1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০২:২৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

\ আমার দেখা একাত্তরঃ অগ্নিঝরা মার্চ এর স্মৃতি কথাঃ একাত্তোরের অকুতভয় বিস্মৃত বীরদের ইতিকথাঃ ভাষা সৈনিক মোহাম্মদ ইলিয়াস এমসিএ \

  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ মার্চ, ২০২৩
  • ১৯২ বার পঠিত

। মুজিবুর রহমান মুজিব।
একাত্তোরের মহান মুক্তি যুদ্ধ রক্তক্ষয়ী সসস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রাম বাংলা ও বাঙ্গাঁলির হাজার বছরের সংগ্রামী ইতিহাসে গৌরবময় অধ্যায়। সত্তোর সালের সাধারন নির্বাচনে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তা বাদী আন্দোলনের মহান জনক স্বাধীতার স্থপতি বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন আওয়ামীলীগ নিরংকুশ সংখ্যাগরিষ্টতা অর্জন করলেও পাকিস্তানের ক্ষমতা সীন প্রতিক্রিয়া শীল ক্ষমতা লিপ্সু ফৌজ প্রেসিডেন্ট লেঃ জেঃআগা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া খান নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করতঃ বৈঠক এর নামে কাল ক্ষেপন করেন। পশ্চিম পাকিস্তান থেকে এতদাঞ্চলে সৈন্য মোতয়েন করতে থাকেন। অবশেষে একাত্তোরের পঁচিশে মার্চ কাল রাত্রিতে “অপারেশন সার্চ লাইট” নামে মানব সভ্যতার সাম্প্রতিক ইতিহাসে জঘন্যতম গন হত্যাশুরু করে পাক হানাদার বাহিনী। অগ্নি সংযোগ, লুট তরাজ, খুন-ধর্ষনের উদ্ভিন্ন উল্লাসে মেতে উঠে হানাদার হায়না বাহিনী। সাবাশ বাংলাদেশ উদ্যাম তুমি বিদ্রোহ ঘোষনায়। বঙ্গঁবন্ধুর সাতই মার্চের দিক নির্দেশনা মূলক ঐতিহাসিক ভাষন “ঘরে-ঘরে দূর্গ গড়ে তুল- এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তি সংগ্রাম- এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রামের” আহŸানে উদ্ভুদ্ধ হয়ে সমগ্রজাতি ঐক্যবদ্ধ ভাবে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর মোকাবিলা করেন প্রতিরোধ করেন। একাত্তোরের ২৬শে মার্চ চট্টগ্রামের কালুর ঘাটে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে স্বদেশ প্রেমও স্বাদে শিকতায় উদ্ভোদ্ধ হয়ে পাকিস্তান সেনা বাহিনীর এক চৌকশ মেজর পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গেঁ সম্পর্ক ছিন্ন করে উচ্চকন্ঠে উচ্চারন করেন- “আমি মেজর জিয়া বলছি- “ও গধলড়ৎ তরধ ড়হ নধযধষভ ড়ভ ড়ঁৎ মৎবধঃ খবধফবৎ ইধহমধনধহফযঁঝযবরশয গঁলরনঁৎ জধযসধহফড় যবৎ নু ফবপষবৎব ঃযব ওহফরঢ়বহফবহপব ড়ভ ইধহমষধফবংয”মুক্তিযোদ্ধা মেজর জিয়ার এই ঘোষনায় মুক্তিযুদ্ধের একটি দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়। পরবর্তীতেসৈয়দ নজরুল ইসলামকে অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং তাজ উদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করে প্রবাসী মুজিবনগর সরকার গঠিত হয়, কর্নেল এম,এ,জি ওসমানীকে প্রধান সেনাপতি এবং সমগ্র বাংলাদেশকে এগারো সেক্টার বিভক্ত করে এগারোজন সেক্টারে কমান্ডার নিযুক্ত করলে প্রবাসী সরকার একটি পূর্নাঙ্গঁ সাংঘটনিক রূপ লাভ করে। আমাদের বৃহত্তর সিলেট চার ও পাঁচ নম্বর সেক্টার এর অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমাদের প্রজন্মের চরম সৌভাগ্য ও পরম পাওয়া একাত্তোরের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহন, দায়িত্ব প্রাপ্তি এবং স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশ গ্রহনের সুযোগ লাভ। ষাটের দশকে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী চিন্তা চেতনা ও আদর্শে উদ্ভোদ্ধ হয়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ এর মাধ্যমে একজন সংঘটক হিসাবে ছাত্র রাজনীতিতে আমার হাতে খড়ি। এ ব্যপারে আমাকে প্রভাবিত করেন ছাত্র লীগের তৎকালীন কেন্দ্রীয় নেতা সিরাজুল আলম খান এবং ছাত্রনেতা আশম রব। ছাত্রলীগের সংঘটক হিসাবে আমি প্রথমে মৌলভীবাজার কলেজ শাখা অতঃ পর মহকুমা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হই। তখন আমাদের এলাকায় জনসাধারনের মাঝে বঙ্গঁবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তা ও গ্রহন যোগ্যতা থাকলেও দল হিসাবে আওয়ামী লীগ এর সাংঘটনিক শক্তি ও কার্য্যক্রমে ছিল না। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র লীগ দেশব্যাপী একটি শক্তি শালী ছাত্র ও জনপ্রিয় ছাত্র সংঘটন ছিল। বঙ্গঁবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয়দফা কর্ম্ম সূচীর প্রচার সহ বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদি কার্য্যক্রম ছাত্র লীগকেই চালাতে হত। ছাত্রলীগ কর্মি সংঘটক হিসাবে জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস এর সঙ্গেঁ আমার পরিচয় সম্পর্ক ও সখ্যতা। আজীবন সে সম্পর্ক বহাল ছিল। উজ্জল ফর্সা চেহারা গোলবাটা মুখ মাথায় ব্যাক ব্রাশ করা হালকা চুল গোফ বিহীন ক্লিনসেভে মাঝারি উচ্চতার সুঠাম শরীরের অধিকারি মোহাম্মদ ইলিয়াস একজন সুদর্শন ভদ্রলোক। বিনয়ের অবতার। ভদ্রবিনয়ী। সজ্জন। একচিলতে মিষ্টি মুচকি গুয়ামেরি হাসি সব সময় লেগে আছে মুখে। পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের প্রতিষ্টাকালীন প্রভাব শালীনেতা আজীবন বাম ঘরানার চা শ্রমিক মেহনতি মানুষের মুক্তি দূত-চিন্তাবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াস ষাটের দশকে বঙ্গঁবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গাঁলি জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের জোয়ারে শরীক হন- বঙ্গঁবন্ধুর আহŸানে যোগদেন আওয়ামীলীগে। তাঁর জন্ম পিতৃভূমি কমলগঞ্জ উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী খুশাল পুর গ্রামে। একটি শিক্ষিত সম্ভান্ত খান্দানি পরিবারে তাঁর জন্ম ও বেড়ে উঠা। ঘর বসতি শ্রীমঙ্গল শহরে। সত্তোর সালের সাধারন নির্বাচনে মহকুমা সদরে উভয় পরিষদে প্রার্থী সংকটে পড়ে আওয়ামী লীগ। তখন পাকিস্তানের আইন সভা ছিল দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট। কেন্দ্রে এম,এন,এ মেম্বার অবদি ন্যাশনেল এ্যসেম্বলি এবং প্রদেশে মেম্বার অবদি প্রভিন্সিয়াল এ্যসেম্বলি এম,পি,এ। আমাদের মহকুমায় জাতীয় পরিষদের আসন ছিল দুটি কুলাউড়া বড়লেখা এলাকা থেকে আওয়ামীলীগের একক প্রার্থী ছিলেন ব্যারিষ্টার আব্দুল মুন্তাকিম চৌধুরী। মোহাম্মদ ইলিয়াস এর শহর শ্রীমঙ্গল সংযুক্ত ছিল হবিগঞ্জের একটি আসনের সঙ্গেঁ সেখানে একক প্রার্থী ছিলেন একে, লতিফুর রহমান চৌধুরী যিনি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করে কমান্ডেন্ট মানিক চৌধুরী হিসাবে খ্যাতি অর্জন করেন। সত্তোর সালের সাধারন নির্বাচনে মৌলভীবাজার মহকুমা সদরে এম,এন,এ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস এর নির্বাচনী প্রচারাভিযানে আমরা বিপুল উৎসাহউদ্দীপনায় শরীক হই।নির্বাচনী প্রচারাভিযানে বঙ্গঁবন্ধুর শুভাগমন এবং সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশাল জন সভায় ভাষনইলিয়াস-আজিজকে নৌকা মার্কায় ভোট দিলে সে ভোট আমি পাব, বাংলার মুক্তি সনদ ছয়দফা দাবীর পক্ষে নৌকা মার্কায় ভোট দিন আহŸান জানিয়ে বঙ্গঁবন্ধু আবেগও জ্বালাময়ী ভাষন দিলে লক্ষ জনতা জয়বাংলা ধ্বনি সহকারে দুই হাত তুলে তাঁর প্রতি সমর্থন জ্ঞাপন করেন। নৌকা মার্কার পক্ষে জন জোয়ার সৃষ্টি হয়, নির্বাচনী প্রচারাভিযান তুঙ্গেঁ উঠে। জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস এর নির্বাচনী প্রচার কালে স্থানীয় ভাবে ছাত্রলীগ নেতাদের মধ্যে আমি ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন মনির, মোঃ ফয়জুর রহমান এবং স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দের মধ্যে ছাত্র নেতা আব্দুল অদুদ এবং ছাত্র নেতা দেওয়ান আব্দুল ওয়াহাব চৌধুরী সুবক্তা ছিলেন। আমি তখন উচ্চ কন্ঠে শ্লোগান এবং জ্বালাময়ী ভাষন দিতাম। প্রার্থী মোহাম্মদ ইলিয়াস উচ্চ শিক্ষিত, তাত্বিকহলেও জোরাল কন্ঠে জ্বালাময়ীভাষনে অভ্যস্থ ছিলেন না, যদিও তিনি টেবিল টক- সেমিনার সিম্পজিয়াম এ ছিলেন অসাধারন যুক্তিবাদি বক্তা, তাত্বিক ও তার্কিক। সাদা পাজামা পাঞ্জাবি এবং সাদা পেন্ট এর সঙ্গেঁ সাদা হাফহাতা হাওয়াই সার্টে মানাত দারুন। তিনি এম,এন,এ কে বলতেন আপার কাউন্সিল। নির্বাচনী জনসভায় দাড়িয়ে সফেদ পোষাকে মুচকি মিষ্টি হাসি সমেত সালাম জানিয়ে আপার কাউন্সিলে নৌকা মার্কায় ভোট চাইতেন। এখানে তাঁর কোন বাসা বাড়ি ছিল না, তিনি তাঁর শ্রীমঙ্গলের বাসা বাড়ি থেকে জীপ যোগে এখানে আসতেন, মিটিং সিটিং শেষে ঐ দিনই শ্রীমঙ্গল চলেযেতেন। তখন এখনকারমত যানবাহন ও অর্থ কড়ির ছড়া ছড়ি ছিল না। তাঁর বিশাল কর্মি বাহিনী এই আমরা নিখরচায় পদব্রজে নির্বাচনী অভিযান পরিচালনা করতাম। এখনকার মত তখন টাকার খেলা দপট দৌরাত্ব ছিল না, তাঁর নিজের ও কোন নির্দিষ্ট চাকরি কিংবা ব্যবসা বানিজ্য ছিল না। কালোবাজারিও কালো টাকার মালিক না হলেও সৎ ও মহৎ মানুষ মোহাম্মদ ইলিয়াস এর বুকভরা ভালো বাসা ছিল, নিখাঁদ দেশ প্রেমছিল, দু চোখে স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন বাজ মোহাম্মদ ইলিয়াস তাঁর কর্মি বাহিনীকে সন্তানের মত সহোদরের মত ¯েœহ মমতা করতেন। তিনি গড ফাদার ছিলেন না, আমরা তাঁর কেডারছিলাম না, তখন অবশ্য এখনকার মত “গড ফাদার” কেডার প্রথার প্রচলন ছিল না। সত্তোর সালের সাধারন নির্বাচনে বিপুল ভোটে এম,এন,এ নির্বাচিত হন জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস। আজীবন নির্ভীক নির্লোভ মুজিব সৈনিক ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন কৃতিত্বের সাথে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির শুরু দায়িত্ব পালন করেন। তখন ছিল ভাই-ভাই এর জমানাও যুগ।“আমার ভাই তোমার ভাই অমুক ভাই তমুক ভাইর”-যুগবিধায় জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস তার সুহৃদ মহলে ইলিয়াস ভাই বলে অভিহিত হতেন।আমারও পিতৃতুল্য এই নিরহ নিরহংকারি ভদ্রলোককে ইলিয়াস ভাই বলেই ডাকতাম। একাত্তোর সালের স্বাধীনতা যুদ্ধে জনপ্রতিনিধি ও জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস এর ভূমিকা ছিল সমুজ্জল। ইতিহাসের পাতায় স্বর্নাক্ষরেলিখিত। তিনি চার ও পাঁচ নম্বর সেক্টারে জননেতা আব্দুছ ছামাদ আজাদ এবং জননেতা দেওয়ান ফরিদ গাজির নেতৃত্বে সংঘটক ও লিয়াজঁ অফিসার হিসাবে নিষ্টার সঙ্গেঁ দায়িত্ব পালন করেন। মহান স্বাধীনতার সংঘটক ত্যাগী রাজনীতিবিদ জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস এর সঙ্গেঁ আমার অনেক স্মৃৃতি বিজড়িত। রাজনৈতিক পথ পরিক্রমায় তাঁর সঙ্গেঁ আমার রাজনৈতিক মত পার্থক্য হয়েছে মনোমালিন্য হয় নি- ব্যক্তিগত ও পারিবারিক সম্পর্ক নষ্ট হয়নি।সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ বিরোধী ছাত্রগন আন্দোলনে রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াস এর সংগ্রামী ভূমিকা ও সমুজ্জল। তিনি এর্শাদেরফাঁদে পাদেন নি, প্রাপ্তি যোগের প্রত্যাশা না করে, ক্ষমতার মোহ উপেক্ষা করে কর্মিদের সঙ্গেঁ রাজ পথে নেমে এসেছেন। পনেরো দলীয় আন্দোলনকে বেগবান করতে গাড়ির বহর নয় লাইনের বাস চড়ে মফস্বলে বেরিয়ে পড়েছেন। একবার বড়লেখা উপজেলায় জন সংযোগে তাঁর সফর সঙ্গীঁ হলাম। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পদক সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এম, আজিজুর রহমান ও এই টিমে ছিলেন। বড়লেখায় কোন কর্মি সভা করতে না পেরে আমরা, নিজ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তরুন আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমদের বাড়িতে গেলে তিনি আমাদেরকে সাদরে সম্ভাষন জানান, আন্তরিক ভাবে গ্রহন করতঃ দুপুরে মধ্যাহৃ ভোজের আয়োজন করেন। সেখানেই আমরা সাধারন মানুষের সঙ্গেঁ মত বিনিময়করি।সামরীক স্বৈর শাসক জেনারেল এর্শাদ সরকার এর ভয়ে বিরোধী দলীয় কর্মি সভায় লোক জমায়েত হত না,জন সভার প্রশ্নই নাই। এই বৈরী সময় ও কঠিন পরিস্থিতির মাঝে নির্ভীক রাজরীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াস এর অসীম ধৈর্য্য, প্রজ্ঞাও পান্ডিত্য বিনয়াচরন আমাদেরকে সবাইকে বিমুগ্ধ করে। সেই সভায় তিনিই একক ভাবে বৈঠকি বক্তৃতা দিলেন। নির্ভীক মুজিব সৈনিক মোঃ শাহাব উদ্দিন আহমদ ত্যাগীও পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ হিসাবে নিজ এলাকা থেকে সাংসদ হুইপ হয়ে বর্ত্তমানে সুনামের সাথে বনও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রনালয় এর পূর্ন মন্ত্রীর দায়িত্ব কৃতিত্বের সাথে পালন করছেন। এর্শাদ সরকারামলে জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াসকে সরকারি ভাবে চাপ প্রয়োগ ও হয়রানী করা হয়েছে। টেলিফোনের সামান্য বিলের জন্য তাঁকে হেনস্থা, অপমান ও হয়রান করার জন্য পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি এ্যক্ট-পি,ডি,আর এ মামলার আসামী করা হলে তাঁর শহর শ্রীমঙ্গলে অনেক আইনজীবী থাকা অবস্থায়ও আমার স্মরনাপন্ন হলেন- আমার সহায়তা চাইলেন। আমার সুদীর্ঘ আইন পেশার জীবনে একাধিকভি,ভি,আই,পি, এ জেলার পি,পি, দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক সহ বিভিন্ন প্রাতিষ্টানিক মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা করে প্রশংসিত-সম্মানিত হয়েছি-ভাষা সৈনিক স্বাধীনতা সংগ্রামী- সৎ-সহজ সরল সাদামনের মহৎ মানুষ মোহাম্মদ ইলিয়াসকে আইনগত সহায়তা দেয়া- সাহায্য করা আমার পেশাগত জীবনের সৌভাগ্য ও সম্মানের ব্যাপার। তখন এখনকার মত এত যান বাহন ট্যেক্সি-কার এর প্রচলন ছিল না। আমি জেলা সদর থেকে স্কুটারে করে শ্রীমঙ্গল উপজেলা হাকিম আদালতে গিয়েছি- তাঁর জামিন করিয়েছি- মামলা পরিচালনা করেছি। উপজেলা আদালত সমূহের মধ্যে চায়ের রাজধানী বলে খ্যাত শ্রীমঙ্গল উপজেলা ও মুন্সেফি আদালত স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের দাবীদার। সাবেক সচিব দেশের খ্যাতিয়মান কবি ও সংঘটক কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী এবং একাত্তোরের অকুতভয় বীর অবসর প্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ বহু গ্রহ্ণ প্রনেতা হাসান শহীদ ফেরদৌস শ্রীমঙ্গলে যথাক্রমে উপজেলা হাকিম এবং উপজেলা মুন্সেফ ছিলেন। গাড়ি-ঘোড়া, প্লট-ফ্ল্যাট হীন নির্লোভ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াস সপরিবারে বসবাস করতেন তাঁর প্রিয় শহর চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে। একমাত্র পুত্র সন্তান ও সহধর্মিনী পরলোকে। কন্যাগন ভালো ঘরে ভালো বরে পাত্রস্থ। পুত্র বধু বর্তমানে শ্রীমঙ্গল পৌরসভার কাউন্সিলার। শ্বশুর এর প্রিয় দল আওয়ামী লীগ এর রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। সামরীক স্বৈর শাসক এর্শাদ সরকারামলে৮৭সালের ১১ই নবেম্বর স্বাধীনতার মহান সংঘটক জননেতা মোঃ ইলিয়াসহার্ট এ্যটাক হয়ে চীর তরে চলে যান নাফেরার দেশে। ইসলামী আইনের বিধান মোতাবেক একজন মুমিনের মৃত্যো সব শেষ নয়, বরং অনন্ত মহা সময়ের শুরু। মৃতে্যুা পরবর্তী জীবন আলমে বরযখ। জিয়ারত, দোয়া, দূরুদে, মূর্দার রুহের মাগফিরাত হয়। শ্রীমঙ্গল পৌরসভার সংরক্ষিত কবরস্থানে জননেতা মোহাম্মদ ইলিয়াস চীর শয়ানে। এত বছরে তার কবরের মাটি পুরাতন হয়ে গজিয়েছে অনেকঘাস। ফুটেছে অনেক নাম না জানা ঘাস ফুল। ঘাস-ঘাসফুল রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ ইলিয়াস এর কবর গাহকে জড়িয়ে রেখেছে মায়ায়। মমতায়। রোদ বৃষ্টি থেকে কবর গাহ-কে আগলে রাখছে ছায়ায়। মায়ায়। মমতায়ও। প্রিয় শহর শ্রীমঙ্গলে আমার প্রায়ই যাওয়া হয়। সেদিন তাঁর কবর যিয়ারত করলাম। রুহের মাগফিরাত কামনা করলাম। সাধারন পোষাকে এক অসাধারন মানুষ সহজ সরল সাদামনের মানুষ স্বাধীনতা সংগ্রামী মোহাম্মদ ইলিয়াসকে স্বাধীনতার এই মাসে স্মরন করছি-গভীর শ্রদ্দায়। মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। পারিবারিক তথ্য প্রদানেপ্রাসঙ্গিঁক সহায়তা করেছেন আওয়ামীলীগের বিশিষ্ট নেতা, জেলা বারের সাবেক সভাপতি এডভোকেট এ,এস,এম, আজাদুর রহমান। তাঁকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি।
[মুক্তিযোদ্ধা। সিনিওর এডভোকেট হাই কোর্ট। কবিও কলামিষ্ট। সাবেক সভাপতি, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাব।]

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..