মঙ্গলবার, ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:৪৮ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট :: ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সফরকে ঘিরে প্রতিবাদে নেমে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন ইসলামি দলগুলোর নেতাকর্মীরা। শুক্রবার (২৬ মার্চ) জুম্মার নামাজের পর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর পর সন্ধ্যায় রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার সড়ক অবরোধ করে রাখে যাত্রাবাড়ীর কুতুবখালী মাদরাসার শিক্ষার্থীরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ যাত্রাবাড়ীর আশপাশের এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ অবস্থায় রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবির পরিচালক (অপারেশন) লে. কর্নেল ফয়জুর রহমান জানান, রাজধানীসহ সারাদেশে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ মার্চ) সারাদেশে বিক্ষোভ এবং রবিবার (২৮ মার্চ) সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমীর মোহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরীর পক্ষে সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুফতি হারুন ইজাহার এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
এর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে দুপুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় বায়তুল মোকাররম এলাকা।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ শেষে ইসলামি দলগুলো বিক্ষোভ মিছিল বের করার চেষ্টা করায় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়। এরপর দেশের বিভিন্ন জেলায় ব্যাপক সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।