সোমবার, ২৭ মার্চ ২০২৩, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : গত দুই বছরে বিশ্বে মোট যেসব সম্পদ অর্জিত হয়েছে তার দুই-তৃতীয়াংশের মালিক হয়েছেন মাত্র এক ভাগ মানুষ। বাকি ৯৯ ভাগ মানুষের হাতে এসেছে এক ভাগের অর্ধেক সম্পদ।যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা অক্সফাম ‘সারভাইভাল অব দ্য রিচেস্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সোমবার সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভায় প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়।অক্সফাম বলছে, ২০২০ সাল থেকে নতুন ৪২ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ গেছে বিশ্বের মাত্র এক শতাংশ মানুষের হাতে। বিশ্বে ১ দশমিক ৭ বিলিয়ন কর্মী মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা যে দেশগুলোতে বসবাস করছেন সেখানে বেতনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে চলেছে।সংস্থাটি জানিয়েছে, বিলিয়নিয়ারদের সম্পদ প্রতিদিন দুই দশমিক সাত বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিলিয়নিয়ারদের অর্ধেক এমন দেশগুলোতে বাস করেন যেখানে উত্তরাধিকার সূত্রে সম্পদের মালিক হতে কোনো ট্যাক্স দিতে হয় না।অক্সফাম বলছে, মিলিয়নিয়ার ও বিলিয়নিয়াররা পাঁচ শতাংশ হারে ট্যাক্স দিলে তার পরিমাণ দাঁড়াবে বছরে এক দশমিক সাত ট্রিলিয়ন ডলার। এই অর্থ দুই বিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করতে পারে।অক্সফাম বলছে, ভারতের মোট সম্পদের ৪০ ভাগ রয়েছে মাত্র এক ভাগ ধনীর হাতে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের মাত্র ১০ জন ধনী ব্যক্তির ওপর যদি ৫ শতাংশ কর আরোপ করা হয়, সেই টাকাতেই আগামী তিন বছর শিশুদের শিক্ষার ব্যায়ভার উঠে আসবে।প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের ধনকুবেররা যদি তাদের সম্পূর্ণ সম্পদের উপর একবার মাত্র ২% কর দেন তবে আগামী তিন বছরের জন্য ভারতে অপুষ্টির শিকার মানুষের পুষ্টির জন্য ৪০,৪২৩ কোটি টাকার প্রয়োজন মেটাবে। ২০২২ সালে ভারতে বিলিয়নেয়ারের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৬৬, যেখানে ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ১০২।উপার্জনের পরিপ্রেক্ষিতে লিঙ্গ বৈষম্যেকেও প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে। তফসিলি জাতি এবং গ্রামীণ কর্মীদের মধ্যে পুরুষ-মহিলাদের আয়ের পার্থক্য অনেকটাই বেশি । অক্সফ্যাম আরও বলেছে যে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ২০২২ সালের নভেম্বর পর্যন্ত ভারতে ধনকুবেরদের সম্পদ প্রকৃত অর্থে ১২১ শতাংশ বা প্রতিদিন ৩৬০৮ কোটি টাকা বেড়েছে।