শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন
হাসান আল মাহমুদ রাজু: কুলাউড়া উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিায়নের বিভিন্ন গ্রামে গরু চুরির প্রভাব পড়েছে বলে জানা যায়। গত ২৯ জানুয়ারি রবিবার পৃথিমপাশা গ্রামের মো. ইমানউদ্দিন এর বাড়ি থেকে রাতে গরুর গোয়ালা থেকে ৫টি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। গরুর মালিক ইমানউদ্দিন বলেন, রাতের আধারে বাড়ি থেকে আমার শখের ৫টি দেশী জাতের গরু চুরি করে নিয়ে যায়,যার বাজারমূল্য প্রায় ৩ লক্ষ টাকা। চারিদিকে গরুর সন্ধান চালিয়ে যাওয়ার পরও গরুর কোনো খোঁজ না পাওয়ায়এ বিষয় নিয়ে আমি থানায় একটি জিডি করব।
তাছাড়া গত ২১ জানুয়ারি একই ইউনিয়নের ইটাহরি গ্রামের মো. জিলন আহমদের বাড়ি থেকে রাতে শাহিওয়াল জাতের একটি গরু চোরেরা চুরি করে নিয়ে যায়। যার বাজারমূল্য এক লক্ষ টাকার অধিক। গরুর মালিক জানান, সকালে ঘুম থেকে তিনিদেখতে পান যেগোয়ালায় দুটি গরুর মধ্যে একটি গরু উধাও এবং আরেকটি গরুর লেজ কাটা। চোরেরা একটি গরু নিতে গিয়ে আরেকটি গরুর লেজ কেটে পালিয়ে যায়। এ বিষয় নিয়ে আমি থানায় একটি জিডি করেছি।
একই রাতে সদপাশা গ্রামের নাসির উদ্দিন চৌধুরী রাজুর বাড়ি থেকে গরুর গোয়ালা থেকে রাতের আধারে তালা ভেঙে জিঞ্জির কেটে গরু চুরি করার উদ্দেশ্যে চোরেরা ঢুকে পড়ে তাৎক্ষণিক গরুর ডাকে চোররা গরু না নিয়ে পালিয়ে যায়। রাজু জানান, সকালে ঘুম থেকে ওঠে দেখি গোয়ালার দরজা খোলা ও তালা ভাঙা। পরে আমি এ বিষয়টি থানায় অবগত করেছি।
গত ২৩ জানুয়ারি শালিকা গ্রামের ঝন্টু দেব জানান, তার বাড়ি থেকে রাতের আধারে গরুর গোয়ালা থেকে ফিজিয়ান জাতের একটি গরু চুরি হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এ বিষয়ে তিনি থানায় অবগত করেছি।
গরু মালিকরা প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানান যে, দ্রæত এই গরু চোরদের ধরে আইনের আওতায় আনারজন্যযাতে আর কেউ গরু চুরির স্বীকার না হয়।
এ বিষয় নিয়ে পৃথিমপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম জিমিউর রহমান চৌধুরী বলেন, গরু চুরির বিষয় নিয়ে আমরা অবগত রয়েছি। উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির মিটিংয়ে এ ব্যাপারে আলোচনা করবোযাতে আমাদের এলাকায় পুলিশি টহল আরো বাড়ানো হয় এবং গ্রামের সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহŸান জানাই।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুছ ছালেক এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. মাহমুদুর রহমান খোন্দকার বলেন, মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় এ ব্যাপারে অবিহত করা হবে যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকান্ড যেন না ঘটে পুলিশকে এ ব্যাপারে যথাযথ নিদের্শনা দেয়া হবে এবং পৃথিমপাশা এলাকায় পুলিশের টহল বৃদ্ধি করার ব্যাপারে তাগিদ দেয়া হবে এবং সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত না হয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন।