1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:০৮ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

মৌলভীবাজারে প্রকাশ্যে হাজার হাজার মূল্যবান গাছ কর্তনে প্রভাবশালী সিন্ডিকেট চক্র: ৮৫ কি: মি: বাঁধের কাজে প্রতিবন্ধকতা

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ১২১৮ বার পঠিত

  বিশেষ প্রতিবেদক:মৌলভীবাজার মনু নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে প্রকাশ্যে চলছে হাজার হাজার মূল্যবান গাছ কর্তনের হিড়িক। সরজমিনে এমন চিত্র ধারন করতে গিয়ে দেখা যায় প্রকাশ্য দিবা/রাত্রে গাছ কাটার এমন দৃশ্য। পানি উন্নয়ন বোর্ড গাছ রোপন করা ভূমি তাদের অধিগ্রহনকৃত নয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছে আর বন বিভাগ বলছে গাছ কাটার অনুমতির জন্য কেহ আবেদন করেনি। সেই সাথে ব্যবস্থা গ্রহনে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা অভিযোগ উঠেছে।

ভারতের ত্রিপুরার পাহাড়ি উৎপত্তি স্থল থেকে মনু নদী কুলাউড়ার শরীফপুর ইউনিয়ন দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। কুলাউড়া, রাজনগর ও মৌলভীবাজার সদরের প্রায় ৮৫কি:মি: পাড়ি দিয়ে কুশিয়ারা নদীর মিলিত হয়। নদী পাড়ের বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাগবো করতে ২০২০সালের ২১জুন জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ৯শত ৯৯কোটি টাকার অনুমোধন ও হয়। ভাঙ্গন রোধে প্রকল্পের আওতায় বাঁধ পুনরাকৃতি করন কাজ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন স্থানে ৮টি ঠিকাদারী প্রতিষ্টানের গাছ অপসারনের জন্য ২৭নভেম্বর ২২ইং পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিভাগীয় বন কর্মকর্তাকে চিঠি দেওয়ার পরও বন বিভাগ কোন উদ্দ্যোগ নিচ্ছেন না। আর এই সুযোগকে কাজে লাগাতে প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় প্রকাশ্য প্রায় ৮৫কি:মি: বাঁধের মূল্যবান আকাশি,বেলজিয়াম,শিল কড়ই,মেহগনি,সেগুনসহ কোটি কোটি টাকার মূল্যবান গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে।

 

অথচ সরকারের বন আইনে নীতিমালা রয়েছে গাছ কাটার অনুমতি বাধ্যতামুলক হলেও গাছ কর্তনের আবেদন করেনি কেহ। ফলে অবৈধ ভাবে গাছ কাটার প্রবনতা বেড়েই চলেছে। এমন চিত্র ধারন করতে গিয়ে করতে গিয়ে গাছ কর্তনকারীরা গত কয়েক দিনে রবিবার বিকেলে পালিয়ে যায়।

 

পরবর্তীতে স্থানীয় প্রশাসন ও বনবিভাগকে অবগত করলে ঘটনাস্থলে এসে বন বিভাগের লোকজন ১৫/২০টি গাছ জব্দ করলে রাতের আধারে সেগুলো ও উদাও হয়ে যায়। সোমবার মঙ্গলবার বার্ধের দীর্ঘ পথে সরজমিনে গেলে দেখা যায় বৃক্ষশুন্য। কদিন আগেও যেখানে ছিল সবুজ গাছ গাছালীর ঝনঝনানী। এখন নির্বিচারে প্রকাশ্যই চলছে গাছ কাটার মহোউৎসব।

বন বিভাগের অনুমতি না পাওয়ার কারনে ঠিকাদারী প্রতিষ্টানও কাজের অগ্রগতি করতে পারছে না বলে প্রকল্পের কতেক নাম প্রকাশ না করার শর্তে মোবাইল ফোনে বলে জানান। বর্তমান চলমান কাজ যে গতিতে চলছে তাতে কাজের বাস্তবায়নে অসম্ভব হয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে সরজমিনে গেছে স্থানীয় একাদিকরা বলেন- স¤প্রতি প্রকাশ্য দিনে ও রাতের আধারে গাছ কাটা হচ্ছে কিন্তুু বন বিভাগ কেন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা। যারা গাছ কাটছে তারা কি এতোই প্রভাবশালী ও আইনের উর্ধে। কেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।


এনিয়ে স্থানীয় সচেতন সমাজের একাদিকরা বলেন- বন আইনে স্পষ্ট উদ্যেগ রয়েছে যে কেহ গাছ র্কন করতে চাইলে বাধ্যতামুলক বন বিভাগ থেকে অনুমুতি নিতে হবে। তাছাড়া পরিবেশের বিপর্যয় ও আইনে বাধা নিষেধ রয়েছে। তার পর কিভাবে গাঝ কাটা হচ্ছে আর কেনই বার এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছেনা কর্তৃপক্ষ।
এবিষয়ে স্থানীয় আইনজীবি সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম বলেন- সরকারের বন অইনের ধারা মোতাবেক গাছ কর্তনে বাধা নিষেধ ও জেল জমিানার বিধান রয়েছে। যারাই এই অপরাধে জড়িত থাকবেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্থি হোক।


এনিয়ে আকবর আলী, (অশনড়ৎ ধষর) চেয়ারম্যান, ইউ আই জেবি, ঠিকাদারী প্রতিষ্টান বলেন- ঠিকাদারী ক্যামেরার সামনে কথা বলতে নারাজ। তবে ঠিকাদারী প্রতিষ্টান ইউ আই জেবি এ চেয়ারম্যান বলেন আমার নাম ভাঙ্গিয়ে কেহ গাছ কর্তন করলে সেটা আমি জানিনা। ২৪-০১-২০২৩ ইং তারিখে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাধের উপড় গাছ অপসারনের জন্য লিখিত দিয়েছে। তবে গাছ কর্তন না করায় কাজে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে।


অবাদে গাছ কাটা নিয়ে আ স ম সালেহ সোহেল, (ধ ং স ংধষধ ংযঁযধষ) পরিবেশবাদী ও সদস্য, বাপা জাতীয় কমিটি বলেন- গাছ কাটা পরিবেশ বিপর্যয়ের অন্যতম কারন। তাছাড়া সরকার বন আইনের অনুমুতি ছাড়া কাটা দন্ডনীয় অপরাধ থাকলেও কিভাবে হাজার হাজার কাটছে প্রবাবশারীরা। আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে যারা প্রকাশ্য দিবালোকে কাঠছেন ততাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবী জানাই।

এনিয়ে সরজমিনে চাম্পারাল রায়, (পড়সঢ়ধষধষ ৎধু) বিট কর্মকতা, বন বিভাগ, মৌলভীবাজার রেঞ্জ বলেন- কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান গাছ কাাটতে হলে অবশ্যই বন আইন অনুযায়ী অনুমতি বাধ্যতামুলক হলেও বাধের উপড় গাছ কর্তনের আবেদন কেহ করেনি। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সরজমিনে দেখে জব্ধ করি এবং সেগুলো আমাদেও অফিসে নিয়ে যাবো। যারা গাছ কেটেছে তাদেও বিরুদ্ধে উর্ধতন কতৃপক্ষকে অবগত কওে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। অপর এক প্রশ্ন গত রবিবার জব্ধ করা হলে ঐদিন রাতেই কাটা গাছগুলো কে বা কারা নিয়ে গেছে এবং গাছ কাটা চলছে প্রশ্বের জবাবে তিনি বলেন- আমাদের উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনিয়ে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী,মো: জাবেদ ইকবাল (সফ. লধনধফ রয়নধষ) এর সাথে আলাপকালে তিনি বলেন- নদীর দুই পাড়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বাঁেধর ভুমি অধিগ্রহন (মালিকানা) না থাকায় গাছ কর্তনকারীদের বিরুদ্ধে কিছুকরা সম্বব হচ্ছেনা। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে আমাদের মনু নদীর বাধে গাছ মালিকদের বন বিভাগ থেকে গাছ কাটার অনুমতি নিয়ে কর্তন করার জন্য বলেছি। তাছাড়া আমরা ইতিপুর্বে সিলেট বনবিভাগকে একটি দিিেয়ছি গাছ অপসারনের জন্য। বিভিন্ন স্থানে বাধের উপড় থেকে সরকারের আইন অনুযায়ী বন বিভাগের অনুমতি না নিয়েই গাছ কর্তন হচেছ। অপরদিকে বন বিভাগ গাছ অপসারন না করায ঠিকাাদারী প্রতিষ্টান কাজ করতে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। আশা রাখি বন বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবে যত দ্রুত সম্বব।
সরকারের বন আইনকে বৃঙ্গাঙ্গলি দেখিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই গাছ কর্তন কারীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে এগ্রিয়ে আসবে সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষ এমনটাই প্রত্যাশা সচেতন মহলের।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..