রবিবার, ২৮ মে ২০২৩, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
তানভীর চৌধুরী :: মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সব জিনিসের দাম বাড়লেও সেই তুলনায় মানুষের রোজগার বাড়েনি। চাল-ডাল-তেল আর সবজির পাশাপাশি দাম বাড়ছে গরু ও ছাগলের মাংসেরও। তবে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ মাংসের চাহিদা মেটাতো ব্রয়লার মুরগি দিয়ে। সেটাও এখন সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। সব মিলয়ে মাসে একদিনও মাংস পাতে উঠছে না বলে আক্ষেপ করেন মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষ।
কমলগঞ্জ উপজেলার ভানুগাছ বাজারে ব্রয়লার মুরগি কিনতে আসা রিকশাচালক সনু মিয়া ও দিনমজুর বাবুল মিয়া বলেন, সব জিনিসের দাম বাড়লেও আয়- রোজগার বাড়েনি, তাই কুলাতে পারছি না। মাসে এক দিনও মাংস খেতে পারি না। বাড়িতে আত্মীয়-স্বজন আসলে কম দামে ব্রয়লার মুরগি কেনা হতো। কিন্তু দাম বেড়ে যাওয়ায় এখন তাও কেনা সম্ভব নয়। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বেশ কিছুদিন ধরে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েই চলেছে। আগে ব্রয়লার মুরগি ১১০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। যা বর্তমানে ২৫০-২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। অথচ সপ্তাহ খানেক আগেও এর দাম ছিল ১৮০ টাকা কেজি। এরও এক মাস আগে ছিল ১৩০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। শুধু ব্রয়লার মুরগিই নয়, বাজারে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৫০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫০০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭০০ টাকা, দেশি হাঁস প্রতি পিছ ৯৫০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে সাড়ে ১২৫০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ থেকে বেড়ে হয়েছে ৮০০-৯০০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৯০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
কমলগঞ্জ উপজেলার পোল্ট্রি খামারি করিম মিয়া বলেন, ‘বাচ্চা-ফিড, ওষুধ ও অন্য জিনিসের দাম বেড়ে যাওয়ায় অধিকাংশ খামার বন্ধ হয়েছে। প্রতি চালানে তিনিও লোকসান গুণেছেন। মানুষের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন কম হচ্ছে। এ কারণে দাম অনেক বেড়েছে।
শমসেরনগর পোল্ট্রি ফিডের মালিক অপু আহমেদ জানান, ফিডের পাইকারি বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।