রাত থেকে চলছে জুয়া।
সংশ্লিষ্ট সূত্রমতে, স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই কর্মযজ্ঞ চলছে। টানা তিন দিন মেলায় সাথে চলবে এসব জমজমাট আসর। এসব আসর থেকে হাতিয়ে নেতা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি টাকা। তবে বিষয়টি নিয়ে মেলা আয়োজক কমিটির কারো কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি। সরজমিনে আয়োজক কমিঠির অনেকে প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয়ে গেছে বলে বলাবলি করছেন। কমিঠির এমন বলাবলিতে জুয়া- ওয়ান টেন বোর্ড মালিকরা মাঠে ওপেনভাবে চালিয়ে যেথে দেখা যায়। সাধারন মানুষের প্রশ্ন কেন কিভাবে প্রশাসনের নির্দেশাবলীকে বৃদ্দিঙ্গলি দেখিয়ে চালাচ্ছেন জুয়ার মতো ব্যবসা। প্রশাসন কেন ভুমিকা নিচ্ছেনা আর রহস্য কি জানতে চায়।
মৌলভীবাজার সদর থানার ওসি মো. ইয়াছিনুল হক বলেন, আমি ছুটিতে ছিলাম। বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মো: শফিক উদ্দিন এর সাথে রাত ১২টার দিকে আলাপকালে তিনি বলেন আমাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে । যদি মেলা কমিঠি শর্ত ভঙ্গ করে তাহলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মীর নাহিদ আহসান বলেন, আমরা দুপুরে বিষয়টি জানার পর অভিযান চালিয়েছি। এখন আমাদের কর্মকর্তারা মেলায় অবস্থান করছেন।
ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলার সুনাম ও খ্যাতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার জোর দাবী জানিয়েছেন স্থানীয় ও মেলায় আগতরা।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..