শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১২:০০ অপরাহ্ন
উপজেলার বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা নদীগুলো দিয়ে একসময় বিভিন্ন স্থান থেকে পন্য সামগ্রী আমদানি রফতানি করা হতো। বর্ষা কালে মাত্র কয়েকদিন আগেও কিছু শেলো মেশিন চালিত নৌকা চলাচল দেখা গেলেও এখন দেখা যাচ্ছে উল্টো চিত্র। বর্তমানে নদীসমূহের বুকে ধু ধু বালু চরে পরিণত হওয়ায় নেই আগের মতো জলরাশি। অপরদিকে নদীগুলোর নেই তার তর্জন গর্জন। দখল দূষণ, আর নাব্যতা হারিয়ে নদীসমূহ বিলিনের পথে উপজেলার কৈমারী ইউনিয়নের বড়ঘাট, শৌলমারী, ডাউয়াবাড়ী, বালাগ্রাম, গোলমুন্ডা, শিমুলবাড়ী, খটামারা ইউনিয়নসহ বিস্তৃর্ণ এলাকাজুড়ে থাকা নদীগুলো প্রভাবশালীদের দখল আর খননের অভাবে মরা নদীগুলো পরিণত হয়েছে বালুচরে। ফলে কৃষিনির্ভর এলাকা হিসেবে বিপাকে পড়েছেন কৃষক।
বর্ষাকালে বন্যার পানি আটকে থাকায দুর্বিসহ জীবনযাপন করেন নদীপাড়ের মানুষজন। বর্তমান সেচ মৌসুমে নদীতে পানি না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় কৃষকদের। গাবরোল গ্রামের কৃষক সুবহান মিয়া জানান, বুল্লাই নদী থেকে পানি দিয়ে আগে ফসল ফলাতাম কিন্তু নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাওয়ায় সেই ব্যবস্থা এখন আর নেই।
শিক্ষক আবুল কালাম জানান, নদীগুলোকে বাঁচাতে হলে নদীর সীমানা নির্ধারণ ও খনন করা জরুরি।
উপজেলায় বুল্লাই, চারালকাটা যমুনেশ্বরী, ধামজাই, চিকলি, ইছামতসহ অন্তত ১০টি নদী রয়েছে। আর পানি শুন্য এই নদীগুলোর বুকে এখন কৃষকেরা দখল করে ধানের চারা রোপণ, সহ বিভিন্ন কৃষিপণ্য চাষাবাদ করছেন। ফলে নদীসমূহ নাব্যতা হারিয়ে পরিনত হয়েছে ফসলের জমি।
আরও এ নদীগুলোয় অনেকে ঘের দিয়ে পানি আটকে মাছ চাষ করেন। গত কিছুদিন ধরে সরেজমিন ঘুরে প্রায় সব নদীর একই চিত্র দেখা গেছে। এতে একদিকে যেমন ফসলে সেচের অভাব দেখা দিয়েছে, অন্যদিকে বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় মাছ।
কৈমারী ইউপি চেয়ারম্যান সাদেকুল সিদ্দিক সাদেক বলেন ভরাট হয়ে যাওয়া নদীসমূহ খনন করা হলে এ এলাকার কৃষকরা অনেক উপকৃত হতো। তাই নদী সমুহ পুনঃ খনন করার দাবী জানান।
উপজেহলা নির্বাহী অফিসার মইনুল ইসলাম জানান, উপজেলার নদীসমূহ খননের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, আশা করছি খনন করা সম্ভব হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের ডালিয়া বিভাগীয় প্রকৌশলী বলেন, সারাদেশের মতো এ জেলার নদীসমূহ একসঙ্গে খননের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে।