1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

আহলিকে উড়িয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ

  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩৮ বার পঠিত

ডেস্ক রিপোর্ট : আগেরদিন অঘটন ঘটিয়েছিলো সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল। লাতিন চ্যাম্পিয়নি, ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোকে হারিয়ে দিয়ে উঠে গেছে ফাইনালে। তবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে আর অঘটন ঘটাতে পারেনি মিসরীয় ক্লাব আল আহলি। ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদের কাছে স্রেফ উড়ে গেছে তারা। ৪-১ গোলের বিশাল জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ।
আল আহলির বিপক্ষে একাদশে কয়েকজন মূল খেলোয়াড়কে রাখতে পারেননি রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। করিম বেনজেমা, গোলরক্ষক থিবো কুর্তোয়া ছিলেন না ইনজুরির কারণে। তবুও, রাবাতের প্রিন্স মৌলায়ে আবদুল্লাহ স্টেডিয়াম হয়ে উঠেছিলো যেন রিয়ালের হোম ভেন্যু। গ্যালারিপূর্ণ দর্শক পুরোপুরিই রিয়াল মাদ্রিদের সমর্থকে পরিণত হয়েছিলো।
মরক্কোর রাজধানী রাবাতে যেন এদিন রিয়াল মাদ্রিদ জার্সির আকাল পড়েছিলো। প্রচুর জার্সি বিক্রি হতে দেখা যায়। খেলার সময় স্টেডিয়ামেও দেখা গেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াশ মাদ্রিদের বিশাল এক ব্যানার প্রদর্শন করতে। এমন এক অসাধারণ পরিবেশ তৈরি করেছিলো দর্শকরা, যা ক্লাব বিশ্বকাপে খুবই বিরল ঘটনা।
শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে আসছিলো রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু আল আহলির গোলের তালাই খুলতে পারছিলো না যেন রিয়াল মাদ্রিদ। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে রিয়ালের নাভিঃশ্বাস তুলে দিচ্ছিলো তারা। ২৮ মিনিটেই গোল পেতে পারতো ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এর একটুর পর রদ্রিগোর শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।
অবশেষে ভিনিসিয়ুস জুনিয়রের অসাধারণ গোলে মিশরীয় ক্লাবটির প্রতিরোধ ভেঙে দেয় লজ ব্লাঙ্কোজরা। আল আহলির আলিউ দিয়েঙ একটি দুর্বল পাস দেন মাহমুদ মিতওয়ালিকে। যেখানে ছিলেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। বলটি সহজেই নিয়ন্ত্রনে নেন তিনি। এরপরই গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে বলটি তিনি পাঠিয়ে দেন আল আহলির জালে। রিয়ালের হয়ে ২০২ ম্যাচে ৫০ তম গোল করলেন এই ব্রাজিলিয়ান।
দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পরপরই রিয়ালের হয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ফেডে ভালভার্দে। রদ্রিগোর পয়েন্ট ব্লাঙ্ক স্ট্রাইককে অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন আল আহলির গোলরক্ষক। কিন্তু ফিরতি বলটিই একেবারে ফাঁকা জালে পেয়ে যান ভালভার্দে। ভুল করার প্রশ্নই আসে না। সুতরাং, ব্যবধান হয়ে গেলো ২-০।
এরপর আরও দুটি অসাধারণ সুযোগ মিস করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এগুলো কাজে লাগলে ব্যবধানটা আরো বাড়তে পারতো। উল্টো আল আহলি লাইফলাইন পেয়ে যায় ৬৫তম মিনিটে। এ সময় বক্সের মধ্যে আল আহলির হুসেইন এল সাহাতকে ফেলে দেন এডুয়ার্ডো কামাভিঙ্গা। রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। স্পট কিককে রিয়ালের জালে জড়ান আলি মালোউল।
এই গোলের কিছুক্ষণ পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পেয়েছিলো আল আহলি। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি তারা। নির্ধারিত সময় ৯০ মিনিট শেষ হওয়ার ৩ মিনিট আগে পেনাল্টি পেয়েছিলো রিয়াল। কিন্তু লুকা মদ্রিচ সেই পেনাল্টি মিস করেন।
কিন্তু ইনজুরি সময়ে গিয়ে আবারও জ্বলে ওঠে রিয়াল। এবার গোল করে তারা ২টি। ব্রাজিলিয়ান তারকা রদ্রিগো গোল করেন ৯০+২ মিনিটে। এরপর ৬ মিনিট পর, ৯০+৮ মিনিটে চতুর্থ গোলটি করেন সার্জিও আরিবাস।
দ্বিতীয় গোল করার পর রিয়াল মাদ্রিদ বলতে গেলে খেলাটাই ছেড়ে দিয়েছিলো। যে সময়টায় তারা একটি গোল হজম করাই নয় শুধু, বিপদেও পড়তে যাচ্ছিলো। শেষ পর্যন্ত খেলায় ফিরে আসে। এ নিয়ে কোচ কার্লো আনচেলত্তি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম ২-০ তেই খেলা শেষ। কিন্তু এটাই আসলে ফুটবল নয়। আমাদের আরও উচিৎ ছিলো ভালো করার। আমাদের রিদম কমে গিয়েছিলো। খেলার নিয়ন্ত্রণও হারিয়েছিলাম। আমরা হয়তো ভেবেছি, ম্যাচ তো জিতেই গেছি। কিন্তু বিষয়টা তো এমন নয়। আমাদের আরও ভালো খেলা উচিৎ একেবারে শেষ পর্যন্ত।’

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..