বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন
অর্থনীতি ডেস্ক :: কোনোভাবেই অস্থিরতা কাটছে না মাংসের বাজারে। দুই মাসের ব্যবধানে ২২০ টাকা মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৩৬০ টাকা দরে। সরবরাহ সংকট থাকায় সহসাই দাম কমবে না বলে মনে করেন বিক্রেতারা।
রাজধানীর পলাশী কাঁচাবাজার। এ বাজারে বেশির ভাগ ক্রেতা সৌখিন হওয়ায় পণ্যের দামও কিছুটা বেশি। এ সপ্তাহে সময় সংবাদের বিশেষ পর্যবেক্ষণ ছিল মাংসের বাজারে। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সকাল ৯টার দিকেও মুরগি বিক্রি হতাশাজনক। দাম বাড়ছে আগের মতোই। কথা হয় তিনজন বিক্রেতার সঙ্গে। তারা জানান, ব্যবসায়িক জীবনের কোনো বছরই এমন দামে তাদের বিক্রি করতে হয়নি। খামারে মুরগি সংকট না সরবরাহ সংকটে সিন্ডিকেট তারা বলতে পারেন না।
এদিকে আরেক বিক্রেতা জানান, প্রতিকেজি দেশি মুরগি দুই মাস আগেও বিক্রি করেছেন ৩৫০ টাকা কেজি। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা কেজি। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩৬০ টাকা, যা আগে ছিল ২২০ টাকা। এ ছাড়া ১১০ টাকা কেজির ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০ টাকা কেজি।
খুচরা বাজারে অনেক সময়ই দাম বেড়ে যায় দ্বিগুণ। এমন ধারণা বা শঙ্কা বিষয় অনেকরই থাকে। ক্রেতাদের এমন অভিযোগ থেকেই সময় সংবাদ অনুসন্ধানে যায় রাজধানীর পাইকারি কাপ্তান বাজারে। সকাল ১০টায় গিয়ে বাজারের চিত্রই বলে দেয় সংকটের কথা। দামও প্রায় এক। এ বাজারে পাইকারি পর্যায়ে বিক্রি হয় পিস হিসেবে মুরগি। প্রতি ৭০০-৭৫০ গ্রামের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা পিস। এর চেয়ে ছোট আকারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা পিস।
এ বাজারে সময় সংবাদের কথা হয় ব্যবসায়ী জমিউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি জানান, প্রায় ২৬ বছর ধরে এ বাজারে ব্যবসা করেন তিনি। তবে জীবনের কোনো সময় এমন অবস্থার সম্মুখীন হয়নি। দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাওয়ায় ক্রেতা পাওয়া যায় না বলে জানান তিনি।
আরেক ব্যবসায়ী জানান, কাপ্তান বাজারে প্রায় দুই থেকে আড়াইহাজার শ্রমিক কাজ করেন। সরবরাহ সংকটে কাজ কমে যাওয়া ও বাজারে দামের অস্থিরতায় কাজ কমে গেছে। এতে অনেকেই কাজ করতে না পেরে কর্মহীন অবস্থায় দিন পারছে। আগামী ঈদের আগ পর্যন্ত দাম কমার সম্ভাবনা নেই বলেও জানান পাইকাররা।