1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

ঘুরে আসুন কমলগঞ্জ

  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১২ মার্চ, ২০২৩
  • ১০১ বার পঠিত
  • মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ২০টি পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে এবং ২১টি ভিন্ন জনগোষ্ঠীর বসবাস এখানে।

তানভীর চৌধুরী :

লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান

এটি শুধু বাংলাদেশে নয়, আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একটি উদ্যান। দেশের ৭টি বন্য প্রাণী এই রণ্য এবং ১০টি জাতীয় উদানের মধ্যে অন্যতম পরিচিতির দিক থেকে সুন্দরবনের পরেই পাতা ছড়ার অবস্থান এটি এখন বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও পাখির জীবন্ত গবেষণাগার। বিজ্ঞানীদের ভীষণ পছন্দের জায়গা। বিখাত পাখিবিশারদ ডেভিড জনসন ও পন দমসন লাউয়াছড়াকে পৃথিবীর অন্যতম উন্মুক্ত চিড়িয়াখানা হিসেবে আ্যায়িত করেছেন।

এখানে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। সূর্যের আলো পেতে মরিয়া এ বনের গাছপালা বেশ উঁচু হায় থাকে। একটা স্যা এই বন এতই ঘন ছিল যে মাটিতে সূর্যের আলো পড়ত না। উঁচু নিচু টিলাজুড়ে এ ধন বিস্তৃত। বনের ভেতর দিয়ে অনেক পাহাড়ি ছড়া বয়ো গেছে, যা পর্যটকদের মুগ্ধ করে। পাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যায়। বিলুপ্তপ্রায় উল্লুকের জন্য এই বন বিখ্যাত বনের মধ্যে কিছু সময় কাটানেই উল্লুকের ডাকাডাকি কানে আসবে।

শীত ও বসন্তকালে বেশি লোকসমাগম হয় এই উদ্যানে। এখানে ভ্রমণের জন্য রয়েছে তিনটি ট্রেইল বা হাঁটাপথ। তিনটি পরে মধ্যে একটি ৩ ঘন্টার, একটি ১ মস্টার এবং অন্যটি ৩০ মিনিটের টিলায় ছড়ানো চায়ের লাগান। অদ্ভুত স্মরণে ধলই চা বাগানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধের একদিকে বিজিবি ক্যাম্প, অন্যদিকে চা বাগান।

পথ। গাইডের সহায়তায় বনের ভেতরে যাওয়া যায়। নাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের পাশেই রয়েছে মাগুরছড়া খাসিয়াপুঞ্জি।

 

কমলগঞ্জে মাধবপুর লেক

 

মাধবপুর লেকটি চারদিকে উঁচু সবুজ চা-বাগানের মাধ্যখানে অবস্থিত। স্বচ্ছ পানি, প্রকৃতির ভাষা, নিরিবিলি টিলায় ছড়ানো চায়ের লাগান। অদ্ভুত নির্জনতায় লেকটি ঘিরে বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি, চা বাগান এবং পাষিদের নিয়ে এক মায়াময় পরিবেশ দক্ষিণ ভারত সীমান্ত। দিয়ে থাকে সব সময় এই আছে বহু প্রজাতির বিশালাকৃতির মাছ ও কাছিম

কমলগঞ্জের হাম হাম জলপ্রপাত

কমলগঞ্জ উপজেলার হাম হাম স্মরণে ধলই চা বাগানে স্মৃতি কমপ্লেক্স তৈরি করা হয়। স্মৃতিসৌধের একদিকে বিজিবি ক্যাম্প, অন্যদিকে চা বাগান। দক্ষিণ ভারত সীমান্ত। এসব ছাড়াও কমলগঞ্জ উপজেলার পদ্ম ছাড়া কোমেলিয়া লেক, পাত্রখোদা লেক, রাম্বোতন লেক, শমশেরনগর গলফ মাঠ শমশেরনগর বিমানবন্দরসহ বেশ কিছু পর্যটনকেন্দ্র ও চা বাগান রয়েছে। পরিবেশ আর শরতে শাপলা ফুল লেকটিকে দৃষ্টিনন্দন করে তোলে। সবুজ পাহাড়ের চূড়ায় যতই এগোতে থাকবেন, ততই সবুজ পাতার গন্ধ মন চাঙা করে তুলবে। চারদিকে সবুজ পাহাড়ের পাশাপাশি উঁচু উঁচু টিলা রয়েছে এখানে। মাধবপুর লেক যেন প্রকৃতির নিজ হাতে আঁকা ছবি। চা বাগানের সুরু রাস্তা দিয়ে এ লোকে যেতে হয় বেশ কিছু ঝুঁক নিয়ে একেবেঁকে পাহাড়ের ভেতর তার চলা। শীতকালে অতিথি পাখির দল আসে এই হ্রদে। এর জলে গোলপাতার ফাঁকে ফাঁকে ফুটে থাকে নীল শাপলা। হ্রদের দুই পাশে টিলায় জলপ্রপাত আরেকটি দর্শনীয় স্থান। দুর্গম জঙ্গলে ঘেরা এই জলপ্রপাত ২০১০ সালের শেষ দিকে পর্যটন গাইড শ্যামল দেববর্মার সঙ্গে একদল পর্যটক আবিষ্কার করেন। উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার পূর্ব দক্ষিণ ইসলামপুর ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত রাজাবাদি রোরোে ৭ হাজার ৯৭০ একর আয়তনের মানটি এলাকার পশ্চিম দিকে চম্পালায় চা-বাগান। এই কুরমা বন নিটের প্রায় ৮ কিলোমিটার ভেতরে দৃষ্টিনন্দন হাম হাম জলপ্রপাতটি অবস্থিত)। এটি ত্রিপুরা রাজ্যের প্রায় সীমান্তবর্তী জায়গায় এখানে সরাসরি পৌঁছানোর সঅরক বা ব্যাবস্তা নেই কমলগঞ্জ উপজেলার চৌমোহনা চতুর থেকে শুনামা চেকপোষ্ট পর্যন্ত ২৫ কিলোমিটার পাকা রাস্তা স্থানীয়ভাবে চলাচল করা বাস, জিপ অথবা মাইক্রোবাসে করে যেতে পারলেও পাহাড়ি এলাকা বলে বাকি পথ হেঁটে যেতে হবে। শুষ্ক মৌসুমে ঝরনার পানি কম থাকলে ও বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যায় জলপ্রপাতটিতে। এখানে হেঁটে পৌঁছাতে প্রায় ৩ ঘণ্টা লাগে। হাম হাম জনপ্রপাত দেখা আসলেই এক রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা।

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান স্মৃতি কমপ্লেক্স

বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমান মৌলভীবাজার জেলা কমলগঞ্জ উপজেলার ধলই চা বাগানের পূর্ণ প্রান্তে অবস্থিত ধলই বর্ডার আউটপোষ্টে গিয়ে যুদ্ধ করেন। তিনি ৪ নম্বর সেক্টরের অধীনে ছিলেন ১৯৭১ সালের অরোবর মাসে হামিদুর রহমান প্রথম ইষ্ট বেঙ্গলের সি কোম্পানির হয়ে ধলই সীমান্তের ফাঁড়ি দখল করার অভিযানে অংশ নেন যুদ্ধে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

যেভাবে যাবেনঃ ঢাকা থেকে শ্রীমঙ্গল, সেখান থেকে বাসে কমলগঞ্জ। রেলপথে ঢাকা থেকে ভানুগাছ কিংবা শমসেরনগরে নেমে বাস অথবা অটোরিকশায় কমলগঞ্জ যাওয়া যায়।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..