শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ১১:১৭ পূর্বাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট : চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে উড়িয়ে দিয়ে চলতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো রংপুর রাইডার্স। আজ বুধবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে চট্টগ্রামকে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়ে রংপুর। আসরে এটি রংপুরের টানা ষষ্ঠ জয়। এ জয়ে কোয়ালিফায়ারে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত হয়ে গেল সোহানদের।
লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসকে হারাতে পারলেই প্লে-অফের কোয়ালিফায়ারে খেলবে রংপুর।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে তোলে ১৩২ রান। সেই রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভার আর ৭ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় রংপুর। ১১ ম্যাচ শেষে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রংপুর এখন আছেন দুইয়ে। এদিকে শেষ ম্যাচও হেরে যাওয়ায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে আসর শেষ করলো চট্টগ্রাম।
লক্ষ্য তাড়ায় নেমে রংপুর পায় উড়ন্ত সূচনা। দলকে শুভসূচনা এনে দেন দুই ওপেনার নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার। ৩৮ রানে ভাঙে এ জুটি। ১২ বলে ২০ রান করে ফেরেন নাঈম। এরপর বিদায় নেন রনিও। তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। এরপর রংপুরের হয়ে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা রহমানুল্লাহ গুরবাজ মিরপুরে তোলেন ঝড়। তাতেই সহজ জয়ের পথে এগোতে থাকে রংপুর।
গুরবাজ যদিও ম্যাচ শেষে করে মাঠ ছাড়তে পারেননি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩০ বলে ৪৬ রান করেন এই আফগান ক্রিকেটার। তিনি ফেরার পর নুরুল হাসান সোহান এবং টম কোহলার-ক্যাডমোর ম্যাচ শেষ করে মাঠ ছাড়েন। ১৩ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রংপুর অধিনায়ক সোহান। ১৫ বলে ২০ রান আসে কোহলারের ব্যাট থেকে। চট্টগ্রামের হয়ে ২ উইকেট নেন নিহাদুজ্জামান। অপর উইকেট গেছে জিয়াউর রহমানের পকেটে।
এর আগে আসরে নিজেদের নিজেদের শেষ ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে পড়ে চট্টগ্রাম। তবে চোটের কারণে শুভাগত হোমের জায়গায় অধিনায়ক হিসেবে টস করতে নামা জিয়াউর রহমানের নেওয়া সিদ্ধান্ত বুমেরাং হয়ে আসে। দলীয় ১৭ রানেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে বসে চট্টগ্রাম। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে দলটি। তবে তৌফিক খান ও জিয়াউর রহমানের কল্যাণেই শেষ পর্যন্ত সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছায় চট্টগ্রাম।
ওপেনার ম্যাক্স ওডাউড সবার আগে ফেরেন ১১ রান করে। উসমান খানের ব্যাট থেকে আসে ২ রান। মেহেদী মারুফ আবারও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৪ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি আফিফ হোসেনও। ১৫ রান আসে এই বাঁহাতি ব্যাটাররের ব্যাট থেকে। এরপর ৩ রান করে কার্টিস ক্যাম্ফার ফেরার পর তৌফিক-জিয়া ধরেন দলের হাল।
তৌফিক আউট হওয়ার আগে করেন ২৬ বলে ২৮ রান। আগের ম্যাচে চট্টগ্রামের জয়ের নায়ক জিয়া এ ম্যাচেও ব্যাট হাতে শেষের দিকে রানে গতি আনেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৫ বলে ৩৩ রান করেন তিনি। শেষদিকে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর ১৭ এবং বিজয়কান্ত বিয়াসকান্তের ১১ রানে ১৩২ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম।