1. newsmkp@gmail.com : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. info@fxdailyinfo.com : admi2017 :
  3. admin@mkantho.com : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৮:১২ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
১৭ মার্চ ওড়াতে হবে জাতীয় পতাকা, প্রজ্ঞাপন জারি, পাহাড়ে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : আইজিপি, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট দিয়ে রোগী হয়রানি করবেন না : রাষ্ট্রপতি, সবচেয়ে বড় যৌথ সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া, পরিবেশ সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে গণমাধ্যম-পরিবেশমন্ত্রী,সাবেক এমপি নাসের রহমানের ওপর ছাত্রলীগ-যুবলীগের হামলার প্রতিবাদে পুলিশের বাধা পেরিয়ে মৌলভীবাজারে বিএনপি’র বিক্ষোভ ও সমাবেশ, রমজানে মানুষের কষ্ট লাঘবে ব্যবস্থা নিয়েছি : প্রধানমন্ত্রী, রমজানে বাজার অস্বাভাবিক হলে ডিসিদের ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ, গুলিস্তান-সায়েন্সল্যাবের বিস্ফোরণে জঙ্গি সংশ্লিষ্টতা নেই : আইজিপি.সপ্তাহে তিন দিন ছুটির কথা ভাবছে সৌদি সরকার. মিয়ানমারে বৌদ্ধ মঠে সেনাবাহিনীর হামলা : নিহত ৩

শাবান মাসের ইবাদত

  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৫০ বার পঠিত

: মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান:
‘শাবান’ হিজরি ক্যালেন্ডারে বছরের অষ্টম মাস। এর পরের মাসই পবিত্র ‘মাহে রমজান’। শাবান এলেই চারদিকে ইবাদতের সুবাতাস বইতে শুরু করে। মুমিন হৃদয় জেগে ওঠে। নিজেদেরকে প্রভুপ্রেমে বিলিয়ে দেন বিনীদ্র রজনীতে। ইবাদত-বন্দেগিতে কাটান দিনের বেশিরভাগ সময়। আসছে রমজানের প্রাক প্রস্তুতি হিসেবে মানসিকভাবে গড়ে তোলার অপূর্ব সুযোগ শাবান মাস। রাসুল (সা.) এ মাসকে বিশেষ গুরুত্ব দিতেন। কামনা করতেন রজব-শাবানের বরকত পেয়ে পবিত্র রমজানের ফজিলতে ধন্য হতে। তাই মহান প্রভুর দরবারে মিনতি ভরে গভীর আবেগে দোয়া করতেনÑ ‘আল্লাহুম্মা বা-রিক লানা ফি রাজাবা ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রামাজান।’ অর্থ : হে আল্লাহ! আমাদের রজব ও শাবান মাসে বরকত দান কর এবং রমজান মাস পর্যন্ত আমাদের পৌঁছে (জীবন) দাও।’ (মুসনাদে আহমাদ : ২৩৪৭)
রাসুল (সা.) শাবান মাস ইবাদতে মগ্ন থেকে সাহাবায়ে কেরামকেও আমলের জন্য উৎসাহ দিতেন। এ মাসের গুরুত্বের কারণেই রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবানকে নিজের মাস বলে অভিহিত করেছেন। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘রজব হলো আল্লাহর মাস। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহর মাস রজবকে সম্মান করল, সে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আল্লাহর বিধানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুন নাঈমে প্রবেশ করাবেন। আর শাবান হলো আমার মাস। আর যে ব্যক্তি শাবান মাসের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল সে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করল। আর যে আমার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবে, কিয়ামতের দিন আমি হব তার অগ্রবর্তী এবং নেকির ভান্ডার। আর রমজান মাস হলো আমার উম্মতের মাস।’ (শুয়াবুল ঈমান : হাদিস ৩৫৩২)
মূলত রমজানের প্রস্তুতি হিসেবে শাবান মাসের অনেক ফজিলত ও বেশ কিছু করণীয়ও রয়েছে। প্রথমত শাবানের চাঁদ ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দিন গণনায় গুরুত্ব দেওয়া। যেন রমজানের রোজা সঠিক সময় আদায় করা সহজ হয়। হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমরা রমজান ঠিক রাখার জন্য শাবানের চাঁদ গণনা কর।’ (তিরমিজি : ৬৮৭)। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘আল্লাহর রাসুল (সা.) শাবান মাসের তারিখ এতটাই মনে রাখতেন যতটা অন্য মাসের তারিখ মনে রাখতেন না। শাবানের ২৯ তারিখ চাঁদ দেখা গেলে পরের দিন রমজানের রোজা রাখতেন। আর সেই দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে শাবান ৩০ দিন পূর্ণ করে রমজানের রোজা শুরু করতেন।’ (আবু দাউদ : ২৩২৭)
শাবান মাসের অন্যতম একটি আমল হলো, নফল রোজা রেখে আগত রমজানের প্রস্তুতি গ্রহণ করা। হজরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) বর্ণনা করেন, একদা মহানবীকে (সা.) জিজ্ঞাসা করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল! কোন রোজার ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, ‘রমজান মাসের সম্মানার্থে শাবান মাসে কৃত রোজার ফজিলত বেশি। আবার জিজ্ঞাসা করা হলো, কোন দানের ফজিলত বেশি? উত্তরে তিনি বললেন, রমজান মাসে কৃত দানের ফজিলত বেশি।’ (বায়হাকি : ৮৭৮)। অন্য এক বর্ণনায় আছে, হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, ‘আমি আল্লাহর রাসুলকে (সা.) বছরের অন্য কোনো মাসে শাবান মাসের চেয়ে বেশি রোজা রাখতে দেখিনি। শাবান মাসে তিনি প্রায় সারা মাসই রোজা রাখতেন। খুব সামান্য কয়েক দিন বাদ যেত।’ (তিরমিজি : ৭৩৬)। অর্থাৎ রোজা রাখার ক্ষেত্রে শাবানের ২৭ তারিখের পরে না যাওয়া। কেননা, এর পরের দিনগুলো সন্দেহপূর্ণ। হাদিসে এ দিনসমূহে রোজা রাখতে নিষেধ করা হয়েছে। হজরত কাতাদাহ (রা.) একটি হাদিস বর্ণনা করেন, ‘নবী করিম (সা.) বলেছেন, তোমরা রমজান মাস ও শাবান মাসের মাঝে এক বা দুই দিনের ব্যবধান বজায় রাখ।’ (রোজা রাখা বর্জন করে)।’ (মুসানাœফে আবদুর রাজ্জাক : হাদিস ৭৩১৬)
শাবান মাসের ফজিলতের আরেকটি কারণ হলো, এ মাসের ১৪ তারিখের বরকতময় দিবাগত রাত। যা শবে বরাত হিসেবে প্রসিদ্ধ। এ রাতে ইবাদতের মাধ্যমে মহান আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা যায়। হাদিস শরিফে এসেছে, ‘আল্লাহ তায়ালা অর্ধ শাবানের রাতে তাঁর বান্দাদের প্রতি মনোযোগ দেন, ক্ষমাপ্রার্থীদের ক্ষমা করেন এবং অনুগ্রহপ্রার্থীদের ওপর অনুগ্রহ করেন। আর বিদ্বেষ পোষণকারীদেরকে তাদের অবস্থাতেই ছেড়ে দেন।’ (শুআবুল ইমান : ৩৮৩৫)। বোঝা গেল, শাবান হলো আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বিশেষ পুরস্কার ক্ষমা অর্জনের মাস। রমজানকে স্বাগত জানিয়ে নিজের প্রস্তুতি গ্রহণের মাস। বিশেষত ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে সময় কাটানো। সুতরাং শাবান মাসে নফল রোজা, জিকির, কোরআন তেলাওয়াত, দান-সদকা ও নফল রোজার মাধ্যমে প্রস্তুতি গ্রহণ করে রমজানের জন্য অপেক্ষা করা এবং সব গর্হিত কাজ থেকে দূরে থাকা। আল্লাহ তায়ালা শাবান মাসের গুরুত্ব বুঝে আমাদের সবাইকে আমল করার তাওফিক দান করুন।
লেখক- গবেষক, কলামিস্ট, মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান, পাঠান পাড়া, (খান বাড়ী) কদমতলী, সদর, সিলেট-৩১১১, মোবাঃ ০১৯৬৩৬৭১৯১৭

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..