1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:৩৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের গতি থাকবে ঘণ্টায় ১৬৫ কিলোমিটার

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৩ মে, ২০২১
  • ৩১১ বার পঠিত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হয়ে আগামী ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার উপকূলীয় এলাকায় আছড়ে পড়তে পারে। শনিবার (২২ মে) ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর (আইএমডি) থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

আইএমডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ইয়াস নামক এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৫৫ থেকে ১৬৫ কিলোমিটার। সঙ্গে থাকবে ভারী বৃষ্টিপাত।

তারা আরও বলেন, শনিবার সকালেই পূর্ব মধ্যে বঙ্গোপসাগরের উপরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। আগামীকালের মধ্যেই তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এর পর উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে সেটি ২৪ তারিখ ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে।

পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। তার পর আরও উত্তর এবং উত্তর পশ্চিম দিকে সরে ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ২৬ মে সকালে পশ্চিমবঙ্গ, বাংলাদেশ এবং ওড়িশা উপকূলের কাছে পৌঁছাবে ইয়াস।

তবে ওই দিন বিকেলেই পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তর ওড়িশা ও বাংলাদেশ উপুকূল পেরিয়ে যাবে এই অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়। আবহবিদরা জানিয়েছেন, ক্রমশ ওড়িশা উপকূল থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের মুখ সরে যাচ্ছে। ফলে, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলের দিঘা থেকে সুন্দরবনের মধ্যেই তা আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি।

শনিবার ভারতের কেন্দ্রীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা কমিটি ঝড়ের আগমণের প্রেক্ষিতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত গ্রহণে একটি বৈঠক ডেকেছিল। বৈঠকে ঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো হলো—

ঝড়ের পর পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায় উদ্ধারকাজ চালানোর জন্য সামরিক, আধাসামরিক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে মোট ৮৫ টি উদ্ধারকারী দল গঠন করা হবে। এছাড়া স্থানীয় কর্তৃপক্ষদের উপদ্রুতদের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্য, খাবার পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের মজুত রাখার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি।

পাশাপাশি এই দুর্যোগে যেন কোনওভাবেই অক্সিজেন সাপ্লাই বন্ধ না হয়, সে বিষয়েও জোর দেওয়া হয়েছে। করোনা রোগীরা যেন বিপদে না পড়েন সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। করোনায় আক্রান্তরা ভর্তি আছেন এমন হাসপাতাল ছাড়াও জরুরি ভিত্তিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তৈরি রাখতে বলা হয়েছে।

ইতোমধ্যে বঙ্গোপসাগর থেকে মৎসজীবীদের সরিয়ে আনা প্রায় শেষ করে এনেছে পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশা কর্তৃপক্ষ। ঝড় আসার আগে উপকূলবর্তী মানুষদেরও নিরাপদ জায়গায় বা আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

শনিবারের বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, অন্ধ্র, আন্দামান নিকোবর ও পদুচেরির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘুর্ণিঝড়ের সময় বিদ্যুৎ ও টেলিকম ব্যবস্থা ভেঙে পড়তে পারে। তাই আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রাখতে বলা হয়েছে। রেল বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে ওই সময়।

উল্লেখ্য, গত বছর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এ ঝড়ের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৮৫ থেকে ২০০ কিলোমিটার।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..