1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ০৪:০১ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

কলেজ ছাত্র সুহেল হত্যার ১০বছর পূর্তি: দ্রæত খুনির ফাঁসি দেখে যেতে চান মা বাবা

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২২১ বার পঠিত

সিলেট প্রতিনিধি: সিলেট মদন মোহন সরকারি কলেজের অনার্স (রাষ্ট্রবিজ্ঞান) এর পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্টের অপেক্ষায় ছিলেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম পশ্চিম পাড়ার আব্দুল কাইয়ুম আনা মিয়ার পুত্র নূরুল আমিন সুহেল (সুহেল আমিন) পরীক্ষার ফলাফলে তিনি দ্বিতীয় বিভাগে উত্তীর্ণও হয়েছেন।

কিন্তু ঘাতক রফিক বকস এর ধারালো অস্ত্রাঘাতে জীবন প্রদীপ নিভে যায় এই সম্ভাবনাময় তরুনের। ২০১৩ সালের ২৭ জানুয়ারী তুচ্ছ ঘটনায় কথাকাটাকাটির জের ধরে রাত ৮টায় পশ্চিম পাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদ থেকে এশার নামাজ শেষে বাড়ী ফেরার পথে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা ঘাতক রফিক বকস ধারালো অস্ত্র নিয়ে সুহেলের উপর ঝাপিয়ে পড়ে। এ সময় উপর্যপুরি ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে।

এ সময় শোরচিৎকার শুনে লোকজন ছুটে আসলে রফিক ও তার স্ত্রী সাথী বেগম পালিয়ে যায়। এ সময় প্রচুর রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তাসহ মোগলা বাজার থানা পুলিশ উপস্থিত হয়ে পুলিশ ক্যাম্প বসিয়ে ঘটনাস্থলে মামলা গ্রহণ করে।

নিহতের বাবা আব্দুল কাইয়ুম আনা মিয়া বাদী হয়ে সিলাম টিলা পাড়া গ্রামের মৃত তছির বক্স এর পুত্র রফিক বকস ও তার স্ত্রী সাথী বেগমকে আসামী করে মোগলা বাজার থানায় ২৭ জানুয়ারি ২০১৩ সালে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৪। দীর্ঘ শুনানীর পর গত ১০ এপ্রিল ২০২২ সিলেটের অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুমিনুন নেসা মামলার আসামী রফিক বকসকে পেনাল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যু নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেন। তার স্ত্রী সাথী বেগমকে মামলা থেকে বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

গত ২৭ জানুয়ারি নূরুল আমিন সুহেল (সুহেল আমিন) এর নিহতের ১০ বছর অতিবাহিত হয়েছে। তার পিতা মাতা পুত্র শোকে এখনো দিশেহারা। মা হত্যা কান্ডের স্থান দেখলে ছেলের রক্তমাখা দেহের স্মৃতি ভেসে উঠলে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তার নিজ বাড়িতে অবস্থান না করে অন্যত্র বাড়ি করে বসবাস করেন। তাদের প্রত্যাশা মৃত্যুর আগে সুহেল হত্যাকারীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যু দন্ডের রায় কার্যকর দেখে যেতে চান।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..