রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন
লাইফস্টাইল ডেস্ক : জীবনে আত্মীয়দের চেয়েও বন্ধুদের উপস্থিতি আপনাকে শারীরিক ও মানসিক, দু’ভাবেই অনেক বেশি তরতাজা করে রাখতে পারে। এমনিতেও ঘনিষ্ঠ বন্ধুর নানা আচরণ যেমন আমাদের ফুরফুরে করে তুলতে পারে, তেমনি ডিপ্রেশনেও পাঠিয়ে দিতে পারে। জীবনের অন্য সব কিছুর মতো বন্ধুত্বেরও দুটো দিক হয়। ভালো বন্ধুর সংস্পর্শে এসে যেমন আমাদের মন তরতাজা হয়, তেমনি খারাপ বন্ধুত্ব আমাদের অন্ধকারের পথে ঠেলে দিতে পারে। আবার কখনও কখনও আপনি বুঝতে পারছেন, কোনও একটা বন্ধুতা থেকে আপনার ক্ষতিই হচ্ছে বেশি, কিন্তু কিছুতেই বাঁধনটা কেটে বেরোতে পারছেন না। কী করবেন তেমন হলে?
সময় দিন
প্রথম শর্ত এটাই। মুহূর্তের উত্তেজনায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। আপনার বন্ধুকে ভুল করতে দিন কিছু সময়ের জন্য। তাতে আপনি আঘাত পাবেন, কিন্তু পরিস্থিতি যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ পাবেন আর আপনার সহনশীলতার একটা পরীক্ষাও হয়ে যাবে। প্রথম কয়েকটা ভুল ক্ষমা করে দেওয়াই যায়, কিন্তু বারবার যদি তিনি আপনাকে আঘাত দিতে থাকেন, তা হলে একসময় সীমা টানা দরকার। নিজেকে ধীরে ধীরে গুটিয়ে নিতে শুরু করুন, যাতে একসময় যোগাযোগ ছিন্ন করতে অসুবিধে না হয়।
আত্মসমীক্ষা করুন
বন্ধুর দোষ দেখার পাশাপাশি নিজের দোষও দেখা দরকার। আপনার কোনও আচরণে কি বন্ধু কষ্ট পেয়েছেন? তাঁর রূঢ় ব্যবহার কি আপনার আগের আচরণের উত্তর? নিজেকে সৎভাবে যাচাই করুন, যদি মনে হয় আপনার আচরণই ঠিক ছিল না, ক্ষমা চেয়ে নিন। কিন্তু তার পরেও বন্ধু অদ্ভুত আচরণ করতে থাকলে তখন তো সরে আসতেই হবে!
আরো পড়ুন:- পূজায় মাংসের নল্লি নিহারি
বিশ্বাসঘাতকতা বরদাস্ত করবেন না
বন্ধুত্বের মূল ভিত পারস্পরিক আস্থা। তাই যদি প্রমাণ পান বন্ধু আপনার বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন, তক্ষুনি ছিন্ন করুন সম্পর্ক।
তিক্ততা অনলাইনে নয়
বন্ধুর সঙ্গে আপনার যত সমস্যাই হয়ে থাক, তাকে কখনও সোশাল মিডিয়ার বিষয় করে তুলবেন না। নিজের সম্ভ্রম বজায় রাখুন। অন্য তরফ যদি সোশাল মিডিয়ায় বিষ ঢালে, প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে শান্ত থাকুন। প্রয়োজনে সরাসরি কথা বলুন।
সুস্থ বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন
ক্ষতিকর বন্ধুত্বকে বেশি মনোযোগ দেবেন না। বরং যে বন্ধুতা আপনাকে উজ্জ্বলতার পথে নিয়ে যায়, সেই বন্ধুতাকেই বরণ করে নিন জীবনে। অসময়ে যাঁরা আপনার পাশে থাকবেন, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটান। ক্ষতিকর বন্ধুকে এড়িয়ে চলুন। একসময় আপনা থেকেই তিনি আপনার জীবন থেকে বিদায় নেবেন।