1. [email protected] : Admin : sk Sirajul Islam siraj siraj
  2. [email protected] : admi2017 :
  3. [email protected] : Sk Sirajul Islam Siraj : Sk Sirajul Islam Siraj
  • E-paper
  • English Version
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন

ব্রেকিং নিউজ :
বিনোদন :: গান গাইতে গাইতে মঞ্চেই গায়কের মর্মান্তিক মৃত্যু!,  খেলার খবর : অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ, বিমানবন্দরে যুবাদের জানানো হবে উষ্ণ অভ্যর্থনা,

শ্রীমঙ্গল কুঞ্জবনে অনাবাদী ৩শ বিঘা জমিতে সেচের ব্যবস্থা করে রিপন রায় কৃষকদের মুখে হাঁসি ফুঁটালেন

  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৮ মার্চ, ২০২৩
  • ২২৭ বার পঠিত

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের কুঞ্জবন এলাকার শতাধিক কৃষকের মুখে হাসি ফুঁটিয়েছেন রিপন রায়। নিজ অর্থ ব্যয়ে সেচের মাধ্যমে অনাবাদী জমিকে করে দিয়েছেন চাষের যোগ্য। কৃষি অফিসের কোন রকম সহযোগীতা ছাড়াই কৃষকের ঘরে উঠবে সোনালী ফসল। প্রায় ৩ শতাধিক বিঘা জমিতে বাতাসে দোলছে সবুজের সমারোহ। কৃষক-কৃষাণীরা মনের আনন্দে কাজ করে যাচ্ছেন ফসলের মাঠে। তাদের শরীরে নেই কোন ক্লান্তির চাঁপ।

সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের ২ বারের নির্বাচিত মেম্বার ও প্যানেল চেয়ারম্যান রিপন রায়। পেশায় একজন পল্লী চিকিৎসক। একই সাথে নিজের ও দেশের খাদ্য চাহিদা পুরণ করতে ঝাপিয়ে পড়েছেন কৃষি কাজে। পানি সেচের সুযোগ করে দিয়ে অনাবাদী জমি চাষাবাদে এলাকার কৃষকদের আগ্রহী করে তোলছেন। সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের কুঞ্জবনে ১২শ বিঘা জমি এক ফসলী ক্ষেত করে আসছিল স্থানীয় কৃষকরা। চলিত বছর রিপন রায় কয়েক লাখ টাকা নিজ অর্থ ব্যয় করে লাংলিয়া ছড়ায় সেচ মেশিন বসিয়ে দেড় হাজার ফুট পাইপ টেনে কৃষকদের জমিতে পানি সেচের ব্যবস্থা করে দেন। যার ফলে প্রায় ৩শ বিঘা অনাবাদী জমি কৃষি চাষের আওতায় আসে। কুঞ্জবন এলাকার কৃষক আইয়ুব আলী, মশাইদ মিয়া, কুতুব মিয়া, মাসুক মিয়া, শিপন মিয়া, সুজন মিয়া, শহীদ মিয়া, আনোয়ার মিয়া, আব্দুল আলী, বশির মিয়া, মারুফ মিয়া, আফতাব মিয়া, ছত্তার মিয়া, আহাদ মিয়া, আলাল মিয়া, লোকমান মিয়া, সয়াল মিয়া, ছালেক মিয়া, ফয়জুর রহমান, আছকর মিয়া, সুজন মিয়াসহ শতাধিক কৃষক প্রায় ৩শ বিঘা অনাবদী জমি চাষ করেছেন।

কৃষকরা জানান, প্রতি বিঘা জমি চাষ করতে তাদের খরচ পড়েছে ৪ হাজার টাকা। বিঘা প্রতি ১৮ মন ধান ফলবে বলে তারা আশাবাদী। কয়েক বছর পুর্বে একবার লাংলিয়া ছড়ায় বাঁধ দিয়ে ১২শ বিঘা জমিতে ফসল ফলেছিল। বর্তমানে ফিনলে চা বাগান উজানে বাঁধ দিয়ে পানি আটকে ফেলে। যার কারণে লাংলিয়া ছড়ায় পানির প্রবাহ থাকে না। লাংলিয়া ছড়ার পানি ব্যবহার করা গেলে ২ হাজার বিঘা জমিতে মৌসুমি ফসল সহ ধান চাষাবাদ সম্ভব। তারা কোন সময়ই সরকারি অনুদান বা সহযোগীতা পাচ্ছেন না। তারা জানেন না কৃষি কাজে সরকারি ভর্তুকি বা কৃষিকার্ড কি। কৃষি অফিসের সহযোগীতা ও পানি সরবরাহ পেলে ধান, গম, ভূট্রা, মৌসুমি ফসলে মাঠ সবুজের সমারোহে ভড়ে উঠতে পারে। এই জমিগুলো উচু হওয়ায় পাহাড়ি ঢল বা বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই। শুধু ফসল কেঁটে নিয়ে আসতে রাস্তা না থাকায় তারা আছেন বিপাকে। ক্ষেতের মধ্য দিয়ে ১৭ ফুট প্রস্থ কামারতলা নামে একটি গোপাট ছিল। যে গোপাট দিয়ে কৃষকরা ধান কেটে নিয়ে আসতো। আর গোপাটের পাড় দিয়ে গ্রামের মানুষ চলাচল করতো। এই গোপাটের আজ আর অস্তিত নেই। কৃষকরা ধান উঠাতে এখন বিপাকে পড়েছেন।

মৌলভীবাজার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, মৌলভীবাজার জেলায় ৫৬৫৫০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। আবাদ হয়েছে ৫৭৯৯৮ হেক্টর। শ্রীমঙ্গল কুঞ্জবন এলাকায় এ ধরনের উদ্যোগের বিষয় আমি অবগত ছিলাম না। পরবর্তীতে শ্রীমঙ্গল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছ থেকে খোঁজ-খবর নিয়েছি। রিপন রায়ের এমন কাজ সত্যিই প্রশংসনীয়। আমি উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাকে বলে দেবো, আগামীতে সরকারী সকল সুযোগ-সুবিধা দিয়ে রিপন রায়কে সহযোগীতা করার জন্য। এখন থেকে আমি নিজই তা তদারকি করবো।

প্লিজ আপনি ও অপরকে নিউজটি শেয়ার করার জন্য অনুরোধ করছি

এ জাতীয় আরো খবর..